বিএনপির হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রমাণিত হয়েছে : কাদের

বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্য জনসভায় সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মধ্য দিয়ে বিএনপির হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নীল নকশা আবারও দেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে।’

গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি হত্যা-ক্যু, ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায়। এ জন্য তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করার এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’ তিনি বলেন, প্রায় দেড় কোটি ভুয়া ভোটারের তথাকথিত ভোটব্যাংক নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবং ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের পথে ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের নৈতিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। সেই সঙ্গে ভুল রাজনীতির কারণে জনগণের কাছে বার বার প্রত্যাখ্যাত হওয়া বিএনপি এখন নির্বাচনে অংশ নিতেও ভয় পায়।’

সম্প্রতি বিএনপির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের দেয়া এক বক্তব্যের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রকাশ্য জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মধ্য দিয়ে বিএনপির হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নীল নকশা আবারও দেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপি একটি খুনির দল, তাদের খুনি চরিত্র বার বার উন্মোচিত হয়েছে।’ বাংলাদেশের জনগণ অচিরেই গণবিচ্ছিন্ন বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে নির্বাসনে পাঠাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ উদার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের বাক?স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। অর্ধশতাধিক বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন, সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজপোর্টালের লাইসেন্সপ্রাপ্তি সহজীকরণ; ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের মুক্ত বাতায়ন উন্মোচনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছে সরকার। গণমাধ্যমের অবারিত স্বাধীনতার সুযোগে বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশন টক-শো ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিষোদগার করে চলেছেন।’

ওবায়দুল কাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বলেন, ‘দেশে প্রথমবারের মতো সংবিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি আজ নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং দেশের জনগণ আবারও বিপুল ভোটে শেখ হাসিনাকে জনগণের সেবা ও দেশ পরিচালনার সুযোগ দেবে।’

মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩ , ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৩ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

বিএনপির হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রমাণিত হয়েছে : কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্য জনসভায় সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মধ্য দিয়ে বিএনপির হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নীল নকশা আবারও দেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে।’

গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি হত্যা-ক্যু, ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায়। এ জন্য তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করার এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’ তিনি বলেন, প্রায় দেড় কোটি ভুয়া ভোটারের তথাকথিত ভোটব্যাংক নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এবং ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের পথে ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের নৈতিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। সেই সঙ্গে ভুল রাজনীতির কারণে জনগণের কাছে বার বার প্রত্যাখ্যাত হওয়া বিএনপি এখন নির্বাচনে অংশ নিতেও ভয় পায়।’

সম্প্রতি বিএনপির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের দেয়া এক বক্তব্যের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রকাশ্য জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মধ্য দিয়ে বিএনপির হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নীল নকশা আবারও দেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপি একটি খুনির দল, তাদের খুনি চরিত্র বার বার উন্মোচিত হয়েছে।’ বাংলাদেশের জনগণ অচিরেই গণবিচ্ছিন্ন বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে নির্বাসনে পাঠাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ উদার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের বাক?স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। অর্ধশতাধিক বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন, সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজপোর্টালের লাইসেন্সপ্রাপ্তি সহজীকরণ; ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের মুক্ত বাতায়ন উন্মোচনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছে সরকার। গণমাধ্যমের অবারিত স্বাধীনতার সুযোগে বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশন টক-শো ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিষোদগার করে চলেছেন।’

ওবায়দুল কাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বলেন, ‘দেশে প্রথমবারের মতো সংবিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি আজ নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং দেশের জনগণ আবারও বিপুল ভোটে শেখ হাসিনাকে জনগণের সেবা ও দেশ পরিচালনার সুযোগ দেবে।’