কক্সবাজারে ইয়াবাসহ সস্ত্রীক এপিবিএন কর্মকর্তা আটক

কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে ইয়াবাসহ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কর্মরত এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) সস্ত্রীক আটক হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ডলফিন মোড়ের গ্রিন লাইন কাউন্টার থেকে তাদের আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আটকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের সমেশপুরের রেজাউল করিম (৪৭) ও তার স্ত্রী মলিনা পাশা (৪৩)। রেজাউল করিম টেকনাফের হ্নীলার আলীখালী (২৫ নম্বর ক্যাম্প) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। তিনি ডিপার্টমেন্টাল পদোন্নতিতে কনস্টেবল থেকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হয়েছেন।

টেকনাফ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক তুন্তু মনি চাকমা জানান, আটক রেজাউলের পরিবার কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিল। যাওয়ার সময় ইয়াবাগুলো কৌশলে ঢাকায় পাচারের জন্য মজুদ রাখেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলাতলী ডলফিন মোড়ের গ্রিন লাইন কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে তাদের বহন করা ব্যাগ থেকে ইয়াবাগুলো জব্দ করা। দুজনকে আটক করা হয়।

তুন্তু মনি আরও বলেন, ব্যাগ তল্লাশি করে ২০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আটক রেজাউল নিজেকে ১৬ এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক বলে দাবি করেন। স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) হাসান বারী নুর বলেন, আমার অধীনস্থ আলীখালী ক্যাম্পের ইনচার্জ সস্ত্রীক মাদকসহ ধরা পড়েছে বলে খবর পেয়েছি। এটা অনভিপ্রেত। তার বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, গত মাসে বেশ কয়েকজন দুর্র্ধষ ডাকাত গ্রেপ্তারে আলীখালী ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিমের অবদান আছে। তার কাজের পরিধি ভালো। তাই কীভাবে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় তিনি জড়ালেন তাও নিজস্ব গতিতে খতিয়ে দেখার উদ্যোগ চলছে।

রবিবার, ২১ মে ২০২৩ , ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৩০ শাওয়াল ১৪৪৪

কক্সবাজারে ইয়াবাসহ সস্ত্রীক এপিবিএন কর্মকর্তা আটক

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে ইয়াবাসহ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কর্মরত এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) সস্ত্রীক আটক হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ডলফিন মোড়ের গ্রিন লাইন কাউন্টার থেকে তাদের আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আটকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের সমেশপুরের রেজাউল করিম (৪৭) ও তার স্ত্রী মলিনা পাশা (৪৩)। রেজাউল করিম টেকনাফের হ্নীলার আলীখালী (২৫ নম্বর ক্যাম্প) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। তিনি ডিপার্টমেন্টাল পদোন্নতিতে কনস্টেবল থেকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হয়েছেন।

টেকনাফ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক তুন্তু মনি চাকমা জানান, আটক রেজাউলের পরিবার কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিল। যাওয়ার সময় ইয়াবাগুলো কৌশলে ঢাকায় পাচারের জন্য মজুদ রাখেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলাতলী ডলফিন মোড়ের গ্রিন লাইন কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে তাদের বহন করা ব্যাগ থেকে ইয়াবাগুলো জব্দ করা। দুজনকে আটক করা হয়।

তুন্তু মনি আরও বলেন, ব্যাগ তল্লাশি করে ২০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আটক রেজাউল নিজেকে ১৬ এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক বলে দাবি করেন। স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) হাসান বারী নুর বলেন, আমার অধীনস্থ আলীখালী ক্যাম্পের ইনচার্জ সস্ত্রীক মাদকসহ ধরা পড়েছে বলে খবর পেয়েছি। এটা অনভিপ্রেত। তার বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, গত মাসে বেশ কয়েকজন দুর্র্ধষ ডাকাত গ্রেপ্তারে আলীখালী ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিমের অবদান আছে। তার কাজের পরিধি ভালো। তাই কীভাবে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় তিনি জড়ালেন তাও নিজস্ব গতিতে খতিয়ে দেখার উদ্যোগ চলছে।