গাজীপুর : আজ রাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা

বৃহস্পতিবার ভোট

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পালা একেবাওে শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজ মধ্যরাত অর্থাৎ রাত ১২টায় শেষ হবে সব প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। এরপর একদিন বুধবার পার হলেই ২৫ মে বৃহস্পতিবার বহুল আলোচিত এ প্রতিক্ষিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের এত দিনব্যাপী ধারাবাহিক ও চলমান নির্বাচনী প্রচারণার যবনিকাপাত ঘটবে আজ রাত ১২টায়। সারা দেশব্যাপী গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে যে সীমাহীন আগ্রহ-উৎসাহ, প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত ছিল পুরো সিটি করপোরেশন তারও অবসান ঘটবে আজ রাত। তাবে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদেও ভাবনা-চিন্তা, প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নিয়ে যে হিসেব-নিকেশ, নির্বাচন-পরবর্তী, খোদ নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী পরিবেশ ও প্রভাব-প্রতিক্রিয়া কী রূপ পরিগ্রহ বা ধারণা করে, বিএনপি’র নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় কৌশলগত দিকটি পুরো নির্বাচনকে কী রকম প্রভাবিত করে এমনকি মেয়র পদে বিজয়ের বরমাল্য কার গলায় শোভা পাবে এসব জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হবে এসব নিয়ে জটিল হিসেব-নিকেশের পালা এখনও শেষ হয়নি। নির্বাচন নিয়ে নানা সমীকরণ চলছে পুরো সিটিব্যাপী। কিন্তু হিসেব-নিকেশের সমীকরণও যেন মিলছে না। প্রহরে প্রহরে যেন হিসেব-নিকেশ গরমিল হয়ে যাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মী ও দল নিরপেক্ষ নীরব ভোটারদের নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ। এছাড়া গার্মেন্ট শিল্পে নিয়োজিত দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলা থেকে আগত মহিলা ভোটাররা একটা ফ্যাক্টও হয়ে দেখা দিতে পারে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী- আজমত উল্লা খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের মধ্যেই মূল লড়াই হবে এমন ধারণা নির্বাচন পর্যবেক্ষক অনেকের। কিন্তু কার দিকে পাল্লা ভারী এ নিয়েই গরমিল ভোটার ও সাধারণ নাগরিক অনেকের। এমন কী পাল্লা উঠা-নামা করছে এমন ইঙ্গিত দিচ্ছেন অনেকেই।

নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেও বেশীর ভাগের ধারণা নীরব ভোটার ও গার্মেন্ট শিল্পের মহিলা ভোটাররা ও দোদুল্যমানতায় ভুগছেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত এরা মনস্থিতির করেই তবে ভোটটি দিবেন। এর পূর্বে ভোট নিয়ে নানা সমীকরণের কোনটি মিলবে কি-না সে সংশয় কাটছে না। আজমত উল্লা খান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী- তাই দলীয় বিবেচনায় এবং বিএনপির কোন প্রার্থী না থাকায় তিনি শক্তিশালী এবং নিশ্চিত বিজয় লাভের যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ভাবনায় উজ্জীবিত ও আস্থাশীল দলের অসংখ্য নেতাকর্মী। আবার বিপরীতমুখী ভাবনা পদের তাদের বক্তব্য একই দলের ছাতার নিচে থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের প্রতি অনেকেই বেশী সহানুভূতিশীল ছিলেন। এ আবেগ-অনুভূতি কাজে লাগিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী জায়েদা খাতুনের পাল্লাও বেশ ভারী, তাই ভোট-যুদ্ধটা মূলত এ দুজনের মধ্যেই হবে। কিন্তু অপেক্ষাকৃত বয়োবৃদ্ধ সশিক্ষিত হলেও, গৃহিণী এবং নির্বাচনে ও রাজনীতিতে একেবারেই নবাগত জায়েদা খাতুন মেয়র পদেও গুরুদায়িত্ব পালনে তার সক্ষমতা যতটুকু সেটিও অনেকের ভাবনা-চিন্তার মধ্যে রয়েছে। এ পর্যায়ে ইতোমধ্যে যাদের কথা বলা হয়েছে সেই নীরব ও মহিলা ভোটাররা নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবেন এটাই বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে- এমনটাই অভিমত নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের।

আরও খবর
গণহত্যার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতির জন্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা প্রয়োজন
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অর্ধশতাব্দীতে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু
কূটনীতিকদের কাছে চিঠি, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের আহ্বান জায়েদার
২৯.৭৩ শতাংশ প্রার্থী মামলার আসামি সংবাদ সম্মেলনে সুজন
রাজশাহী বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রমাণিত হয়েছে : কাদের
ন্যাড়া বেলতলায় বার বার যায় না : ফখরুল
সিলেট : নির্বাচন অনেকটাই প্রতিযোগিতাহীন হতে যাচ্ছে
সার্ভার হ্যাক, বিআরটিএ ও ডেসকোর টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার : র‌্যাব
নসিবুন আহমেদ-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩ , ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৩ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

গাজীপুর : আজ রাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা

বৃহস্পতিবার ভোট

প্রতিনিধি, গাজীপুর

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পালা একেবাওে শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজ মধ্যরাত অর্থাৎ রাত ১২টায় শেষ হবে সব প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। এরপর একদিন বুধবার পার হলেই ২৫ মে বৃহস্পতিবার বহুল আলোচিত এ প্রতিক্ষিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের এত দিনব্যাপী ধারাবাহিক ও চলমান নির্বাচনী প্রচারণার যবনিকাপাত ঘটবে আজ রাত ১২টায়। সারা দেশব্যাপী গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে যে সীমাহীন আগ্রহ-উৎসাহ, প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত ছিল পুরো সিটি করপোরেশন তারও অবসান ঘটবে আজ রাত। তাবে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদেও ভাবনা-চিন্তা, প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নিয়ে যে হিসেব-নিকেশ, নির্বাচন-পরবর্তী, খোদ নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী পরিবেশ ও প্রভাব-প্রতিক্রিয়া কী রূপ পরিগ্রহ বা ধারণা করে, বিএনপি’র নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় কৌশলগত দিকটি পুরো নির্বাচনকে কী রকম প্রভাবিত করে এমনকি মেয়র পদে বিজয়ের বরমাল্য কার গলায় শোভা পাবে এসব জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হবে এসব নিয়ে জটিল হিসেব-নিকেশের পালা এখনও শেষ হয়নি। নির্বাচন নিয়ে নানা সমীকরণ চলছে পুরো সিটিব্যাপী। কিন্তু হিসেব-নিকেশের সমীকরণও যেন মিলছে না। প্রহরে প্রহরে যেন হিসেব-নিকেশ গরমিল হয়ে যাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মী ও দল নিরপেক্ষ নীরব ভোটারদের নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ। এছাড়া গার্মেন্ট শিল্পে নিয়োজিত দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলা থেকে আগত মহিলা ভোটাররা একটা ফ্যাক্টও হয়ে দেখা দিতে পারে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী- আজমত উল্লা খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের মধ্যেই মূল লড়াই হবে এমন ধারণা নির্বাচন পর্যবেক্ষক অনেকের। কিন্তু কার দিকে পাল্লা ভারী এ নিয়েই গরমিল ভোটার ও সাধারণ নাগরিক অনেকের। এমন কী পাল্লা উঠা-নামা করছে এমন ইঙ্গিত দিচ্ছেন অনেকেই।

নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেও বেশীর ভাগের ধারণা নীরব ভোটার ও গার্মেন্ট শিল্পের মহিলা ভোটাররা ও দোদুল্যমানতায় ভুগছেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত এরা মনস্থিতির করেই তবে ভোটটি দিবেন। এর পূর্বে ভোট নিয়ে নানা সমীকরণের কোনটি মিলবে কি-না সে সংশয় কাটছে না। আজমত উল্লা খান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী- তাই দলীয় বিবেচনায় এবং বিএনপির কোন প্রার্থী না থাকায় তিনি শক্তিশালী এবং নিশ্চিত বিজয় লাভের যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ভাবনায় উজ্জীবিত ও আস্থাশীল দলের অসংখ্য নেতাকর্মী। আবার বিপরীতমুখী ভাবনা পদের তাদের বক্তব্য একই দলের ছাতার নিচে থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের প্রতি অনেকেই বেশী সহানুভূতিশীল ছিলেন। এ আবেগ-অনুভূতি কাজে লাগিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী জায়েদা খাতুনের পাল্লাও বেশ ভারী, তাই ভোট-যুদ্ধটা মূলত এ দুজনের মধ্যেই হবে। কিন্তু অপেক্ষাকৃত বয়োবৃদ্ধ সশিক্ষিত হলেও, গৃহিণী এবং নির্বাচনে ও রাজনীতিতে একেবারেই নবাগত জায়েদা খাতুন মেয়র পদেও গুরুদায়িত্ব পালনে তার সক্ষমতা যতটুকু সেটিও অনেকের ভাবনা-চিন্তার মধ্যে রয়েছে। এ পর্যায়ে ইতোমধ্যে যাদের কথা বলা হয়েছে সেই নীরব ও মহিলা ভোটাররা নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবেন এটাই বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে- এমনটাই অভিমত নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের।