বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের কোন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করলে তাদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হবে।
গতকাল সকালে নগরীর মালোপাড়া এলাকায় অবস্থিত বিএনপির কার্যলয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচনের কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। এই নির্বাচন ভোট ডাকাতি এবং প্রহসনের নির্বাচন হবে। বর্তমান সরকারের পতন এবং এই নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সুনিশ্চিত করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন মিনু।
সংবাদ সম্মেলন থেকে গত ১৯ মে পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর থেকে জনসভা শেষ করে বাড়িতে ফেরার পথে বিএনপি ও তার সহযোগী সংঠনের ১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করা হয়। এ সময় তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা, জেলা বিএনপির আহ্বয়ক আবু সাইদ চাঁদ, নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদসহ প্রমুখ।
এদিকে রাসিক নির্বাচনে বিএনপিপন্থী অন্তত ২৫ জন কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ও বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর সেই সুযোগ নিতে কাউন্সিলর প্রার্থীরা এমনকি বিএনপির প্রার্থীরাও মেয়র লিটনের দিকে ঝুঁকছেন। গত ১০ বছরে বিএনপিপন্থী অন্তত ৫ জন কাউন্সিলর আওয়ামী লীগে ভিড়েছেন। এবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও অন্তত ১০-১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মেয়র লিটনের সমর্থন পেতে ছুটছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দলীয় সূত্র মতে, রাজশাহীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে এবার অন্তত ২৫ জন বিএনপিপন্থী কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। যাদের মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে শাহমখদুম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টুটুল, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুস সোবহান লিটন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সহ-সভাপতি দিলদার হোসেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কিনু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জিল্লুর রহমান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আমিন আযব, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আশরাফুল হাসান (বাচ্চু)। এছাড়া সংরক্ষিত ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহার এবং সংরক্ষিত ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী বেলি খাতুন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া আরও অন্তত ১০-১২ জন বিএনপিপন্থী কাউন্সিলর প্রার্থী এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগপন্থী কাউন্সিলরদের পাশাপাশি বিএনপিপন্থী কাউন্সিলররা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সমানে।
এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। গতকাল সকালে তিনি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগে সকালে তিনি হজরত শাহ্ মখদুমের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। মনোনয়নপত্র জমাদানের পর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ভোট সুষ্ঠু হলে আমরা জয়লাভ করবো। আশা করছি ভোট সুষ্ঠু হবে। জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল। সেই হিসেবে আমরা নির্বাচনে এসেছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রাহাত হোসেন, রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ওয়াসিউর রহমান দোলন, রাজশাহী মহানগর জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম শাহিনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
সোমবার, ২২ মে ২০২৩ , ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০২ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের কোন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করলে তাদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হবে।
গতকাল সকালে নগরীর মালোপাড়া এলাকায় অবস্থিত বিএনপির কার্যলয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচনের কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। এই নির্বাচন ভোট ডাকাতি এবং প্রহসনের নির্বাচন হবে। বর্তমান সরকারের পতন এবং এই নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সুনিশ্চিত করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন মিনু।
সংবাদ সম্মেলন থেকে গত ১৯ মে পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর থেকে জনসভা শেষ করে বাড়িতে ফেরার পথে বিএনপি ও তার সহযোগী সংঠনের ১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করা হয়। এ সময় তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা, জেলা বিএনপির আহ্বয়ক আবু সাইদ চাঁদ, নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদসহ প্রমুখ।
এদিকে রাসিক নির্বাচনে বিএনপিপন্থী অন্তত ২৫ জন কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ও বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর সেই সুযোগ নিতে কাউন্সিলর প্রার্থীরা এমনকি বিএনপির প্রার্থীরাও মেয়র লিটনের দিকে ঝুঁকছেন। গত ১০ বছরে বিএনপিপন্থী অন্তত ৫ জন কাউন্সিলর আওয়ামী লীগে ভিড়েছেন। এবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও অন্তত ১০-১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মেয়র লিটনের সমর্থন পেতে ছুটছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দলীয় সূত্র মতে, রাজশাহীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে এবার অন্তত ২৫ জন বিএনপিপন্থী কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। যাদের মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে শাহমখদুম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টুটুল, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুস সোবহান লিটন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সহ-সভাপতি দিলদার হোসেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কিনু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জিল্লুর রহমান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আমিন আযব, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আশরাফুল হাসান (বাচ্চু)। এছাড়া সংরক্ষিত ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহার এবং সংরক্ষিত ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী বেলি খাতুন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া আরও অন্তত ১০-১২ জন বিএনপিপন্থী কাউন্সিলর প্রার্থী এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগপন্থী কাউন্সিলরদের পাশাপাশি বিএনপিপন্থী কাউন্সিলররা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সমানে।
এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। গতকাল সকালে তিনি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগে সকালে তিনি হজরত শাহ্ মখদুমের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। মনোনয়নপত্র জমাদানের পর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ভোট সুষ্ঠু হলে আমরা জয়লাভ করবো। আশা করছি ভোট সুষ্ঠু হবে। জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল। সেই হিসেবে আমরা নির্বাচনে এসেছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রাহাত হোসেন, রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ওয়াসিউর রহমান দোলন, রাজশাহী মহানগর জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম শাহিনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।