ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার স্কয়ার মাষ্টার বাড়ী হতে জামিরদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রাস্তায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামন্য বৃষ্টিতেই পানি জমে খালের মত হয়ে যায়। এতে দুই দিকের দোকান পাটের ব্যবসায়ীরা বেচা কেনা বন্ধ করে লোকসান গুনতে বাধ্য হন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করলেও বেশ কিছুদিন যাবৎ কাজ বন্ধ রাখায় জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে থাকায় দোকানের বারান্দা দিয়ে লোকজন ঝুঁকি নিয়ে কোন রকমে কোলে মাথায় মালামাল নিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান আঃ গণি মাষ্টার স্কুল এন্ড কলেজ,জামিরদিয়া আইনুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, জামিরদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোসেন আলী সরকার একাডেমী, সোহেল মডেল স্কুল সহ বেশ কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের কয়েক হাজার ছাত্র ছাত্রী এই রাস্তায় চলাচল করায় রাস্তাটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
এ ছাড়াও বাদশা টেক্সটাইল, ওরিয়ন নিট ওয়্যার, নোমান কম্পোজিট লিঃ, ডেনিস মাল্টি পারপাস লিঃ, ইমপ্রেসিভ টেক্সটাইল, পূর্বাসা কম্পোজিট লিঃ, তিব্বত কার্টুন, ন্যশনাল পলিমার সহ বেশ কিছু মিল কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক সকাল বিকাল এ রাস্তায় চলাচল করে। পারভীন আক্তার নামে একজন গার্মেন্ট শ্রমিক জানান রাস্তায় পানি জমে থাকায় অনেক কষ্ট করে তাদের কাজে যেতে হয়।
রিক্সা ভ্যানে চড়লে অনেক সময় গর্তেপড়ে রিক্সা উল্টে তাদের পরনের পোষাক নষ্ট হয়ে কাজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। একই অবস্থা স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও পথচারীদের বেলায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় জুতা দোকানী খাইরুল ইসলাম জানান দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার বেহাল দশার কারনে তারা ব্যবসায়িক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ওই এলাকার বাসা বাড়ীর মালিক আফির উদ্দীন ও কুদ্দুস ঢালী জানান রাস্তা খারপ হওয়ায় তাদের বাসা বাড়ীর ভাড়াটিয়ার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। রশিদা নিজাম ল্যাবরেটরি স্কুল ও শাহীন ক্যাডেট কলেজের পরিচালকদ্বয় জানান রাস্তা খারাপ থাকায় তাদের স্কুলে ছাত্র ছাত্রী কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ -সংবাদ
আরও খবরবুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪
প্রতিনিধি, ভালুকা (ময়মনসিংহ)
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ -সংবাদ
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার স্কয়ার মাষ্টার বাড়ী হতে জামিরদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রাস্তায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামন্য বৃষ্টিতেই পানি জমে খালের মত হয়ে যায়। এতে দুই দিকের দোকান পাটের ব্যবসায়ীরা বেচা কেনা বন্ধ করে লোকসান গুনতে বাধ্য হন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করলেও বেশ কিছুদিন যাবৎ কাজ বন্ধ রাখায় জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে থাকায় দোকানের বারান্দা দিয়ে লোকজন ঝুঁকি নিয়ে কোন রকমে কোলে মাথায় মালামাল নিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান আঃ গণি মাষ্টার স্কুল এন্ড কলেজ,জামিরদিয়া আইনুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, জামিরদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোসেন আলী সরকার একাডেমী, সোহেল মডেল স্কুল সহ বেশ কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের কয়েক হাজার ছাত্র ছাত্রী এই রাস্তায় চলাচল করায় রাস্তাটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
এ ছাড়াও বাদশা টেক্সটাইল, ওরিয়ন নিট ওয়্যার, নোমান কম্পোজিট লিঃ, ডেনিস মাল্টি পারপাস লিঃ, ইমপ্রেসিভ টেক্সটাইল, পূর্বাসা কম্পোজিট লিঃ, তিব্বত কার্টুন, ন্যশনাল পলিমার সহ বেশ কিছু মিল কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক সকাল বিকাল এ রাস্তায় চলাচল করে। পারভীন আক্তার নামে একজন গার্মেন্ট শ্রমিক জানান রাস্তায় পানি জমে থাকায় অনেক কষ্ট করে তাদের কাজে যেতে হয়।
রিক্সা ভ্যানে চড়লে অনেক সময় গর্তেপড়ে রিক্সা উল্টে তাদের পরনের পোষাক নষ্ট হয়ে কাজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। একই অবস্থা স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও পথচারীদের বেলায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় জুতা দোকানী খাইরুল ইসলাম জানান দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার বেহাল দশার কারনে তারা ব্যবসায়িক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ওই এলাকার বাসা বাড়ীর মালিক আফির উদ্দীন ও কুদ্দুস ঢালী জানান রাস্তা খারপ হওয়ায় তাদের বাসা বাড়ীর ভাড়াটিয়ার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। রশিদা নিজাম ল্যাবরেটরি স্কুল ও শাহীন ক্যাডেট কলেজের পরিচালকদ্বয় জানান রাস্তা খারাপ থাকায় তাদের স্কুলে ছাত্র ছাত্রী কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।