ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি : এবিবি

দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে বর্তমানে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল?্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাশরুর আরেফিন। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবিবি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় এবিবির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘করোনার পর ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চলা অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে শুরু করছে ব্যাংকিং খাত। ফলে আমানত বাড়ছে কিন্তু সে তুলনায় ঋণ বিতরণ কমেছে। এ কারণে বর্তমানে প্রয়োজনের চেয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল?্য রয়েছে।

প্রশ্নের জবাবে এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘এখনও এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। ছোট ছোট এলসিগুলো খুলতে পরছি না। আমাদের কাছে ১০টি এলে হয়তো ৪টি এলসি খুলতে পারছি। তবে আমাদের ভালো দিক হলো এক্সপোর্ট বাড়ছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে।’

এলসি সমস্যা কাটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানির জন্য এলসি ওপেন করছি। এলসি ওপেনের ক্ষেত্রে সার দরকার, তেলের এলিসিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। তারপর খেলনা কিংবা কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের এলসি খুলছি। এখনও দেশের মানুষের এখনও আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি বিশ্বাস আছে। এ কারণে এখন ডিপোজিট বাড়ছে, বাড়ছে রেমিট্যান্সও।’ রেমিট্যান্সে ডলারের রেট ৮৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩ , ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৩ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি : এবিবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে বর্তমানে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল?্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাশরুর আরেফিন। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবিবি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় এবিবির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘করোনার পর ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চলা অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে শুরু করছে ব্যাংকিং খাত। ফলে আমানত বাড়ছে কিন্তু সে তুলনায় ঋণ বিতরণ কমেছে। এ কারণে বর্তমানে প্রয়োজনের চেয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল?্য রয়েছে।

প্রশ্নের জবাবে এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘এখনও এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। ছোট ছোট এলসিগুলো খুলতে পরছি না। আমাদের কাছে ১০টি এলে হয়তো ৪টি এলসি খুলতে পারছি। তবে আমাদের ভালো দিক হলো এক্সপোর্ট বাড়ছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে।’

এলসি সমস্যা কাটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানির জন্য এলসি ওপেন করছি। এলসি ওপেনের ক্ষেত্রে সার দরকার, তেলের এলিসিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। তারপর খেলনা কিংবা কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের এলসি খুলছি। এখনও দেশের মানুষের এখনও আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি বিশ্বাস আছে। এ কারণে এখন ডিপোজিট বাড়ছে, বাড়ছে রেমিট্যান্সও।’ রেমিট্যান্সে ডলারের রেট ৮৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা হয়েছে বলে জানান তিনি।