কৃষি মন্ত্রণালয়কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি

দুই-তিন দিন বাজার দেখে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত

পেঁয়াজের বাজারে ‘তাপ কমাতে’ আমদানির সিদ্ধান্তে এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়ার ব্যবস্থা নিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে তারা। আরও দুই থেকে তিনদিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক।

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর মতবিনিময়ের সময় পেঁয়াজের প্রসঙ্গ আসে।

একমাস আগেও প্রতিকেজি ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকার ভালো মানের পেঁয়াজ এখন ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত কয়েকদিন ধরে পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয়ার কথা সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের ঘোষণা এখনও আসেনি।

বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাজার বিবেচনায় আমরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। ইমপোর্ট পারমিট বা আইপি যেহেতু কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘খুচরা বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। টিসিবির তথ্যানুযায়ী প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম একমাস আগে ৩০ টাকা ছিল, যা গত সপ্তাহে ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে এবং বর্তমানে ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করে স্থিতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।’

পেঁয়াজের দাম নিয়ে চলমান বাজারে অস্থিরতার কথা কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকও স্বীকার করলেন। তিন বলেন, ‘গেল ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা চলছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়, আবার কিছুটা কমে যায়। দু-একদিনের ব্যবধানে বাজার ওঠানামা করে।’

‘এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত চার-পাঁচদিন ধরে বাজার বোঝার চেষ্টা করছি। বাজারে কী হচ্ছে; তা দেখছি। ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। সেই তুলনায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দাম অনেক কম। সেখান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজারকে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি, কৃষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি।’ অধিকাংশ কৃষক বলেছেন, ‘তাদের কাছে পেঁয়াজ পর্যাপ্ত রয়েছ।’ দাম বৃদ্ধি হওয়ার আশায় তারা ধরে রেখেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে কথা বলেছি। দুই-তিনদিনের মধ্যেই আপনারা সিদ্ধান্ত পাবেন যে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কি না।’

‘আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করছি। গত শনিবার পেঁয়াজের দাম মণে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে কমেছে। যেহেতু কমার লক্ষণ দেখা দিয়েছে আমরা দুয়েকদিন দেখব। জানি মধ্যম আয়ের ও সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তার পরেও আমরা শেষ পর্যন্ত চাষির স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি’ বলেন মন্ত্রী।

সরকার পেঁয়াজের ‘সিন্ডিকেটকে’ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভেতরে ভেতরে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পেঁয়াজের দামটা প্রতি কেজি ৪৫ টাকার বেশি হওয়া উচিত না।’ তিনি বলেন, ‘গত বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছিল। মজুদ ভালো ছিল। পরে অনেক পেঁয়াজ পচে গেছে।’

অনেক আড়তদার দাম বাড়ার আশায় পেঁয়াজ মজুদ রেখে দিয়েছিলেন। পরে তা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু চলতি বছরে আমাদের পেঁয়াজ আবাদ কম হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। সে কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন গতবারের তুলনায় দুই লাখ টনের মত কম হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বছরের ২৮ থেকে ৩০ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৪০ লাখ টনের মত। চাষিরা এবার ভূট্টা ও সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকেছে। সে কারণে উৎপাদন কিছুটা কমে গেছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সিও বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হয়েছে। কিন্তু বেশি মুনাফা লাভের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুদ রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

দেশে পেঁয়াজের চাহিদা কত, উৎপাদন কত

বছরের মাঝামাঝি এই সময়ে পেঁয়াজের কোন ঘাটতি নেই। গতকাল সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ’ সংক্রান্ত সভায় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার জানিয়েছেন, এ বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। উৎপাদন ও মজুদ বিবেচনায় দেশে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে প্রতি বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। কিন্তু ‘উপযুক্ত সংরক্ষণের’ অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ ১০ থেকে ১২ লাখ টন পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। সে হিসেবে দেশের উৎপাদন থেকে সরবরাহ দাঁড়াচ্ছে ২২ থেকে ২৪ লাখ টন, যা চাহিদার তুলনায় কম।

সোমবার, ২২ মে ২০২৩ , ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০২ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

কৃষি মন্ত্রণালয়কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি

দুই-তিন দিন বাজার দেখে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। গতকাল ট্রাক থেকে পেঁয়াজ নামানোর সময় রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। এই দুর্মূল্যের বাজারে রাস্তা থেকে পেঁয়াজ কুড়িয়ে নিচ্ছেন এক নারী -সংবাদ

পেঁয়াজের বাজারে ‘তাপ কমাতে’ আমদানির সিদ্ধান্তে এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়ার ব্যবস্থা নিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে তারা। আরও দুই থেকে তিনদিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক।

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর মতবিনিময়ের সময় পেঁয়াজের প্রসঙ্গ আসে।

একমাস আগেও প্রতিকেজি ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকার ভালো মানের পেঁয়াজ এখন ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত কয়েকদিন ধরে পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয়ার কথা সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের ঘোষণা এখনও আসেনি।

বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাজার বিবেচনায় আমরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। ইমপোর্ট পারমিট বা আইপি যেহেতু কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘খুচরা বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। টিসিবির তথ্যানুযায়ী প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম একমাস আগে ৩০ টাকা ছিল, যা গত সপ্তাহে ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে এবং বর্তমানে ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করে স্থিতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।’

পেঁয়াজের দাম নিয়ে চলমান বাজারে অস্থিরতার কথা কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকও স্বীকার করলেন। তিন বলেন, ‘গেল ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা চলছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়, আবার কিছুটা কমে যায়। দু-একদিনের ব্যবধানে বাজার ওঠানামা করে।’

‘এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত চার-পাঁচদিন ধরে বাজার বোঝার চেষ্টা করছি। বাজারে কী হচ্ছে; তা দেখছি। ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। সেই তুলনায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দাম অনেক কম। সেখান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজারকে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি, কৃষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি।’ অধিকাংশ কৃষক বলেছেন, ‘তাদের কাছে পেঁয়াজ পর্যাপ্ত রয়েছ।’ দাম বৃদ্ধি হওয়ার আশায় তারা ধরে রেখেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে কথা বলেছি। দুই-তিনদিনের মধ্যেই আপনারা সিদ্ধান্ত পাবেন যে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কি না।’

‘আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করছি। গত শনিবার পেঁয়াজের দাম মণে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে কমেছে। যেহেতু কমার লক্ষণ দেখা দিয়েছে আমরা দুয়েকদিন দেখব। জানি মধ্যম আয়ের ও সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তার পরেও আমরা শেষ পর্যন্ত চাষির স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি’ বলেন মন্ত্রী।

সরকার পেঁয়াজের ‘সিন্ডিকেটকে’ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভেতরে ভেতরে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পেঁয়াজের দামটা প্রতি কেজি ৪৫ টাকার বেশি হওয়া উচিত না।’ তিনি বলেন, ‘গত বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছিল। মজুদ ভালো ছিল। পরে অনেক পেঁয়াজ পচে গেছে।’

অনেক আড়তদার দাম বাড়ার আশায় পেঁয়াজ মজুদ রেখে দিয়েছিলেন। পরে তা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু চলতি বছরে আমাদের পেঁয়াজ আবাদ কম হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। সে কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন গতবারের তুলনায় দুই লাখ টনের মত কম হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বছরের ২৮ থেকে ৩০ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৪০ লাখ টনের মত। চাষিরা এবার ভূট্টা ও সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকেছে। সে কারণে উৎপাদন কিছুটা কমে গেছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সিও বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হয়েছে। কিন্তু বেশি মুনাফা লাভের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুদ রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

দেশে পেঁয়াজের চাহিদা কত, উৎপাদন কত

বছরের মাঝামাঝি এই সময়ে পেঁয়াজের কোন ঘাটতি নেই। গতকাল সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ’ সংক্রান্ত সভায় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার জানিয়েছেন, এ বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। উৎপাদন ও মজুদ বিবেচনায় দেশে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে প্রতি বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। কিন্তু ‘উপযুক্ত সংরক্ষণের’ অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ ১০ থেকে ১২ লাখ টন পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। সে হিসেবে দেশের উৎপাদন থেকে সরবরাহ দাঁড়াচ্ছে ২২ থেকে ২৪ লাখ টন, যা চাহিদার তুলনায় কম।