নাটোরের বাগাতিপাড়ার তমালতলা ব্রীজের স্প্যান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে একটি পাইল, সরে গেছে মাটি, আস্তে আস্তে খসে পড়ছে ঢালাইও। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। ফলে ভারী যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। ব্যবস্থা গ্রহণে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, শুকনো মওসুমে এক সময়ের খর¯্রােতা বড়াল নদ একেবারে শুকিয়ে গেছে। ফলে ব্রিজের স্প্যানের নি¤œাংশ সবার নজরে এসেছে। ব্রিজের চারটি স্প্যানের মাঝখানের একটি স্প্যানের পাইলগুলোর মাটি সরে গেছে। অন্যগুলো ঠিকঠাক থাকলেও একটি স্প্যানের পাইলেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভারি যানবাহন চলাচলের সময় ওই স্থানে ব্রিজটি অনেকটা দোল খায়। ফলে যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনার আশংকা তাদের। জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ৬৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বড়াল নদের উপরে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই স্প্যান ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাটোরের তৎকালীন মেসার্স তানভীর এন্টারপ্রাইজ। রবিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদটি শুকিয়ে ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিজটিতে মোট ৪টি স্প্যানের অন্যগুলো ঠিক থাকলেও মাঝের একটি স্প্যানের ১২টি পাইল প্রায় দুই থেকে আড়াই ফুট দেখা যাচ্ছে। পাইলগুলোর সাতে যে ঢালের মাধ্যমে স্প্যানের সাথে সংযুক্ত রয়েছে, সেই ঢাল থেকে একটি পাইল বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া আশপাশের সব জায়গায় শুকিয়ে গেলেও ওই স্থানে এখনও সামান্য পানি জমে আছে এবং ওই স্থানটি আশ-পাশ থেকে বেশ কিছুটা গভীর। স্থানীয়দের ধারনা কোন সময় বালু উত্তোলনের ফলে অথবা নদ থেকে কোন সময় মাটি কাটার ফলে ব্রীজটির ওই অংশ থেকে মাটি সরে গেছে। পথচারি ও যানবাহন চালকেরা জানান, তমালতলা-সাদিমারা মোড় পর্যন্ত সড়কটি সম্প্রতি সংস্কার করায় এবং মালঞ্চি-আড়ানীর প্রধান সড়কের গালিমপুর বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারি যানবাহনগুলো পারাপারে এই ব্রিজ বেশি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই ব্রিজটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দ্রুত তারা ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, যদিও পাইলগুলো বেশ গভীর রয়েছে, তবুও তার পাশ থেকে মাটি সরে যাওয়া এবং একটি পাইল ঢাল থেকে পৃথক হওয়ায় ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য দ্রুতই ব্রিজ বিশেষজ্ঞসহ ঊর্ধ্বতন বরাবর পাঠানো হবে। এদিকে উপজেলার প্রধান সড়কসহ অধিকাংশ সড়ক-ব্রিজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে নিরাপদ সড়ক চাইর সভাপতি আরিফুল ইসলাম তপু।
সোমবার, ২২ মে ২০২৩ , ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০২ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪
প্রতিনিধি, বাগাতিপাড়া (নাটোর)
নাটোরের বাগাতিপাড়ার তমালতলা ব্রীজের স্প্যান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে একটি পাইল, সরে গেছে মাটি, আস্তে আস্তে খসে পড়ছে ঢালাইও। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। ফলে ভারী যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। ব্যবস্থা গ্রহণে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, শুকনো মওসুমে এক সময়ের খর¯্রােতা বড়াল নদ একেবারে শুকিয়ে গেছে। ফলে ব্রিজের স্প্যানের নি¤œাংশ সবার নজরে এসেছে। ব্রিজের চারটি স্প্যানের মাঝখানের একটি স্প্যানের পাইলগুলোর মাটি সরে গেছে। অন্যগুলো ঠিকঠাক থাকলেও একটি স্প্যানের পাইলেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভারি যানবাহন চলাচলের সময় ওই স্থানে ব্রিজটি অনেকটা দোল খায়। ফলে যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনার আশংকা তাদের। জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ৬৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বড়াল নদের উপরে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই স্প্যান ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাটোরের তৎকালীন মেসার্স তানভীর এন্টারপ্রাইজ। রবিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদটি শুকিয়ে ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিজটিতে মোট ৪টি স্প্যানের অন্যগুলো ঠিক থাকলেও মাঝের একটি স্প্যানের ১২টি পাইল প্রায় দুই থেকে আড়াই ফুট দেখা যাচ্ছে। পাইলগুলোর সাতে যে ঢালের মাধ্যমে স্প্যানের সাথে সংযুক্ত রয়েছে, সেই ঢাল থেকে একটি পাইল বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া আশপাশের সব জায়গায় শুকিয়ে গেলেও ওই স্থানে এখনও সামান্য পানি জমে আছে এবং ওই স্থানটি আশ-পাশ থেকে বেশ কিছুটা গভীর। স্থানীয়দের ধারনা কোন সময় বালু উত্তোলনের ফলে অথবা নদ থেকে কোন সময় মাটি কাটার ফলে ব্রীজটির ওই অংশ থেকে মাটি সরে গেছে। পথচারি ও যানবাহন চালকেরা জানান, তমালতলা-সাদিমারা মোড় পর্যন্ত সড়কটি সম্প্রতি সংস্কার করায় এবং মালঞ্চি-আড়ানীর প্রধান সড়কের গালিমপুর বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারি যানবাহনগুলো পারাপারে এই ব্রিজ বেশি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই ব্রিজটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দ্রুত তারা ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, যদিও পাইলগুলো বেশ গভীর রয়েছে, তবুও তার পাশ থেকে মাটি সরে যাওয়া এবং একটি পাইল ঢাল থেকে পৃথক হওয়ায় ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য দ্রুতই ব্রিজ বিশেষজ্ঞসহ ঊর্ধ্বতন বরাবর পাঠানো হবে। এদিকে উপজেলার প্রধান সড়কসহ অধিকাংশ সড়ক-ব্রিজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে নিরাপদ সড়ক চাইর সভাপতি আরিফুল ইসলাম তপু।