২৯.৭৩ শতাংশ প্রার্থী মামলার আসামি সংবাদ সম্মেলনে সুজন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৩৩৩ জন প্রার্থীর তথ্য বিশ্লেষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সেখানে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীদের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে দেখা যায়, মোট প্রার্থীর ২৯.৭৩ শতাংশই মামলার আসামি। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৮ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের (২৫%) বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে। এর দুজন হলেন- জাতীয় পার্টির নিয়াজ উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে অতীতে তিনটি মামলা ছিল। বর্তমানে কোন মামলা নেই। তার বিরুদ্ধে অতীতে হওয়া মামলার মধ্যে একটি ৩০২ ধারার মামলাও ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘একজন প্রার্থীর যোগ্যতার পুরোপুরি তথ্য ভোটারের জানা উচিত। এতে একজন ভোটার উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করতে পারেন। নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবশ্যই তার জবাবদিহিতা, যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং জন-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। সেসব বিষয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও ভোটারকে প্রার্থীর তথ্য জানতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে হয়তো। কিন্তু গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে ঝাঁকুনি খেয়েছে। একটা বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় এমনটি হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ৯২ জন মাধ্যমিক পাস করেননি। স্নাতকোত্তর রয়েছেন ২১ জন। সংরক্ষিত মোট ৭৯ জন নারী কাউন্সিলরের মধ্যে ৪০ জন মাধ্যমিক পাস করেননি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ৫ জনই স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টি মনোনীত এম এম নিয়াজ উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত গাজী আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র শাহানুর ইসলাম ও হারুন-অর রশিদ।

স্বতন্ত্র নারী মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন সশিক্ষিত এবং জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী রাজু আহমেদ অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

মেয়র এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগের পেশা ব্যবসা। মেয়র পদে তিন জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পথে ১৯২ জন পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৭৯ জনের মধ্যে ৩৯ জন গৃহিণী।

২৪৬ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৮৪ জনের (৩৪.১৫%) বিরুদ্ধে বর্তমানে, ৪২ জনের (১৭.০৭%) বিরুদ্ধে অতীতে এবং ২৮ জনের (১১.৩৮) উভয় সময়ে মামলা ছিল বা আছে। প্রার্থীদের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে (৩.২৫%) বর্তমানে ৩০২ ধারার মামলা রয়েছে, ৪ জনের বিরুদ্ধে অতীতে ৩০২ ধারার মামলা ছিল। ৭৯ জন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের (১৬.৪৬%) বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা আছে এবং ৩ জনের (৩.৮০%) বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলা ছিল। একজনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩০২ ধারার একটি মামলা রয়েছে, তিনি হলেন সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডের।

তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সর্বমোট ৩৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯৯ জনের (২৯.৭৩%) বিরুদ্ধে বর্তমানে, ৪৭ জনের (১৪.১১%) বিরুদ্ধে অতীতে এবং ২৯ জনের (৮.৭১%) বিরুদ্ধে উভয় সময়ে মামলা আছে বা ছিল। ৩০২ ধারায় ৯ জনের (২.৭০%) বিরুদ্ধে বর্তমানে এবং ৫ জনের বিরুদ্ধে (১.৫০%) অতীতে মামলা ছিল। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে মামলা সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করা। নির্বাচন কমিশন এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করবে। অতীতেও নির্বাচনের ব্যাপারে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। কেউ প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে এমন ঘটনা আমরা দেখতে চাই না। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নির্বাহী বিভাগকে কাজে লাগানোর জন্য। প্রয়োজনে নির্বাহী বিভাগের লোকদের বাধ্য করার সুযোগ রয়েছে।’

দিলীপ সরকার আরও বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের যে প্রত্যাশা আমাদের ছিল তা পূরণ হয়নি। তবে যেসব দল ও প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা সবাই যেন নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে সমসুযোগ পান। অর্থাৎ এই নির্বাচনে যেন একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দৃশ্যমান হয়।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজনের) গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার শিশিরের সঞ্চালনায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী তৌফিক জিল্লুর রহমান, গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম রাজীব, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন আহমদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিরা।

মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩ , ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৩ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

গাজীপুর সিটি নির্বাচন

২৯.৭৩ শতাংশ প্রার্থী মামলার আসামি সংবাদ সম্মেলনে সুজন

জেলা বার্তা পরিবেশক, গাজীপুর

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৩৩৩ জন প্রার্থীর তথ্য বিশ্লেষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সেখানে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীদের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে দেখা যায়, মোট প্রার্থীর ২৯.৭৩ শতাংশই মামলার আসামি। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৮ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের (২৫%) বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে। এর দুজন হলেন- জাতীয় পার্টির নিয়াজ উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে অতীতে তিনটি মামলা ছিল। বর্তমানে কোন মামলা নেই। তার বিরুদ্ধে অতীতে হওয়া মামলার মধ্যে একটি ৩০২ ধারার মামলাও ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘একজন প্রার্থীর যোগ্যতার পুরোপুরি তথ্য ভোটারের জানা উচিত। এতে একজন ভোটার উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করতে পারেন। নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবশ্যই তার জবাবদিহিতা, যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং জন-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। সেসব বিষয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও ভোটারকে প্রার্থীর তথ্য জানতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে হয়তো। কিন্তু গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে ঝাঁকুনি খেয়েছে। একটা বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় এমনটি হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ৯২ জন মাধ্যমিক পাস করেননি। স্নাতকোত্তর রয়েছেন ২১ জন। সংরক্ষিত মোট ৭৯ জন নারী কাউন্সিলরের মধ্যে ৪০ জন মাধ্যমিক পাস করেননি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ৫ জনই স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টি মনোনীত এম এম নিয়াজ উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত গাজী আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র শাহানুর ইসলাম ও হারুন-অর রশিদ।

স্বতন্ত্র নারী মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন সশিক্ষিত এবং জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী রাজু আহমেদ অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

মেয়র এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগের পেশা ব্যবসা। মেয়র পদে তিন জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পথে ১৯২ জন পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৭৯ জনের মধ্যে ৩৯ জন গৃহিণী।

২৪৬ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৮৪ জনের (৩৪.১৫%) বিরুদ্ধে বর্তমানে, ৪২ জনের (১৭.০৭%) বিরুদ্ধে অতীতে এবং ২৮ জনের (১১.৩৮) উভয় সময়ে মামলা ছিল বা আছে। প্রার্থীদের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে (৩.২৫%) বর্তমানে ৩০২ ধারার মামলা রয়েছে, ৪ জনের বিরুদ্ধে অতীতে ৩০২ ধারার মামলা ছিল। ৭৯ জন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের (১৬.৪৬%) বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা আছে এবং ৩ জনের (৩.৮০%) বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলা ছিল। একজনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩০২ ধারার একটি মামলা রয়েছে, তিনি হলেন সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডের।

তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সর্বমোট ৩৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯৯ জনের (২৯.৭৩%) বিরুদ্ধে বর্তমানে, ৪৭ জনের (১৪.১১%) বিরুদ্ধে অতীতে এবং ২৯ জনের (৮.৭১%) বিরুদ্ধে উভয় সময়ে মামলা আছে বা ছিল। ৩০২ ধারায় ৯ জনের (২.৭০%) বিরুদ্ধে বর্তমানে এবং ৫ জনের বিরুদ্ধে (১.৫০%) অতীতে মামলা ছিল। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে মামলা সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করা। নির্বাচন কমিশন এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করবে। অতীতেও নির্বাচনের ব্যাপারে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। কেউ প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে এমন ঘটনা আমরা দেখতে চাই না। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নির্বাহী বিভাগকে কাজে লাগানোর জন্য। প্রয়োজনে নির্বাহী বিভাগের লোকদের বাধ্য করার সুযোগ রয়েছে।’

দিলীপ সরকার আরও বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের যে প্রত্যাশা আমাদের ছিল তা পূরণ হয়নি। তবে যেসব দল ও প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা সবাই যেন নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে সমসুযোগ পান। অর্থাৎ এই নির্বাচনে যেন একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দৃশ্যমান হয়।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজনের) গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার শিশিরের সঞ্চালনায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী তৌফিক জিল্লুর রহমান, গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম রাজীব, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন আহমদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিরা।