স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বিভিন্ন চরমপন্থি দলের ৩ শতাধিক চরমপন্থি ও সর্বহারা সদস্য। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। অস্বাভাবিক জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থিদের স্বাগত ও ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে সভাপতিত্ব করেন র?্যাব ফোর্সেস মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশদি হোসেন বিপিএম (বার), পিপিএম।
র?্যাব ফোর্সেস এর তত্ত্বাবধানে সিরাজগঞ্জে অবস্থিত র?্যাব-১২ এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রাজবাড়ী জেলার ৩২৩ জন চরমপন্থির সদস্য ২১৯টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপির কাছে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, র?্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, মানুষের নিরাপত্তা বিধান ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে এ বাহিনী মাদক, অস্ত্র, জঙ্গিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে ইতোমধ্যে জনমনে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। অপরাধ দমনে র?্যাব শুধু আভিযানিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। ইতিপূর্বে যে সব জঙ্গি ও জলদস্যুরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অন্ধকার জীবন থেকে ফিরে আসতে চেয়েছে তাদের আত্মসমর্পণ, পুনর্বাসন ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিযেছে র?্যাব। যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সন্ত্রাসীরা চর এবং দুর্গম এলাকায় পালিয়ে থেকেও রক্ষা পাবেন না । এজন্য র্যাব ও পুলিশকে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দেয়া হচ্ছে।
র্যাবের বহু মাত্রিক কার্যক্রমে অপরাধীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে । র?্যাব শুধু অপরাধ দমন অভিযানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা গবেষণা ও প্রশিক্ষণের আলোকে সৃষ্টিশীল ও সময়োাপযোগী নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে পুনর্বাসনের মাধ্যমে অপরাধীদের স্বাভাবিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে বিভিন্ন মানবিক ও সৃষ্টিশীল প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে র?্যাব সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে র?্যাবের তত্ত্বাবধানে সুন্দরবন, কক্সবাজার, মহেশখালী ও বাঁশখালী অঞ্চলের ৫০টি জলদস্যু বাহিনীর ৪০৫ জন জলদস্যু বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে ও আত্মসমর্পণকৃত জলসদস্যুদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ভুল বুঝতে পেরে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাওয়া অর্ধশতাধিক জঙ্গিকে মনস্তাত্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে র?্যাব। যারা আজকে অস্ত্রসহ আতœসমর্পণ করেছেন তাদের পুনর্বাসনে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন । তবে এদের কেউ যদি পুনরায় বিপথগামী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
অনুষ্ঠানে সভাপতি র্যাবের মহাপরিচালক খুরশিদ হোসেন বিপিএম, পিপিএম বলেন , দেশের উন্নয়নে কাউকে বাধাগ্রস্ত করতে দেয়া হবে না । পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল ও সামর্থ্য রয়েছে । কীভবে সস্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করতে হয় তা আমাদের জানা আছে।
আত্মসমর্পণের সুযোগ খুঁজতে থাকে। অপরাধ জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাওয়া এসব চরমপন্থিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করে র?্যাব। চরমপন্থিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে ২০২০ সাল হতে র?্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশনায় র?্যাব-১২ কার্যক্রম শুরু করে। প্রাথমিকভাবে র?্যাব চরমপন্থিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং চরমপন্থিদের পরিবারের সদস্যদেরকে হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী করার ব্যবস্থা করে। র?্যাবের সময়োপযোগী এ সব উদ্যোগ গ্রহণের ফলে চরমপন্থি পরিবারের সদস্যরা অনুপ্রাণিত হয় এবং বিভিন্ন চরমপন্থি দলে থাকা সদস্যদেরকে তাদের পরিবারের পক্ষ হতে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। পরবর্তীতে র?্যাব ফোর্সেস চরমপন্থিদের পরিবারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করে চরমপন্থিদেরকে আত্মসমর্পণ করতে উৎসাহী করে এবং সরকারের পক্ষ হতে সহযোগিতার মাধ্যমে তাদেরকে পুনর্বাসন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ এবং প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার) পিপিএম, র?্যাব ফোর্র্সেস অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. মাহবুব আলম, বিপিএম, পিপিএম, বিপিএমএস (বার), রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম ,র্যাব-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন পিপিএম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় সংসদ সদস্য সিরাজগঞ্জ-১ তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৬, প্রফেসর মেরিনা জাহান, পুলিশ সুপার, মো. আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম (বার) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান
এছাড়াও আত্মসমর্পণকারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের শাহজাহানের স্ত্রী নাজমা আক্তার। একই জেলার সাইদুল ইসলাম এবং রাজবাড়ী জেলার ফারুক শেখ। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে লাল পতাকা ২৯৪ জন , জনযুদ্ধের ৮ জন এবং সর্বহারা পার্টির ২১ জন ।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন করেন।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্রসহ চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণ -সংবাদ
আরও খবরসোমবার, ২২ মে ২০২৩ , ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০২ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক সিরাজগঞ্জ
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্রসহ চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণ -সংবাদ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বিভিন্ন চরমপন্থি দলের ৩ শতাধিক চরমপন্থি ও সর্বহারা সদস্য। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। অস্বাভাবিক জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থিদের স্বাগত ও ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে সভাপতিত্ব করেন র?্যাব ফোর্সেস মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশদি হোসেন বিপিএম (বার), পিপিএম।
র?্যাব ফোর্সেস এর তত্ত্বাবধানে সিরাজগঞ্জে অবস্থিত র?্যাব-১২ এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রাজবাড়ী জেলার ৩২৩ জন চরমপন্থির সদস্য ২১৯টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপির কাছে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, র?্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, মানুষের নিরাপত্তা বিধান ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে এ বাহিনী মাদক, অস্ত্র, জঙ্গিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে ইতোমধ্যে জনমনে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। অপরাধ দমনে র?্যাব শুধু আভিযানিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। ইতিপূর্বে যে সব জঙ্গি ও জলদস্যুরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অন্ধকার জীবন থেকে ফিরে আসতে চেয়েছে তাদের আত্মসমর্পণ, পুনর্বাসন ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিযেছে র?্যাব। যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সন্ত্রাসীরা চর এবং দুর্গম এলাকায় পালিয়ে থেকেও রক্ষা পাবেন না । এজন্য র্যাব ও পুলিশকে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দেয়া হচ্ছে।
র্যাবের বহু মাত্রিক কার্যক্রমে অপরাধীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে । র?্যাব শুধু অপরাধ দমন অভিযানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা গবেষণা ও প্রশিক্ষণের আলোকে সৃষ্টিশীল ও সময়োাপযোগী নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে পুনর্বাসনের মাধ্যমে অপরাধীদের স্বাভাবিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে বিভিন্ন মানবিক ও সৃষ্টিশীল প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে র?্যাব সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে র?্যাবের তত্ত্বাবধানে সুন্দরবন, কক্সবাজার, মহেশখালী ও বাঁশখালী অঞ্চলের ৫০টি জলদস্যু বাহিনীর ৪০৫ জন জলদস্যু বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে ও আত্মসমর্পণকৃত জলসদস্যুদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ভুল বুঝতে পেরে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাওয়া অর্ধশতাধিক জঙ্গিকে মনস্তাত্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে র?্যাব। যারা আজকে অস্ত্রসহ আতœসমর্পণ করেছেন তাদের পুনর্বাসনে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন । তবে এদের কেউ যদি পুনরায় বিপথগামী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
অনুষ্ঠানে সভাপতি র্যাবের মহাপরিচালক খুরশিদ হোসেন বিপিএম, পিপিএম বলেন , দেশের উন্নয়নে কাউকে বাধাগ্রস্ত করতে দেয়া হবে না । পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল ও সামর্থ্য রয়েছে । কীভবে সস্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করতে হয় তা আমাদের জানা আছে।
আত্মসমর্পণের সুযোগ খুঁজতে থাকে। অপরাধ জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাওয়া এসব চরমপন্থিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করে র?্যাব। চরমপন্থিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে ২০২০ সাল হতে র?্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশনায় র?্যাব-১২ কার্যক্রম শুরু করে। প্রাথমিকভাবে র?্যাব চরমপন্থিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং চরমপন্থিদের পরিবারের সদস্যদেরকে হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী করার ব্যবস্থা করে। র?্যাবের সময়োপযোগী এ সব উদ্যোগ গ্রহণের ফলে চরমপন্থি পরিবারের সদস্যরা অনুপ্রাণিত হয় এবং বিভিন্ন চরমপন্থি দলে থাকা সদস্যদেরকে তাদের পরিবারের পক্ষ হতে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। পরবর্তীতে র?্যাব ফোর্সেস চরমপন্থিদের পরিবারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করে চরমপন্থিদেরকে আত্মসমর্পণ করতে উৎসাহী করে এবং সরকারের পক্ষ হতে সহযোগিতার মাধ্যমে তাদেরকে পুনর্বাসন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ এবং প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার) পিপিএম, র?্যাব ফোর্র্সেস অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. মাহবুব আলম, বিপিএম, পিপিএম, বিপিএমএস (বার), রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম ,র্যাব-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন পিপিএম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় সংসদ সদস্য সিরাজগঞ্জ-১ তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৬, প্রফেসর মেরিনা জাহান, পুলিশ সুপার, মো. আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম (বার) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান
এছাড়াও আত্মসমর্পণকারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের শাহজাহানের স্ত্রী নাজমা আক্তার। একই জেলার সাইদুল ইসলাম এবং রাজবাড়ী জেলার ফারুক শেখ। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে লাল পতাকা ২৯৪ জন , জনযুদ্ধের ৮ জন এবং সর্বহারা পার্টির ২১ জন ।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন করেন।