দফা এক, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ : ফখরুল

দফা এক শেখ হাসিনা

সরকারের

পদত্যাগ। এই দাবি শুধু আমাদের নয়, দেশের

জনগনেরও । লুটেরা এই সরকার ক্ষমতায় থাকুক তা এক মুর্হুতও চান না দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ। তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পাশাপাশি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ঠুঁঠো জগন্নাথ। এই নির্বাচন কমিশনের অধিনে কোন ভোটই সুষ্ঠু হবে না।

ফখরুল বলেন, রংপুর থেকে যখন লালমনিরহাটে প্রবেশ করি তখন দেখি রাস্তাঘাট খুবই খারাপ। সরকার বলছে উন্নয়ন উন্নয়ন। উন্নয়ন আওয়ামী লীগের ঘরে হচ্ছে বাইরে নয়। আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যাংকে টাকা ভরছে, আর দেশের বাইরে বাড়ি করছেন।

গতকাল বিকেলে লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে বিএনপির বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ করে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে সরকার। দেশটাকে এই সরকার কারাগারে পরিণত করেছে। কোথায়ও শান্তি নেই। অশান্তির আগুনে জ্বলছে পুরো দেশ।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আজ মানুষের নাভিশ্বাস। কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে সব জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনগনের কোন উন্নয়ন হয়নি। যা হয়েছে সব আওয়ামী লীগের। এখন আমাদের দাবি হচ্ছে অবৈধ ফ্যাসিবাদ সরকারের পদত্যাগ। এরপর নিরপেক্ষ তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।

কৃষক আন্দোলনের নেতা নুরল দীনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের এই এলাকায় তার বাড়ি। যিনি কৃষক আন্দোলনে ডাক দিয়েছিলেন- কোনটে বাহে জাগো সবায়। আজকে আবার সেই ডাক এসেছে। আজকে আবার কারাগারের অভ্যন্তর থেকে গৃহবন্দি থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বলেছেন- ‘ফয়সালা কবে রাজপথে। টেকব্যাক বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম। সেই বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করেছিলে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে। সেই বাংলাদেশকে আমরা ফিরিয়ে আনবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বহু নির্যাতন আমরা গত ১৭ বছর থেকে সহ্য করেছি। বহু অত্যাচার আমাদের উপরে হয়েছে। খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের একজন সাধারণ কর্মীর নামে শুধু মামলা আর মামলা। পরিস্কার বলে দেই মামলা হামলা আর গুম করে আপনারা (আ’লীগ) আমাদের দমাতে পারবেন না।

বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওনি বিবিসির সাক্ষাতকারে বলেছেন আমেরিকা ওনাকে চায় না। তাই আওয়ামী লীগের ভাইরা যারা বলেন- খেলা হবে। তাদেরকে বলতে চাই, আপনাদের ক্যাপ্টেন দুর্বল হয়ে গেছে। তাহলে আমাদের সঙ্গে খেলবেন কি করে?

কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু’র সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্ত্য রাখেন, কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা একেএম মমিনুল হক, সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।

রবিবার, ২১ মে ২০২৩ , ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৩০ শাওয়াল ১৪৪৪

দফা এক, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ : ফখরুল

প্রতিনিধি, লালমনিরহাট

দফা এক শেখ হাসিনা

সরকারের

পদত্যাগ। এই দাবি শুধু আমাদের নয়, দেশের

জনগনেরও । লুটেরা এই সরকার ক্ষমতায় থাকুক তা এক মুর্হুতও চান না দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ। তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পাশাপাশি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ঠুঁঠো জগন্নাথ। এই নির্বাচন কমিশনের অধিনে কোন ভোটই সুষ্ঠু হবে না।

ফখরুল বলেন, রংপুর থেকে যখন লালমনিরহাটে প্রবেশ করি তখন দেখি রাস্তাঘাট খুবই খারাপ। সরকার বলছে উন্নয়ন উন্নয়ন। উন্নয়ন আওয়ামী লীগের ঘরে হচ্ছে বাইরে নয়। আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যাংকে টাকা ভরছে, আর দেশের বাইরে বাড়ি করছেন।

গতকাল বিকেলে লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে বিএনপির বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ করে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে সরকার। দেশটাকে এই সরকার কারাগারে পরিণত করেছে। কোথায়ও শান্তি নেই। অশান্তির আগুনে জ্বলছে পুরো দেশ।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আজ মানুষের নাভিশ্বাস। কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে সব জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনগনের কোন উন্নয়ন হয়নি। যা হয়েছে সব আওয়ামী লীগের। এখন আমাদের দাবি হচ্ছে অবৈধ ফ্যাসিবাদ সরকারের পদত্যাগ। এরপর নিরপেক্ষ তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।

কৃষক আন্দোলনের নেতা নুরল দীনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের এই এলাকায় তার বাড়ি। যিনি কৃষক আন্দোলনে ডাক দিয়েছিলেন- কোনটে বাহে জাগো সবায়। আজকে আবার সেই ডাক এসেছে। আজকে আবার কারাগারের অভ্যন্তর থেকে গৃহবন্দি থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বলেছেন- ‘ফয়সালা কবে রাজপথে। টেকব্যাক বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম। সেই বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করেছিলে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে। সেই বাংলাদেশকে আমরা ফিরিয়ে আনবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বহু নির্যাতন আমরা গত ১৭ বছর থেকে সহ্য করেছি। বহু অত্যাচার আমাদের উপরে হয়েছে। খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের একজন সাধারণ কর্মীর নামে শুধু মামলা আর মামলা। পরিস্কার বলে দেই মামলা হামলা আর গুম করে আপনারা (আ’লীগ) আমাদের দমাতে পারবেন না।

বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওনি বিবিসির সাক্ষাতকারে বলেছেন আমেরিকা ওনাকে চায় না। তাই আওয়ামী লীগের ভাইরা যারা বলেন- খেলা হবে। তাদেরকে বলতে চাই, আপনাদের ক্যাপ্টেন দুর্বল হয়ে গেছে। তাহলে আমাদের সঙ্গে খেলবেন কি করে?

কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু’র সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্ত্য রাখেন, কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা একেএম মমিনুল হক, সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।