রংপুর মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনার জন্য টেন্ডার আহ্বানের নামে মালামাল না নিয়েই মাত্র ৫ দিনের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার বিল প্রদানের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা দায়ের করে। ৪ বছর অতিবাহিত হলেও দুদক মামলার চার্জসিট প্রদান করেনি। বরং মামলাটি ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ার পাঁয়তারা করার অভিযোগ উঠেছে দুদকের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় মামলার অন্যতম আসামি ডা. চন্দনকে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর দীর্ঘ ৪ বছরেও তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়নি।
দুদক রংপুর বিভাগীয় পরিচালক আবদুল করিম দীর্ঘ ৪ বছরেও মামলার চার্জসিট না দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজে টেন্ডার জালিয়াতি ও দুর্নীতির ঘটনা জানাজানি হলে দৈনিক সংবাদের পক্ষ থেকে তথ্য অধিকার আইনে প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়। ১০ মাস পর তথ্য কমিশনের নির্দেশে তথ্য পেয়ে সংবাদে তিন পর্বের সরজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, কলেজের অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে রংপুর মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, এসিসহ অন্য মালামাল কেনার জন্য ২০১৮ সালের জুন মাসে দরপত্র আহ্বান করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুর ইসলাম। পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার জন্য টেন্ডার আহ্বান করার সময়ই নজিরবিহীন অনিয়ম করা হয়। টেন্ডারে অংশ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা টেন্ডারের দেয়া দর এবং পছন্দের প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সার্জিকাল কোম্পানির দেয়া দর অনেক বেশি হলেও টেন্ডার খোলার পর ওপিনিং শিটে ব্যাপক কাটাকাটি করে বেঙ্গল সার্জিকালকে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানো হয়। এতে টেন্ডার কমিটির সদস্য হিসেবে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার অতিশদর্শী চাকমা ওপেনিং সিএসএ স্বাক্ষর করেননি। শুধু তাই নয় দাখিল করা টেন্ডারগুলোর যে ওপেনিং সিএস করা হয়েছিল তার কপি চেয়ে না পেয়ে অবশেষে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত চিঠি দিয়ে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত ও রেজুলেশনের কপি চান। জেলা প্রশাসকের চিঠির কোন উত্তর অধ্যক্ষ দেননি। এমনকি টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত এবং রেজুলেশনের কপি দেননি বলে জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব অভিযোগ করেছিলেন।
এরপরও অধ্যক্ষ তার পছন্দের প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যালকে সর্বনিম্ন দরপত্র দাতা হিসেবে ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা দরে বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী ও মালামাল সরবরাহ করার কার্যাদেশ প্রদান করেন। এছাড়া, কোন মালামাল গ্রহণ না করেই মাত্র তিনদিনের মাথায় টেন্ডারের মুল্য ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বিল প্রদান করা হয়।
এদিকে বাজার দর কমিটি গঠনের নামে চরম জ্বালিয়াতি করে প্রতিটি চিকিৎসা সামগ্রী ও মালামালের মুল্য ৫০ থেকে একশগুণ বেশি দামে কেনা দেখানো হয়েছে। যেমন দুই টন এসি কেনা দেখানো হয়েছে প্রতিটির মূল্য ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা দরে। অথচ এর বাজার দর মাত্র ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এতে করে শুধু ৩২টি এসি কেনার দাম বাজার মূল্যের চেয়ে ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। একই ভাবে ইলেকট্রিক এনালাইজার বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অথচ কেনা দেখানো হয়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। বায়োলজিক্যাল মাইক্রোস্কপের বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা হলেও কেনা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দরে। শর্টওয়েভ মেশিন ফর ফিজিওথেরাপির বাজার মূল্য যেখানে ১২ লাখ টাকা সেখানে তা কেনা দেখানো হয়েছে ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দরে। শুধু এই যন্ত্রটি বাজার মূল্যের চেয়ে ৪৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। আলট্রাসাউন্ড মেশিন ফর ফিজিওথেরাপি মেশিনের বাজার মূল্য যেখানে ৪ লাখ টাকা সেই মেশিন কেনা দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫শ’ টাকা। অন্যদিকে ভিডিও এ্যানড্রসকপি মেশিনের বাজার মূল্য যেখানে ৩৫ লাখ টাকা সেখানে কেনা দেখানো হয়েছে এক কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমুনাজারি এনালাইজারের বাজার মূল্য যেখানে ২০ লাখ টাকা সেখানে দাম দেখানো হয়েছে এক কোটি টাকা শুধু এই যন্ত্র কেনার নামে ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বায়োকেমিস্ট্রি এনালাইজার মেশিন যার বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সেখানে কেনা দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫শ’ টাকা।
উপরোক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক আইনে মামলা দায়ের করার পর প্রধান আসামি কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুর ইসলাম ও ডা. চন্দন হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন নেন। হাইকোর্ট তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। সেই অনুযায়ী দুই জনেই পৃথক পৃথকভাবে রংপুরের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বেশ কিছুদিন কারাভোগের পর তারা দুজনেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন।
এদিকে রংপুর দুদক আদালতের এক আইনজীবী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, আলোচিত মামলাটি একশভাগ প্রমাণিত। অনেক আগেই মামলার চার্জসিট আদালতে দাখিল করতে পারতো দুদক। কেন দীর্ঘ ৪ বছরেও করেনি এটা তারাই বলতে পারবেন।
দুদক রংপুর বিভাগীয় পরিচালক আবদুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, আদালতে আসামি ডা. চন্দনের জামিন নামঞ্জুর হওয়া এবং কারাভোগের পর সাসপেন্ড করা উচিত ছিল। এটাই আইনের বিধান। কিন্তু ৪ বছরেও তাকে সাসপেন্ড করা হয়নি কেন সেটা বোধগম্য নয় তবে।
তিনি বলেন, মামলার বাদী হয়েছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা। এ প্রতিনিধির সামনেই তিনি মামলার বাদী দুদক উপ-সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ওই কর্মকর্তা তাকে জানান তদন্ত নাকি এখনও চলছে। এখনও চার্জসিট দেয়া হয়নি। আসামিদের রক্ষা করতে মামলা ফাইনাল রিপোর্ট দেবার পায়তারা চলছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান এ ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই।
সোমবার, ২২ মে ২০২৩ , ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০২ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
রংপুর মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনার জন্য টেন্ডার আহ্বানের নামে মালামাল না নিয়েই মাত্র ৫ দিনের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার বিল প্রদানের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা দায়ের করে। ৪ বছর অতিবাহিত হলেও দুদক মামলার চার্জসিট প্রদান করেনি। বরং মামলাটি ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ার পাঁয়তারা করার অভিযোগ উঠেছে দুদকের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় মামলার অন্যতম আসামি ডা. চন্দনকে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর দীর্ঘ ৪ বছরেও তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়নি।
দুদক রংপুর বিভাগীয় পরিচালক আবদুল করিম দীর্ঘ ৪ বছরেও মামলার চার্জসিট না দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজে টেন্ডার জালিয়াতি ও দুর্নীতির ঘটনা জানাজানি হলে দৈনিক সংবাদের পক্ষ থেকে তথ্য অধিকার আইনে প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়। ১০ মাস পর তথ্য কমিশনের নির্দেশে তথ্য পেয়ে সংবাদে তিন পর্বের সরজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, কলেজের অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে রংপুর মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, এসিসহ অন্য মালামাল কেনার জন্য ২০১৮ সালের জুন মাসে দরপত্র আহ্বান করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুর ইসলাম। পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার জন্য টেন্ডার আহ্বান করার সময়ই নজিরবিহীন অনিয়ম করা হয়। টেন্ডারে অংশ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা টেন্ডারের দেয়া দর এবং পছন্দের প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সার্জিকাল কোম্পানির দেয়া দর অনেক বেশি হলেও টেন্ডার খোলার পর ওপিনিং শিটে ব্যাপক কাটাকাটি করে বেঙ্গল সার্জিকালকে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানো হয়। এতে টেন্ডার কমিটির সদস্য হিসেবে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার অতিশদর্শী চাকমা ওপেনিং সিএসএ স্বাক্ষর করেননি। শুধু তাই নয় দাখিল করা টেন্ডারগুলোর যে ওপেনিং সিএস করা হয়েছিল তার কপি চেয়ে না পেয়ে অবশেষে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত চিঠি দিয়ে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত ও রেজুলেশনের কপি চান। জেলা প্রশাসকের চিঠির কোন উত্তর অধ্যক্ষ দেননি। এমনকি টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত এবং রেজুলেশনের কপি দেননি বলে জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব অভিযোগ করেছিলেন।
এরপরও অধ্যক্ষ তার পছন্দের প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যালকে সর্বনিম্ন দরপত্র দাতা হিসেবে ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা দরে বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী ও মালামাল সরবরাহ করার কার্যাদেশ প্রদান করেন। এছাড়া, কোন মালামাল গ্রহণ না করেই মাত্র তিনদিনের মাথায় টেন্ডারের মুল্য ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বিল প্রদান করা হয়।
এদিকে বাজার দর কমিটি গঠনের নামে চরম জ্বালিয়াতি করে প্রতিটি চিকিৎসা সামগ্রী ও মালামালের মুল্য ৫০ থেকে একশগুণ বেশি দামে কেনা দেখানো হয়েছে। যেমন দুই টন এসি কেনা দেখানো হয়েছে প্রতিটির মূল্য ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা দরে। অথচ এর বাজার দর মাত্র ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এতে করে শুধু ৩২টি এসি কেনার দাম বাজার মূল্যের চেয়ে ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। একই ভাবে ইলেকট্রিক এনালাইজার বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অথচ কেনা দেখানো হয়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। বায়োলজিক্যাল মাইক্রোস্কপের বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা হলেও কেনা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দরে। শর্টওয়েভ মেশিন ফর ফিজিওথেরাপির বাজার মূল্য যেখানে ১২ লাখ টাকা সেখানে তা কেনা দেখানো হয়েছে ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দরে। শুধু এই যন্ত্রটি বাজার মূল্যের চেয়ে ৪৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। আলট্রাসাউন্ড মেশিন ফর ফিজিওথেরাপি মেশিনের বাজার মূল্য যেখানে ৪ লাখ টাকা সেই মেশিন কেনা দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫শ’ টাকা। অন্যদিকে ভিডিও এ্যানড্রসকপি মেশিনের বাজার মূল্য যেখানে ৩৫ লাখ টাকা সেখানে কেনা দেখানো হয়েছে এক কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এমুনাজারি এনালাইজারের বাজার মূল্য যেখানে ২০ লাখ টাকা সেখানে দাম দেখানো হয়েছে এক কোটি টাকা শুধু এই যন্ত্র কেনার নামে ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বায়োকেমিস্ট্রি এনালাইজার মেশিন যার বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সেখানে কেনা দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫শ’ টাকা।
উপরোক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক আইনে মামলা দায়ের করার পর প্রধান আসামি কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুর ইসলাম ও ডা. চন্দন হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন নেন। হাইকোর্ট তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। সেই অনুযায়ী দুই জনেই পৃথক পৃথকভাবে রংপুরের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বেশ কিছুদিন কারাভোগের পর তারা দুজনেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন।
এদিকে রংপুর দুদক আদালতের এক আইনজীবী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, আলোচিত মামলাটি একশভাগ প্রমাণিত। অনেক আগেই মামলার চার্জসিট আদালতে দাখিল করতে পারতো দুদক। কেন দীর্ঘ ৪ বছরেও করেনি এটা তারাই বলতে পারবেন।
দুদক রংপুর বিভাগীয় পরিচালক আবদুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, আদালতে আসামি ডা. চন্দনের জামিন নামঞ্জুর হওয়া এবং কারাভোগের পর সাসপেন্ড করা উচিত ছিল। এটাই আইনের বিধান। কিন্তু ৪ বছরেও তাকে সাসপেন্ড করা হয়নি কেন সেটা বোধগম্য নয় তবে।
তিনি বলেন, মামলার বাদী হয়েছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা। এ প্রতিনিধির সামনেই তিনি মামলার বাদী দুদক উপ-সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ওই কর্মকর্তা তাকে জানান তদন্ত নাকি এখনও চলছে। এখনও চার্জসিট দেয়া হয়নি। আসামিদের রক্ষা করতে মামলা ফাইনাল রিপোর্ট দেবার পায়তারা চলছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান এ ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই।