চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বন্যহাতির তান্ডবে বিনষ্ট হয়েছে প্রায় ১২ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ। গত রোববার দিবাগত ভোর রাতে উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব বৈলছড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এতে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিক সূত্রে জানা গেছে। জানা যায়, ওই এলাকার স্থানীয় আবদুল লতিফের ছেলে মো. ওসমান প্রায় ৮ কানি জায়গায় গড়ে তোলেন আম, লিচু, কাঠাল, লেবু ও সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছের বাগান। এখন তার বাগানে আম, লিচু ও কাঠালসহ বিভিন্ন জাতের ফলের ফলন পরিপক্ক হয়েছে। এরই মধ্যে তার বাগানে হানা দেয় ৯টি বন্যহাতির পাল। এ সময় হাতির পালটি বাগানের গাছ ভেঙে ফেলার শব্দ পেয়ে পাহারাদার জাকের আহমদ স্থানীয় লোকজনদের ডেকে হাতিগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এরই মধ্যে হাতির পালটি প্রায় ১২ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফলন্ত গাছ ভেঙে ও উপড়ে ফেলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এতে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে জানান বাগানের মালিক মো. ওসমান। তিনি বলেন, ‘বন্যহাতির পাল আমার বাগানে তাণ্ডব চালিয়ে আমাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, পূর্ব বৈলছড়িতে বন্যহাতির পাল একটি বাগানে ক্ষয়ক্ষতি করার খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আবেদন করা হলে বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক যথাযথভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪
প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বন্যহাতির তান্ডবে বিনষ্ট হয়েছে প্রায় ১২ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ। গত রোববার দিবাগত ভোর রাতে উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব বৈলছড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এতে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিক সূত্রে জানা গেছে। জানা যায়, ওই এলাকার স্থানীয় আবদুল লতিফের ছেলে মো. ওসমান প্রায় ৮ কানি জায়গায় গড়ে তোলেন আম, লিচু, কাঠাল, লেবু ও সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছের বাগান। এখন তার বাগানে আম, লিচু ও কাঠালসহ বিভিন্ন জাতের ফলের ফলন পরিপক্ক হয়েছে। এরই মধ্যে তার বাগানে হানা দেয় ৯টি বন্যহাতির পাল। এ সময় হাতির পালটি বাগানের গাছ ভেঙে ফেলার শব্দ পেয়ে পাহারাদার জাকের আহমদ স্থানীয় লোকজনদের ডেকে হাতিগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এরই মধ্যে হাতির পালটি প্রায় ১২ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফলন্ত গাছ ভেঙে ও উপড়ে ফেলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এতে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে জানান বাগানের মালিক মো. ওসমান। তিনি বলেন, ‘বন্যহাতির পাল আমার বাগানে তাণ্ডব চালিয়ে আমাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, পূর্ব বৈলছড়িতে বন্যহাতির পাল একটি বাগানে ক্ষয়ক্ষতি করার খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আবেদন করা হলে বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক যথাযথভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।