জ্বালানি তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার হতে পারে

আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সব ধরনের জ্বালানি তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করে নেয়া হতে পারে। বর্তমানে এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আগাম কর দিতে হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী ১ জুন বাজেট দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেদিন এই ঘোষণা এলে নিয়ম অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর হয়ে যাবে।

বর্তমানে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিনসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলে আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ অগ্রিম আয়কর, আগাম ভ্যাট আছে। আগাম কর কমালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আমদানি খরচ কিছুটা কমবে।

আগাম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব সম্পর্কে এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের আমদানি খরচ কমাতে এই কর প্রত্যাহার করা হতে পারে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো। তবে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর কমলেই যে জ্বালানি তেলের দাম গ্রাহকপর্যায়ে কমে যাবে, তা নয়। সরকার জ্বালানি তেলের দাম ঠিক করে দেয়। সেখানেও দাম কমাতে হবে। সম্প্রতি বিপিসি শুল্ক-কর কমানোর জন্য এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই সরকার কর কমানোর পথে হাঁটছে।

অন্যদিকে সরকারি সংস্থা বিপিসিকে এই শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু বিপিসির কাছে এনবিআরের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার পুঞ্জীভূত শুল্ক-কর বকেয়া আছে বলে জানা গেছে। আবার কয়েকটি সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাছে বিপিসির কয়েক হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে।

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

জ্বালানি তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার হতে পারে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সব ধরনের জ্বালানি তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করে নেয়া হতে পারে। বর্তমানে এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আগাম কর দিতে হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী ১ জুন বাজেট দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেদিন এই ঘোষণা এলে নিয়ম অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর হয়ে যাবে।

বর্তমানে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিনসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলে আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ অগ্রিম আয়কর, আগাম ভ্যাট আছে। আগাম কর কমালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আমদানি খরচ কিছুটা কমবে।

আগাম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব সম্পর্কে এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের আমদানি খরচ কমাতে এই কর প্রত্যাহার করা হতে পারে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো। তবে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর কমলেই যে জ্বালানি তেলের দাম গ্রাহকপর্যায়ে কমে যাবে, তা নয়। সরকার জ্বালানি তেলের দাম ঠিক করে দেয়। সেখানেও দাম কমাতে হবে। সম্প্রতি বিপিসি শুল্ক-কর কমানোর জন্য এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই সরকার কর কমানোর পথে হাঁটছে।

অন্যদিকে সরকারি সংস্থা বিপিসিকে এই শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু বিপিসির কাছে এনবিআরের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার পুঞ্জীভূত শুল্ক-কর বকেয়া আছে বলে জানা গেছে। আবার কয়েকটি সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাছে বিপিসির কয়েক হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে।