ফুটবল প্রতিভা খুঁজে দেবে প্রযুক্তি

প্রযুক্তির কারণে জুনিয়র ফুটবল দল নির্বাচনে বোধহয় ‘নির্বাচক’ সিস্টেমের অবলুপ্তি ঘটতে চলেছে। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে টেকনিক্যাল সাহায্য করার জন্য জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি করে। ঠিক হয়, প্রতিভাবান ফুটবলারদের একটি ‘ডাটা ব্যাংক’ তৈরি করা হবে। যখনই জাতীয় দলের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল গঠন হবে, এই ডাটা ব্যাংক থেকে ফুটবলার নেয়া হবে। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে হবে এই ট্যালেন্ট সার্চ?

জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের পরামর্শ অনুযায়ী, কোন কোচ, নির্বাচকের দরকার নেই। জার্মানিতে এখন যেভাবে ট্যালেন্ট সার্চ চলছে। কিছুদিন আগেই কলকাতায় জার্মানি থেকে দুইজন বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন। তারা কোন টেকনিক্যাল লোকজন নন। এরা শুধুই প্রযুক্তির ঠিকঠাক প্রয়োগ জানেন। তাতে মাঠের একপাশে দোতলা সমান বাড়ির উচ্চতায় একটি ক্যামেরা রাখা হয়। নিচে বেশ কিছু মনিটর। পাঁচজন করে দুটো দল গড়ে খেলতে দেয়া হয়। ফুটবলাররা কোন স্পিডে দৌড়চ্ছেন, কার ড্রিবল কত ভালো, কার বডি ফেইন্ট ভালো, কার হেডিং ভালো, কার এনডিওরেন্স ভালো, সব ওই ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরে ধরা পড়েছে। আর প্রত্যেক ফুটবলারের আলাদা আলাদা করে রিপোর্ট ধরা পড়ে প্রযুক্তিতে।

এরপর প্রযুক্তির সাহায্যে সব ফুটবলারের রিপোর্ট আলাদা আলাদা করে বিশ্লেষণ করে জানানো হয় ফেডারেশনকে। দেখা গেলো, অনূর্ধ্ব-১৪ কোন ফুটবলারের বেসিক, তাতে ইউরোপের জুনিয়র ফুটবলারদের সমান। তাতে যে কয়জন জুনিয়র ফুটবলার এই পর্যায়ের চিহ্নিত হবে, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন ঠিক করেছে, সেই জুনিয়র ফুটবলারদের ইউরোপে পাঠিয়ে ট্রেনিং দিতে। যাতে শুরু থেকেই ইউরোপীয়ান ফুটবলারদের সঙ্গে ট্রেনিং করিয়ে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়া যায়।

একই সঙ্গে ফেডারেশনের হাতে তৈরি থাকবে একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলারের রিপোর্ট। কোন ফুটবলারকে জাতীয় শিবিরে ডাকতে হবে, তার জন্য আর দরকার পড়বে না, কোন ফুটবল বিশেষজ্ঞর মতামত। যন্ত্রই সব ঠিক করে দেবে।

সোমবার, ২২ মে ২০২৩ , ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০২ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

ফুটবল প্রতিভা খুঁজে দেবে প্রযুক্তি

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

প্রযুক্তির কারণে জুনিয়র ফুটবল দল নির্বাচনে বোধহয় ‘নির্বাচক’ সিস্টেমের অবলুপ্তি ঘটতে চলেছে। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে টেকনিক্যাল সাহায্য করার জন্য জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি করে। ঠিক হয়, প্রতিভাবান ফুটবলারদের একটি ‘ডাটা ব্যাংক’ তৈরি করা হবে। যখনই জাতীয় দলের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল গঠন হবে, এই ডাটা ব্যাংক থেকে ফুটবলার নেয়া হবে। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে হবে এই ট্যালেন্ট সার্চ?

জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের পরামর্শ অনুযায়ী, কোন কোচ, নির্বাচকের দরকার নেই। জার্মানিতে এখন যেভাবে ট্যালেন্ট সার্চ চলছে। কিছুদিন আগেই কলকাতায় জার্মানি থেকে দুইজন বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন। তারা কোন টেকনিক্যাল লোকজন নন। এরা শুধুই প্রযুক্তির ঠিকঠাক প্রয়োগ জানেন। তাতে মাঠের একপাশে দোতলা সমান বাড়ির উচ্চতায় একটি ক্যামেরা রাখা হয়। নিচে বেশ কিছু মনিটর। পাঁচজন করে দুটো দল গড়ে খেলতে দেয়া হয়। ফুটবলাররা কোন স্পিডে দৌড়চ্ছেন, কার ড্রিবল কত ভালো, কার বডি ফেইন্ট ভালো, কার হেডিং ভালো, কার এনডিওরেন্স ভালো, সব ওই ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরে ধরা পড়েছে। আর প্রত্যেক ফুটবলারের আলাদা আলাদা করে রিপোর্ট ধরা পড়ে প্রযুক্তিতে।

এরপর প্রযুক্তির সাহায্যে সব ফুটবলারের রিপোর্ট আলাদা আলাদা করে বিশ্লেষণ করে জানানো হয় ফেডারেশনকে। দেখা গেলো, অনূর্ধ্ব-১৪ কোন ফুটবলারের বেসিক, তাতে ইউরোপের জুনিয়র ফুটবলারদের সমান। তাতে যে কয়জন জুনিয়র ফুটবলার এই পর্যায়ের চিহ্নিত হবে, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন ঠিক করেছে, সেই জুনিয়র ফুটবলারদের ইউরোপে পাঠিয়ে ট্রেনিং দিতে। যাতে শুরু থেকেই ইউরোপীয়ান ফুটবলারদের সঙ্গে ট্রেনিং করিয়ে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়া যায়।

একই সঙ্গে ফেডারেশনের হাতে তৈরি থাকবে একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলারের রিপোর্ট। কোন ফুটবলারকে জাতীয় শিবিরে ডাকতে হবে, তার জন্য আর দরকার পড়বে না, কোন ফুটবল বিশেষজ্ঞর মতামত। যন্ত্রই সব ঠিক করে দেবে।