পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিদর্শিকা নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে লুৎফুন্নাহার নাদিরা। মুক্তিযোদ্ধা বাবার দুই মেয়ে সন্তানের তিনি সবার ছোট। মাস্টার্স পাসের পর বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাননি। তিনি জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিদর্শিকা পদে চাকরির পরীক্ষা ভলো দিয়েও চাকরি পাননি। উপরন্ত এই চাকরির জন্য দিরাই উপজেলার শৈলেন দাশ নামে একজন ১৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা দেশের জন্য এত করছেন, আমি যদি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও চাকরি না পাই, তাহলে তো সেখানে আমার কিচ্ছু করার নেই। সরকারি চাকরির জন্য আমার মাত্র কয়েকটি মাস সময় আছে। আমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো। আমার বাবা-মা বৃদ্ধ হয়ে গেছে, অসুস্থ। আমরা দুইটা বোন, ভাই নাই, আমার পরিবোর কীভাবে বাঁচবে।’

‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাই যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হোক অর্থের বিনিময়ে কাউকে নয়,’ বলেও জানান তিনি।

তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ দেশের জন্য আমি যুদ্ধ করেছি। আমার ছেলে নাই দুইটি মেয়ে। আমি অনেক কষ্ট করে কৃষি কাজ, দিন মজুরের কাজ করে দুইটা মেয়েকে মাস্টার্স পাস করিয়েছি। অনেক জায়গায় আমি চাকরির জন্য গেছি কিন্ত কেউ টাকা ছাড়া চাকরির কথা বলে না।’

‘সরকার যে ভাতা দেয় তাই নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্ট করে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন, উনি যদি দয়া করে আমার মেয়ের চাকরি দেন’ বলে আর্জি তার।

আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করলেও বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে ‘অর্থের বিনিময়ে’ নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া যায় নিয়মিত। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্য খাতকে ঢালাওভাবে সাজাতে সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের ফলে এ খাতে জনবল বাড়াতে হচ্ছে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে এসব বেশির ভাগ পরীক্ষাতেই অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য লোকরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন। এমনই এক অভিযোগ উঠেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগ পরীক্ষায়।

অভিযোগ করা হয়, প্রায় ৫ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে দেশব্যাপী ৯৭২ জনকে নির্বাচিত করেছেন অধিদপ্তরের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি উঠেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস্ এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন ও একটি জাতীয় দৈনিকের দপ্তরে আসা বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিন আমরা দেখেছি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিয়ো প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশাসন) খান মো. রেজাউল করিমের নির্দেশনায় ৯৭২ জন চাকরি প্রত্যাশীদেরকে অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত নম্বর দেয়া হয়েছে পরীক্ষায়। খান মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে অধিদপ্তরে একটি সিন্ডিকেট এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে তারা লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর পদ্ধতি পরিবর্তন করে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নিয়োগ বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করার জন্য মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষায় ‘টিক চিহ্ন’ পদ্ধতি চালু করে। এবং চাকরি প্রত্যাশী প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে। তিনি অভিযোগ করেন, ৯৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি চাকরি প্রত্যাশীর পরীক্ষার খাতায় টাকার বিনিময়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মাধ্যমে টিক মার্ক দেয়া হয়েছে, যা বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হলে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

এ সময় জানানো হয়, এসব অভিযোগের বিষয়ে গত ৫ মার্চ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব বরাবরে একটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। লিখিত ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগ পরীক্ষায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন), খান মোহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ৪৬টি জেলার চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেয়ার আশ্বাসে বড় রকমের আর্থিক লেনদেন করেছেন। অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন), প্রশাসন ইউনিটের নেতৃত্বে এই সিন্ডিকেট সারাদেশ থেকে চাকরি প্রত্যাশী বিভিন্ন প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেয়ার কথা বলে এক থেকে দুই লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। এমন অনেক প্রার্থী রয়েছে যাদেরকে চূড়ান্ত নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকাও লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

জানা যায়, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ জমা পরেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছেও। ওই অভিযোগে বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সভাপতি খান মো. রেজাউল করিম ছাড়াও আরও অভিযুক্ত করা হয় অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও নির্বাচন কমিটির সচিব মো. সানাউল্লাহ নূরীকেও।

শৈলেন দাশের সঙ্গে যোগায়োগ করলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। খান মোহাম্মদ রেজাউল করিমের নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করে নাই।

রবিবার, ২১ মে ২০২৩ , ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৩০ শাওয়াল ১৪৪৪

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিদর্শিকা নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে লুৎফুন্নাহার নাদিরা। মুক্তিযোদ্ধা বাবার দুই মেয়ে সন্তানের তিনি সবার ছোট। মাস্টার্স পাসের পর বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাননি। তিনি জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিদর্শিকা পদে চাকরির পরীক্ষা ভলো দিয়েও চাকরি পাননি। উপরন্ত এই চাকরির জন্য দিরাই উপজেলার শৈলেন দাশ নামে একজন ১৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা দেশের জন্য এত করছেন, আমি যদি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও চাকরি না পাই, তাহলে তো সেখানে আমার কিচ্ছু করার নেই। সরকারি চাকরির জন্য আমার মাত্র কয়েকটি মাস সময় আছে। আমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো। আমার বাবা-মা বৃদ্ধ হয়ে গেছে, অসুস্থ। আমরা দুইটা বোন, ভাই নাই, আমার পরিবোর কীভাবে বাঁচবে।’

‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাই যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হোক অর্থের বিনিময়ে কাউকে নয়,’ বলেও জানান তিনি।

তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ দেশের জন্য আমি যুদ্ধ করেছি। আমার ছেলে নাই দুইটি মেয়ে। আমি অনেক কষ্ট করে কৃষি কাজ, দিন মজুরের কাজ করে দুইটা মেয়েকে মাস্টার্স পাস করিয়েছি। অনেক জায়গায় আমি চাকরির জন্য গেছি কিন্ত কেউ টাকা ছাড়া চাকরির কথা বলে না।’

‘সরকার যে ভাতা দেয় তাই নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্ট করে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন, উনি যদি দয়া করে আমার মেয়ের চাকরি দেন’ বলে আর্জি তার।

আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করলেও বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে ‘অর্থের বিনিময়ে’ নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া যায় নিয়মিত। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্য খাতকে ঢালাওভাবে সাজাতে সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের ফলে এ খাতে জনবল বাড়াতে হচ্ছে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে এসব বেশির ভাগ পরীক্ষাতেই অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য লোকরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন। এমনই এক অভিযোগ উঠেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগ পরীক্ষায়।

অভিযোগ করা হয়, প্রায় ৫ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে দেশব্যাপী ৯৭২ জনকে নির্বাচিত করেছেন অধিদপ্তরের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি উঠেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস্ এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন ও একটি জাতীয় দৈনিকের দপ্তরে আসা বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিন আমরা দেখেছি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিয়ো প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশাসন) খান মো. রেজাউল করিমের নির্দেশনায় ৯৭২ জন চাকরি প্রত্যাশীদেরকে অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত নম্বর দেয়া হয়েছে পরীক্ষায়। খান মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে অধিদপ্তরে একটি সিন্ডিকেট এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে তারা লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর পদ্ধতি পরিবর্তন করে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নিয়োগ বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করার জন্য মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষায় ‘টিক চিহ্ন’ পদ্ধতি চালু করে। এবং চাকরি প্রত্যাশী প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে। তিনি অভিযোগ করেন, ৯৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি চাকরি প্রত্যাশীর পরীক্ষার খাতায় টাকার বিনিময়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মাধ্যমে টিক মার্ক দেয়া হয়েছে, যা বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হলে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

এ সময় জানানো হয়, এসব অভিযোগের বিষয়ে গত ৫ মার্চ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব বরাবরে একটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। লিখিত ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগ পরীক্ষায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন), খান মোহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ৪৬টি জেলার চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেয়ার আশ্বাসে বড় রকমের আর্থিক লেনদেন করেছেন। অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন), প্রশাসন ইউনিটের নেতৃত্বে এই সিন্ডিকেট সারাদেশ থেকে চাকরি প্রত্যাশী বিভিন্ন প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেয়ার কথা বলে এক থেকে দুই লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। এমন অনেক প্রার্থী রয়েছে যাদেরকে চূড়ান্ত নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকাও লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

জানা যায়, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ জমা পরেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছেও। ওই অভিযোগে বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সভাপতি খান মো. রেজাউল করিম ছাড়াও আরও অভিযুক্ত করা হয় অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও নির্বাচন কমিটির সচিব মো. সানাউল্লাহ নূরীকেও।

শৈলেন দাশের সঙ্গে যোগায়োগ করলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। খান মোহাম্মদ রেজাউল করিমের নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করে নাই।