সিলেট : নির্বাচন অনেকটাই প্রতিযোগিতাহীন হতে যাচ্ছে

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর এবার দলের অন্যান্য কাউন্সিলর বা দলীয় নেতারাও নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেয়া শুরু করেছেন। ফলে আগামী ২১ জুনের নির্বাচন অনেকটা প্রতিযোগিতাহীনভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ কারণে নির্বাচনী যে আমেজ তাও দিন দিন কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতারা কাউন্সিলর নির্বাচনে পর্যায়ক্রমে সরে দাঁড়ানোয় আ’লীগ প্রার্থীদের তেমন লড়াইয়ে যেতে হচ্ছে না।

গত শনিবার সিলেট রেজিষ্ট্রারি মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। পূর্ব ঘোষিত তারিখে এই বর্জনের দুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলন করে চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান কয়েস লোদী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর সোমবার ১৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ৩ বারের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র দিনার খান হাসুও নির্বাচন বর্জন করেন। তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বিএনপি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে ছিলেন এমন ১০-১২ জন নেতা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গত শনিবার নগরীর ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিএনপি নেতা আমির হোসেন প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন অন্তর্ভুক্ত টুকেরবাজারের একটি ওয়ার্ডরে সম্ভাব্য প্রার্থী সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাব হোসেন সুমন নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিনও প্রার্থী হচ্ছেন না। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াবেন বলেও সিলেট মহানগর বিএনপির এই সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এই সরকারের অধীনে আমাদের দলের কোন নেতাকর্মী অংশ নেবে না। যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তারা আজীবনের জন্য বহিষ্কার হবে। বিএনপিতে থাকার কোন অধিকারই তাদের থাকবে না। এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে দিনার খান হাসু জানান, তিনি আগামী সিসিক নির্বাচনে ১৯ নং ওয়ার্ডে আবারও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চাচ্ছিলেন। তবে দলের সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

বর্তমানে সিলেটে নির্বাচনের পরিবেশ নেই এবং ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোট হবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

হাসুর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সহ-সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩ , ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৩ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

নগর নির্বাচন

সিলেট : নির্বাচন অনেকটাই প্রতিযোগিতাহীন হতে যাচ্ছে

আকাশ চৌধুরী, সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর এবার দলের অন্যান্য কাউন্সিলর বা দলীয় নেতারাও নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেয়া শুরু করেছেন। ফলে আগামী ২১ জুনের নির্বাচন অনেকটা প্রতিযোগিতাহীনভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ কারণে নির্বাচনী যে আমেজ তাও দিন দিন কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতারা কাউন্সিলর নির্বাচনে পর্যায়ক্রমে সরে দাঁড়ানোয় আ’লীগ প্রার্থীদের তেমন লড়াইয়ে যেতে হচ্ছে না।

গত শনিবার সিলেট রেজিষ্ট্রারি মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। পূর্ব ঘোষিত তারিখে এই বর্জনের দুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলন করে চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান কয়েস লোদী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর সোমবার ১৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ৩ বারের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র দিনার খান হাসুও নির্বাচন বর্জন করেন। তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বিএনপি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে ছিলেন এমন ১০-১২ জন নেতা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গত শনিবার নগরীর ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিএনপি নেতা আমির হোসেন প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন অন্তর্ভুক্ত টুকেরবাজারের একটি ওয়ার্ডরে সম্ভাব্য প্রার্থী সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাব হোসেন সুমন নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিনও প্রার্থী হচ্ছেন না। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াবেন বলেও সিলেট মহানগর বিএনপির এই সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এই সরকারের অধীনে আমাদের দলের কোন নেতাকর্মী অংশ নেবে না। যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তারা আজীবনের জন্য বহিষ্কার হবে। বিএনপিতে থাকার কোন অধিকারই তাদের থাকবে না। এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে দিনার খান হাসু জানান, তিনি আগামী সিসিক নির্বাচনে ১৯ নং ওয়ার্ডে আবারও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চাচ্ছিলেন। তবে দলের সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

বর্তমানে সিলেটে নির্বাচনের পরিবেশ নেই এবং ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোট হবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

হাসুর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সহ-সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।