নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন গোয়ালপাড়া হাই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পরিচালনা কমিটি। গত সোমবার দুপুরে বারদী ইউপির গোয়ালপাড়া হাই স্কুলের সামনে এই মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া গোয়ালপাড়া হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সিনহা আক্তার কনা জানায়, বখাটেদের উৎপাত দিন দিন বেড়ে চলছে। স্কুলের সামনে ও রস্তায় বখাটেরা বসে থাকে। তারা আমাদের চলার পথে খারাপ ইঙ্গিত করে। আমরা ইভটিজিং মুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই। গোয়ালপাড়া হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক দেওয়ান সামসুর রহমান জানান, বখাটেদের অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত বৃহস্পতিবারে এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে রাস্তায় গতিরোধ করে শিক্ষার্থীর হাতে নাক ফুল, আংটি ও শাড়ি কাপড় তুলে দেয় এক বখাটে। গত দুই মাস আগে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বিয়ে করে আরেক বখাটে। বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে স্কুলে মেয়েদের উপস্থিতি কমে যাবে। উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব জানান, ইভটিজার ও বখাটেদের উৎপাতে শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আমরা এখন নিরুপায় হয়ে পড়েছি। স্কুল শুরু হওয়ার আগে ও পরে বখাটেরা স্কুলের আশে পাশে অবস্থান নিয়ে মেয়েদের উক্ত্যত্ত করে। প্রতিবাদ করলেই শিক্ষকদের ওপর চাপ আসে।
বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪
প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন গোয়ালপাড়া হাই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পরিচালনা কমিটি। গত সোমবার দুপুরে বারদী ইউপির গোয়ালপাড়া হাই স্কুলের সামনে এই মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া গোয়ালপাড়া হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সিনহা আক্তার কনা জানায়, বখাটেদের উৎপাত দিন দিন বেড়ে চলছে। স্কুলের সামনে ও রস্তায় বখাটেরা বসে থাকে। তারা আমাদের চলার পথে খারাপ ইঙ্গিত করে। আমরা ইভটিজিং মুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই। গোয়ালপাড়া হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক দেওয়ান সামসুর রহমান জানান, বখাটেদের অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত বৃহস্পতিবারে এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে রাস্তায় গতিরোধ করে শিক্ষার্থীর হাতে নাক ফুল, আংটি ও শাড়ি কাপড় তুলে দেয় এক বখাটে। গত দুই মাস আগে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বিয়ে করে আরেক বখাটে। বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে স্কুলে মেয়েদের উপস্থিতি কমে যাবে। উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব জানান, ইভটিজার ও বখাটেদের উৎপাতে শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আমরা এখন নিরুপায় হয়ে পড়েছি। স্কুল শুরু হওয়ার আগে ও পরে বখাটেরা স্কুলের আশে পাশে অবস্থান নিয়ে মেয়েদের উক্ত্যত্ত করে। প্রতিবাদ করলেই শিক্ষকদের ওপর চাপ আসে।