ভোলার নতুন গ্যাস ক্ষেত্র ‘ইলিশা’, মজুদ ২০০ বিসিএফ

দেশে চলমান গ্যাস সংকটের মধ্যে দ্বীপ জেলা ভোলায় নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে রাষ্ট্রীয় গ্যাস অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাস মজুদ রয়েছে। দেশীয় গ্যাসের বাজার মূল্যে মজুদ গ্যাসের দাম ৬৫০০ কোটি টাকা। আর আমদানিকৃত এলএনজির দর বিবেচনায় মূল্য দাঁড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু গতকাল নতুন এই গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে তিনি বলেন, ‘ভোলার ইলিশা-১ কূপটি দেশের নতুন গ্যাসক্ষেত্র (২৯তম)। এটি ভোলা জেলার তৃতীয় গ্যাসক্ষেত্র। এটা খুবই আনন্দের সংবাদ, সৌভাগ্যের বিষয়। সেখানকার অন্য দুটি হলো শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্র।’

ভোলা জেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় গত মার্চে কূপ খননের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। কূপের নামকরণ করা হয় ইলিশা-১। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম বাপেক্সের হয়ে কূপটি খনন করে। প্রায় ৩৪৫৭ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন কাজ শেষে ধাপে ধাপে প্রয়োজনী পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ মাসের মাঝামাঝি বিশাল এই গ্যাসের মজুদের বিষয়ে নিশ্চিত হয় বাপেক্স।

১৯৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে বাপেক্স। এখান থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয় ২০০৯ সালে। ২০১৮ সালে বাপেক্স আবিষ্কার করে ভোলার দ্বিতীয় গ্যাসক্ষেত্র- ভোলা নর্থ। এটি সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত। তবে চাহিদা না থাকায় এই ক্ষেত্রটি থেকে এখনও উৎপাদন শুরু হয়নি।

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী সংবাদকে বলেন, নিকটবর্তী গ্যাসক্ষেত্র ভোলা নর্থ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ইলিশা-১ কূপটির অবস্থান। এখানে পাওয়া গ্যাসের স্তরের সঙ্গে ভোলা নর্থের কাঠামোগত কোন সংযোগ নেই। ভূগর্ভের একটি ফাটলের মাধ্যমে একটি ক্ষেত্র থেকে অপরটি বিচ্ছিন্ন। তাই ইলিশা একটি নতুন গ্যাসক্ষেত্র। ভূতাত্ত্বিক ও ভূপদার্থিক কারিগরি বিশ্লেষণ এবং ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) করে ইলিশা কূপকে দেশের নতুন ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা প্রদানের বিষয়ে বাপেক্স মতামত প্রদান করে।

গতকাল জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাপেক্স তাদের আবিষ্কারের স্বীকৃতি পেল।

বাপেক্সের তথ্য অনুযায়ী, ভোলাতে শাহজাদপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা মিলিয়ে প্রায় ২ দশমিক ২৩ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস মজুদ রয়েছে। প্রতিদিন উত্তোলন করা যেতে পারে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

দেশে দৈনিক প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফ গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার এমএমসিএফ (সাড়ে ৯শ’ এমএমসিএফ এলএনজি আমদানিসহ )। এরপরও প্রায় এক হাজার এমএমসিএফ গ্যাস ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। গ্যাসের অভাবে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনহ ব্যাহত হওয়ায় লোডশেডিং করা হচ্ছে।

এদিকে ভোলা থেকে বর্তমানে দৈনিক ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফ) উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা কম হওয়ায় এবং ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত না হওয়ায় গ্যাস উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে।

উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকায় এনে সংকটে থাকা শিল্পে সরবরাহ করতে ইন্ট্রাকো নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে গত রোববার চুক্তি করেছে রাষ্ট্রীয় বিতরণ প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি। ইন্ট্রাকো বিশেষ পরিবহনে সিএনজি করে এই গ্যাস নিয়ে আসবে ঢাকা অঞ্চলে। শুরুতে এই প্রতিষ্ঠানটি ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঢাকায় আনবে, যা পর্যায়ক্রমে বাড়বে।

সঞ্চালন লাইন কোন দিকে যাবে

ভোলায় স্থলভাগে আবিষ্কৃত গ্যাস ছাড়াও সাগরাঞ্চলে আরও গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই আমরা ভোলায় গ্যাস অনুসন্ধান করছিলাম। এই প্রথম ভোলা নর্থ প্রকল্পের আওতাধীন নদীর ঠিক ওপরের দিকে আমরা নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার করেছি। আমরা আরও আশাবাদী, কারণ ভোলার অনশোর বাদ দিয়েও অফশোর বা সাগরে ড্রিলিংয়ের দিকে যাব।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভোলার সব গ্যাস নিয়ে একটা পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। ভোলা থেকে ফেনী পর্যন্ত একটি পাইপলাইন তৈরি এবং ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনার দিকে একটি পাইপলাইন তৈরির জন্য আমরা কাজ করছি। তবে এই মুহূর্তে বরিশালের দিকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শুরু হচ্ছে। বরিশাল থেকে এই পাইপলাইন মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকায় চলে আসবে। আরেকটা লাইন যাবে খুলনার দিকে। পায়রা থেকে এফএসআরইউর মাধ্যমে যে এলএনজি আসবে, সেটি ৬৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ভোলা-বরিশাল লাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে। অর্থাৎ আমরা একটা রিং ফেইজ ইনস্টল করছি সারা বাংলাদেশে যার মাধ্যমে প্রতিটি এলাকা গ্যাসের আওতায় আসবে।’

ভোলাবাসী কতটা পাবে

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাস ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা ব্যবহার করার সুযোগ পাবে কি না- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই শিল্প, কারখানা ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ভোলা থাকবে অগ্রাধিকারে। এই মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ আছে। সেই কারণে ভোলাতেও এখন আবাসিক সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কীভাবে গ্যাস সুবিধা দেয়া যায় সেই চিন্তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩ , ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৩ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

ভোলার নতুন গ্যাস ক্ষেত্র ‘ইলিশা’, মজুদ ২০০ বিসিএফ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দেশে চলমান গ্যাস সংকটের মধ্যে দ্বীপ জেলা ভোলায় নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে রাষ্ট্রীয় গ্যাস অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাস মজুদ রয়েছে। দেশীয় গ্যাসের বাজার মূল্যে মজুদ গ্যাসের দাম ৬৫০০ কোটি টাকা। আর আমদানিকৃত এলএনজির দর বিবেচনায় মূল্য দাঁড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু গতকাল নতুন এই গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে তিনি বলেন, ‘ভোলার ইলিশা-১ কূপটি দেশের নতুন গ্যাসক্ষেত্র (২৯তম)। এটি ভোলা জেলার তৃতীয় গ্যাসক্ষেত্র। এটা খুবই আনন্দের সংবাদ, সৌভাগ্যের বিষয়। সেখানকার অন্য দুটি হলো শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্র।’

ভোলা জেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় গত মার্চে কূপ খননের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। কূপের নামকরণ করা হয় ইলিশা-১। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম বাপেক্সের হয়ে কূপটি খনন করে। প্রায় ৩৪৫৭ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন কাজ শেষে ধাপে ধাপে প্রয়োজনী পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ মাসের মাঝামাঝি বিশাল এই গ্যাসের মজুদের বিষয়ে নিশ্চিত হয় বাপেক্স।

১৯৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে বাপেক্স। এখান থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয় ২০০৯ সালে। ২০১৮ সালে বাপেক্স আবিষ্কার করে ভোলার দ্বিতীয় গ্যাসক্ষেত্র- ভোলা নর্থ। এটি সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত। তবে চাহিদা না থাকায় এই ক্ষেত্রটি থেকে এখনও উৎপাদন শুরু হয়নি।

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী সংবাদকে বলেন, নিকটবর্তী গ্যাসক্ষেত্র ভোলা নর্থ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ইলিশা-১ কূপটির অবস্থান। এখানে পাওয়া গ্যাসের স্তরের সঙ্গে ভোলা নর্থের কাঠামোগত কোন সংযোগ নেই। ভূগর্ভের একটি ফাটলের মাধ্যমে একটি ক্ষেত্র থেকে অপরটি বিচ্ছিন্ন। তাই ইলিশা একটি নতুন গ্যাসক্ষেত্র। ভূতাত্ত্বিক ও ভূপদার্থিক কারিগরি বিশ্লেষণ এবং ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) করে ইলিশা কূপকে দেশের নতুন ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা প্রদানের বিষয়ে বাপেক্স মতামত প্রদান করে।

গতকাল জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাপেক্স তাদের আবিষ্কারের স্বীকৃতি পেল।

বাপেক্সের তথ্য অনুযায়ী, ভোলাতে শাহজাদপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা মিলিয়ে প্রায় ২ দশমিক ২৩ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস মজুদ রয়েছে। প্রতিদিন উত্তোলন করা যেতে পারে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

দেশে দৈনিক প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফ গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার এমএমসিএফ (সাড়ে ৯শ’ এমএমসিএফ এলএনজি আমদানিসহ )। এরপরও প্রায় এক হাজার এমএমসিএফ গ্যাস ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। গ্যাসের অভাবে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনহ ব্যাহত হওয়ায় লোডশেডিং করা হচ্ছে।

এদিকে ভোলা থেকে বর্তমানে দৈনিক ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফ) উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা কম হওয়ায় এবং ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত না হওয়ায় গ্যাস উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে।

উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকায় এনে সংকটে থাকা শিল্পে সরবরাহ করতে ইন্ট্রাকো নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে গত রোববার চুক্তি করেছে রাষ্ট্রীয় বিতরণ প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি। ইন্ট্রাকো বিশেষ পরিবহনে সিএনজি করে এই গ্যাস নিয়ে আসবে ঢাকা অঞ্চলে। শুরুতে এই প্রতিষ্ঠানটি ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঢাকায় আনবে, যা পর্যায়ক্রমে বাড়বে।

সঞ্চালন লাইন কোন দিকে যাবে

ভোলায় স্থলভাগে আবিষ্কৃত গ্যাস ছাড়াও সাগরাঞ্চলে আরও গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই আমরা ভোলায় গ্যাস অনুসন্ধান করছিলাম। এই প্রথম ভোলা নর্থ প্রকল্পের আওতাধীন নদীর ঠিক ওপরের দিকে আমরা নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার করেছি। আমরা আরও আশাবাদী, কারণ ভোলার অনশোর বাদ দিয়েও অফশোর বা সাগরে ড্রিলিংয়ের দিকে যাব।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভোলার সব গ্যাস নিয়ে একটা পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। ভোলা থেকে ফেনী পর্যন্ত একটি পাইপলাইন তৈরি এবং ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনার দিকে একটি পাইপলাইন তৈরির জন্য আমরা কাজ করছি। তবে এই মুহূর্তে বরিশালের দিকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শুরু হচ্ছে। বরিশাল থেকে এই পাইপলাইন মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকায় চলে আসবে। আরেকটা লাইন যাবে খুলনার দিকে। পায়রা থেকে এফএসআরইউর মাধ্যমে যে এলএনজি আসবে, সেটি ৬৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ভোলা-বরিশাল লাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে। অর্থাৎ আমরা একটা রিং ফেইজ ইনস্টল করছি সারা বাংলাদেশে যার মাধ্যমে প্রতিটি এলাকা গ্যাসের আওতায় আসবে।’

ভোলাবাসী কতটা পাবে

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাস ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা ব্যবহার করার সুযোগ পাবে কি না- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই শিল্প, কারখানা ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ভোলা থাকবে অগ্রাধিকারে। এই মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ আছে। সেই কারণে ভোলাতেও এখন আবাসিক সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কীভাবে গ্যাস সুবিধা দেয়া যায় সেই চিন্তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’