ডেঙ্গুজ্বর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে

২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি ৩৩ জন, মৃত্যু ১

বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুজ্বর সারাদেশে দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ২২ জন ও ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে ১১ জন ভর্তি হয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছরের গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৪৪৭ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৩ জন। এভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৭ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৩ জন, শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৮ জন ভর্তি আছে। এভাবে ২০টি সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে ৭৬ জন। সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি আছে মোট ১৫১ জন।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর আগে থেকে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার উপদ্রব বাড়ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটছে। গেল বছর মশা যে ডিম দিয়েছে। সেই ডিম এই বছর বৃষ্টির কারণে ফুটছে।

এখন নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে মশার বংশ বিস্তার ঘটছে। আর এখন শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা পাকা ও বাড়ি পাকা হচ্ছে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি শহর থেকে গ্রামে গেলে সেখানে নতুন করে কোন মশা তাকে কামড় দিলে সেই মশা ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। নতুন করে ওই মশা আবার কাউকে কামড় দিলে তার মধ্যে ভাইরাস ছড়াবে। এভাবে ডেঙ্গুজ্বর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

এবছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। কারণ এখন টাইপ-৪ চলছে। যারা আগে আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে আবার আক্রান্ত হলে তাদের ঝুঁকি বেশি। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী রাজধানী থেকে শুরু করে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার, ২২ মে ২০২৩ , ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০২ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

ডেঙ্গুজ্বর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে

২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি ৩৩ জন, মৃত্যু ১

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুজ্বর সারাদেশে দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ২২ জন ও ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে ১১ জন ভর্তি হয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছরের গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৪৪৭ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৩ জন। এভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৭ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৩ জন, শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৮ জন ভর্তি আছে। এভাবে ২০টি সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে ৭৬ জন। সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি আছে মোট ১৫১ জন।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর আগে থেকে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার উপদ্রব বাড়ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটছে। গেল বছর মশা যে ডিম দিয়েছে। সেই ডিম এই বছর বৃষ্টির কারণে ফুটছে।

এখন নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে মশার বংশ বিস্তার ঘটছে। আর এখন শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা পাকা ও বাড়ি পাকা হচ্ছে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি শহর থেকে গ্রামে গেলে সেখানে নতুন করে কোন মশা তাকে কামড় দিলে সেই মশা ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। নতুন করে ওই মশা আবার কাউকে কামড় দিলে তার মধ্যে ভাইরাস ছড়াবে। এভাবে ডেঙ্গুজ্বর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

এবছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। কারণ এখন টাইপ-৪ চলছে। যারা আগে আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে আবার আক্রান্ত হলে তাদের ঝুঁকি বেশি। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী রাজধানী থেকে শুরু করে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।