রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসবাদে জড়ালে বড় বিনিয়োগ ভেস্তে যাবে : মোমেন

মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে সন্ত্রাসবাদে জড়ালে এ অঞ্চলে বড় কিছু বিনিয়োগ ভেস্তে যাবে। বিনিয়োগ টিকিয়ে রাখতে তাই এ অঞ্চলে শান্তি প্রয়োজন। কথাগুলো বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা রিপ্যাট্রিয়েশন : আ পাথওয়ে টু পিস, স্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড হারমোনি ইন দ্য বে অব বেঙ্গল রিজিয়ন’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ডিপ্লোম্যাটস ওয়ার্ল্ড নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা সেমিনারটির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মোমেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে অনেকেই শুধু মুখে মুখে আশ্বাস দিয়ে চলেছে। আবার অনেকেই মায়ানমারে বিনিয়োগ করছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়িয়ে চলেছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সবাইকে আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গাদেরও আশা ও স্বপ্ন আছে। তাদের উন্নত জীবন ও ভবিষ্যতের জন্য অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশই রোহিঙ্গা ইস্যুতে সিনিয়র পর্যায়ের ফোকাল পয়েন্টে নিযুক্ত করেছে। এসব খুবই ভালো খবর। আমরা আন্তরিকভাবেই এ সংকটের সমাধান করতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও প্রকাশনার নির্বাহী উপদেষ্টা আবুল হাসান চৌধুরী, নির্বাহী সম্পাদক নাজিনুর রহিম, মেজর জেনারেল (অব.) নাঈম আশফাক চৌধুরী প্রমুখ।

# রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সবার সমর্থন চাইল ঢাকা :

রোহিঙ্গাদের পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছে বাংলা?দেশ। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গাদের ওপর অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দেয়া বক্তব্যে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে অনু?ষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য গৃহীত পাইলট প্রকল্পকে সমর্থন করতে এবং এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে পুনরায় একীভূত হতে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানাই।’

রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন যে, উভয় পক্ষ রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের নিমিত্ত একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে একদল রোহিঙ্গা প্রথম ব্যাচে মায়ানমারে ফিরে যাবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যদের প্রত্যাবাসন করা হবে।

রবিবার, ২১ মে ২০২৩ , ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৩০ শাওয়াল ১৪৪৪

রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসবাদে জড়ালে বড় বিনিয়োগ ভেস্তে যাবে : মোমেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে সন্ত্রাসবাদে জড়ালে এ অঞ্চলে বড় কিছু বিনিয়োগ ভেস্তে যাবে। বিনিয়োগ টিকিয়ে রাখতে তাই এ অঞ্চলে শান্তি প্রয়োজন। কথাগুলো বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা রিপ্যাট্রিয়েশন : আ পাথওয়ে টু পিস, স্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড হারমোনি ইন দ্য বে অব বেঙ্গল রিজিয়ন’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ডিপ্লোম্যাটস ওয়ার্ল্ড নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা সেমিনারটির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মোমেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে অনেকেই শুধু মুখে মুখে আশ্বাস দিয়ে চলেছে। আবার অনেকেই মায়ানমারে বিনিয়োগ করছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়িয়ে চলেছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সবাইকে আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গাদেরও আশা ও স্বপ্ন আছে। তাদের উন্নত জীবন ও ভবিষ্যতের জন্য অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশই রোহিঙ্গা ইস্যুতে সিনিয়র পর্যায়ের ফোকাল পয়েন্টে নিযুক্ত করেছে। এসব খুবই ভালো খবর। আমরা আন্তরিকভাবেই এ সংকটের সমাধান করতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও প্রকাশনার নির্বাহী উপদেষ্টা আবুল হাসান চৌধুরী, নির্বাহী সম্পাদক নাজিনুর রহিম, মেজর জেনারেল (অব.) নাঈম আশফাক চৌধুরী প্রমুখ।

# রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সবার সমর্থন চাইল ঢাকা :

রোহিঙ্গাদের পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছে বাংলা?দেশ। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গাদের ওপর অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দেয়া বক্তব্যে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে অনু?ষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য গৃহীত পাইলট প্রকল্পকে সমর্থন করতে এবং এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে পুনরায় একীভূত হতে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানাই।’

রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন যে, উভয় পক্ষ রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের নিমিত্ত একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে একদল রোহিঙ্গা প্রথম ব্যাচে মায়ানমারে ফিরে যাবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যদের প্রত্যাবাসন করা হবে।