ডলার সংকটে জ্বালানি তেলের বকেয়া নিয়ে বিপাকে বিপিসি

ডলার-সংকটে আমদানি করা জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ সরকার। জ্বালানি তেল আমদানি ও বাজারজাতকরণে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে ছয়টি আন্তর্জাতিক কোম্পানির পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

বকেয়া অর্থ না পাওয়ায় এদের কেউ কেউ পূর্ব নির্ধারিত সূচির চেয়ে কম কার্গো (তেলবাহী) পাঠানোর পাশপাশি তেল সরবরাহ (রপ্তানি) ‘স্থগিত করারও হুমকি’ দিয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিপিসির দুটি চিঠির একটির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স সম্প্রতি এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তবে বিপিসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলছেন, ‘তেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিপিসির সম্পর্ক বহুদিনের। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, আলোচনা চলছে। আমরা কিস্তিতে তাদের পেমেন্ট (পাওনা) দিচ্ছি; তারা আপত্তি করছে না। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বকেয়া কমে ২৫ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সিনোপেকের বাণিজ্যিক অংশীদার ইউনিপেক, ভিটল, এনোক, ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি), পেট্রোচায়না এবং ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি তেল সরবরাহ বাবদ বিপিসির কাছে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাওনা হয়েছে।

জ্বালানি তেলের অভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট ও রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ মে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বিপিসি বলেছে, ‘দেশের বাজারে বিদেশি মুদ্রার সংকট থাকায় এবং সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সময়মতো আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে পারছে না।’

চিঠিতে বিপিসি আরও জানায়, ‘চলতি বছর ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারিকে ৪ কোটি ১১ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে বিপিসিকে; আইওসিকে (আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি) ডিজেল ও জেট ফুয়েল বাবদ দিতে হবে ১৪ কোটি ৭২ লাখ ডলার।’ এ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে রুপিতে অর্থ পরিশোধ করতে পারে, তার অনুমতি দিতে সরকারকে অনুরোধ জানায় বিপিসি।

এর আগে গত এপ্রিল মাসে পাঠানো আরেক চিঠিতে বিপিসি বলে, ‘মে মাসের তফসিল অনুযায়ী জ্বালানি আমদানি করা না গেলে দেশব্যাপী সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে, সেই সঙ্গে জ্বালানির মজুদ বিপজ্জনকভাবে কমে যেতে পারে।’

এ বিষয়ে মতামত জানতে ফোন করে বিপিসি কিংবা জ্বালানি মন্ত্রণালয়; কারোই সাড়া পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে জানায় রায়টার্স।

বিপিসির চিঠির বিষয়ে রায়টার্সের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে যৌক্তিকভাবে ডলার ছাড় করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রয়টার্স বলছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে বাংলাদেশের ডলারের রিজার্ভ এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সংকুচিত হয়ে সাত বছরের সর্বনিম্ন ৩০.১৮ মার্কিন বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আমদানি করা জ্বালানি এবং খাদ্যের উচ্চ ব্যয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করা প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশটিকে (বাংলাদেশ) এই বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএফএফ) থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি ব্যয় মেটাতে চলতি অর্থবছরে বিপিসিকে ৫০০ কোটি ডলার এবং এলএনজি আমদানিতে পেট্রোবাংলাকে ২০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। এ ছাড়া ঋণপত্র খুলতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও ৩০০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা সবকিছু যৌক্তিকভাবে ব্যবস্থাপনা করছি। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। নানা উত্থান-পতন সত্ত্বেও আমরা ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ সংরক্ষণ করছি।’

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের সংক্ষিপ্ত চিত্রও তুলে ধরে প্রতিবেদনে রয়টার্স বলে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ডলার সল্পতার কারণ দেখিয়ে কয়েক মাস ধরে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর ১৫০ কোটি ডলার মূল্যমানের বিল পরিশোধ করছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সাল খান রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এ বিলম্বের কারণে অনেক স্থানীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে; এর প্রতিকার না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘিœত হতে পারে।’

এ বিষয়ে বিপিডিবির মুখপাত্র শামিম হাসান বলেছেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বিল পরিশোধের চেষ্টা করছি, কিন্তু অন্যদের মতো আমরাও ডলার সংকটে আছি।’

প্রসঙ্গত, ডলার সংকটের কারণে সম্প্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম জ্বালানি কয়লা আমদানিতেও জটিলতা তৈরি হয়। কয়লার অভাবে সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটে রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। একই কারণে চীন-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পটুয়াখালীতে স্থাপিত পায়রা ১৩২০ বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও জটিলতায় পড়ে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে পৃথক চিঠি দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায় রামপাল ও পায়রা কর্তৃপক্ষ। তবে পায়রা এখনও বন্ধ হয়নি আর রামপলে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে।

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

ডলার সংকটে জ্বালানি তেলের বকেয়া নিয়ে বিপাকে বিপিসি

সংবাদ ডেস্ক

ডলার-সংকটে আমদানি করা জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ সরকার। জ্বালানি তেল আমদানি ও বাজারজাতকরণে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে ছয়টি আন্তর্জাতিক কোম্পানির পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

বকেয়া অর্থ না পাওয়ায় এদের কেউ কেউ পূর্ব নির্ধারিত সূচির চেয়ে কম কার্গো (তেলবাহী) পাঠানোর পাশপাশি তেল সরবরাহ (রপ্তানি) ‘স্থগিত করারও হুমকি’ দিয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বিপিসির দুটি চিঠির একটির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স সম্প্রতি এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তবে বিপিসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলছেন, ‘তেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিপিসির সম্পর্ক বহুদিনের। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, আলোচনা চলছে। আমরা কিস্তিতে তাদের পেমেন্ট (পাওনা) দিচ্ছি; তারা আপত্তি করছে না। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বকেয়া কমে ২৫ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সিনোপেকের বাণিজ্যিক অংশীদার ইউনিপেক, ভিটল, এনোক, ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি), পেট্রোচায়না এবং ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি তেল সরবরাহ বাবদ বিপিসির কাছে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাওনা হয়েছে।

জ্বালানি তেলের অভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট ও রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ মে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বিপিসি বলেছে, ‘দেশের বাজারে বিদেশি মুদ্রার সংকট থাকায় এবং সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সময়মতো আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে পারছে না।’

চিঠিতে বিপিসি আরও জানায়, ‘চলতি বছর ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারিকে ৪ কোটি ১১ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে বিপিসিকে; আইওসিকে (আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি) ডিজেল ও জেট ফুয়েল বাবদ দিতে হবে ১৪ কোটি ৭২ লাখ ডলার।’ এ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে রুপিতে অর্থ পরিশোধ করতে পারে, তার অনুমতি দিতে সরকারকে অনুরোধ জানায় বিপিসি।

এর আগে গত এপ্রিল মাসে পাঠানো আরেক চিঠিতে বিপিসি বলে, ‘মে মাসের তফসিল অনুযায়ী জ্বালানি আমদানি করা না গেলে দেশব্যাপী সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে, সেই সঙ্গে জ্বালানির মজুদ বিপজ্জনকভাবে কমে যেতে পারে।’

এ বিষয়ে মতামত জানতে ফোন করে বিপিসি কিংবা জ্বালানি মন্ত্রণালয়; কারোই সাড়া পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে জানায় রায়টার্স।

বিপিসির চিঠির বিষয়ে রায়টার্সের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে যৌক্তিকভাবে ডলার ছাড় করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রয়টার্স বলছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে বাংলাদেশের ডলারের রিজার্ভ এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সংকুচিত হয়ে সাত বছরের সর্বনিম্ন ৩০.১৮ মার্কিন বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আমদানি করা জ্বালানি এবং খাদ্যের উচ্চ ব্যয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করা প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশটিকে (বাংলাদেশ) এই বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএফএফ) থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি ব্যয় মেটাতে চলতি অর্থবছরে বিপিসিকে ৫০০ কোটি ডলার এবং এলএনজি আমদানিতে পেট্রোবাংলাকে ২০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। এ ছাড়া ঋণপত্র খুলতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও ৩০০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা সবকিছু যৌক্তিকভাবে ব্যবস্থাপনা করছি। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। নানা উত্থান-পতন সত্ত্বেও আমরা ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ সংরক্ষণ করছি।’

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের সংক্ষিপ্ত চিত্রও তুলে ধরে প্রতিবেদনে রয়টার্স বলে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ডলার সল্পতার কারণ দেখিয়ে কয়েক মাস ধরে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর ১৫০ কোটি ডলার মূল্যমানের বিল পরিশোধ করছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সাল খান রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এ বিলম্বের কারণে অনেক স্থানীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে; এর প্রতিকার না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘিœত হতে পারে।’

এ বিষয়ে বিপিডিবির মুখপাত্র শামিম হাসান বলেছেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বিল পরিশোধের চেষ্টা করছি, কিন্তু অন্যদের মতো আমরাও ডলার সংকটে আছি।’

প্রসঙ্গত, ডলার সংকটের কারণে সম্প্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম জ্বালানি কয়লা আমদানিতেও জটিলতা তৈরি হয়। কয়লার অভাবে সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটে রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। একই কারণে চীন-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পটুয়াখালীতে স্থাপিত পায়রা ১৩২০ বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও জটিলতায় পড়ে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে পৃথক চিঠি দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায় রামপাল ও পায়রা কর্তৃপক্ষ। তবে পায়রা এখনও বন্ধ হয়নি আর রামপলে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে।