রাজনৈতিক দলগুলোকে সংঘাত এড়ানোর পথে হাঁটার আহ্বান সামাজিক আন্দোলনের

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘাতময় পরিস্থিতির যে সম্ভাবনা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে তৈরির পটভূমি চলছে তা জাতীয় অগ্রযাত্রা সংবিধানের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য জটিলতর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নেতারা।

তাই এই বিষয়টি এখনই বিবেচনায় নিয়ে অনিবার্য সংঘাত এড়ানোর পথে হাঁটার জন্য সব রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আশা প্রকাশ করেন তারা।

নেতারা বলেন, ‘দেশের মানুষ রাজনীতিতে সংঘাত ও সহিংসতা পছন্দ করে না, মানুষ শান্তি প্রিয় মানুষ নৈরাজ্য পছন্দ করে না ও ভোট উৎসব দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা দেশবাসীর সঙ্গে আগামী নির্বাচনকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করার যেকোন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। নির্বাচনকে সামনে রেখে আলাপ আলোচনার পথে সবাই অগ্রসর হবেন এই প্রত্যাশা সবার।’

গতকাল সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথ সভায় এসব কথা সংগঠনের নেতারা।

সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সেলু বাসিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. অসিত বরণ রায়, এসএমএ সবুর, সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাসেম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, সামসুল আলম জুলফিকার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অলক দাসগুপ্ত, সাজেদুল আলম রিমন, হান্নান চৌধুরী, বিপ্লব চাকমা, কেন্দ্রীয় নেতা হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, আবদুল ওয়াহেদ, নুরুল আমিন, আমান উল্ল্যাহ আমান, হুমায়ন কবির, তৌহিদ রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা আরও বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ায় মানুষ দিশেহারা ইতোমধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে দেশবাসী। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে চোখে পড়ে না। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম, শাক-সবজি, তেলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির নজিরবিহীন ঘটনা বলার অপেক্ষা রাখে না, সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ যেন সিন্ডিকেট চক্রের হাতে। বাজার ব্যবস্থা ও বাজার কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ এখন লুটেরা শ্রেণীর হাতে কোনভাবে এই অপশক্তিকে সরকার নিয়ন্ত্রণই করতে পারছে না বলেই মনে হচ্ছে।’

নেতারা বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দায় সারা কথাবার্তা মূলত বাজার নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেটকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে বলে আমরা মনে করি। মুনাফাখোর অসাধুব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগের দাবি আমাদের।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের উদাসীনতা জাতীয় তামাশার শামিল। অন্যদিকে সবধরনের জ্বালানি তেল, বিদুৎ, গ্যাস সংকট যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। এমতাবস্থায় সরকার জনদুর্ভোগ উপেক্ষা করে বসে থাকার ঘটনা নজিরবিহীন উদাসীনতা বলে আমরা মনে করি। মূলত দেশে এখন একদিকে নীরব হাহাকার ও অন্যদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক টানাপোড়ন দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় জনদুর্ভোগ নিরসনে অনতিবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে না ধরা গেলে সমাজে অস্থিরতা দানা বাঁধবে সেটি কারো কাম্য হতে পারে না। আমরা উপরোক্ত বিষয়ে সরকারের শুভবুদ্ধি কামরা করছি। একই সঙ্গে রাজশাহীর এক জনসমাবেশে প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

রাজনৈতিক দলগুলোকে সংঘাত এড়ানোর পথে হাঁটার আহ্বান সামাজিক আন্দোলনের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘাতময় পরিস্থিতির যে সম্ভাবনা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে তৈরির পটভূমি চলছে তা জাতীয় অগ্রযাত্রা সংবিধানের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য জটিলতর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নেতারা।

তাই এই বিষয়টি এখনই বিবেচনায় নিয়ে অনিবার্য সংঘাত এড়ানোর পথে হাঁটার জন্য সব রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আশা প্রকাশ করেন তারা।

নেতারা বলেন, ‘দেশের মানুষ রাজনীতিতে সংঘাত ও সহিংসতা পছন্দ করে না, মানুষ শান্তি প্রিয় মানুষ নৈরাজ্য পছন্দ করে না ও ভোট উৎসব দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা দেশবাসীর সঙ্গে আগামী নির্বাচনকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করার যেকোন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। নির্বাচনকে সামনে রেখে আলাপ আলোচনার পথে সবাই অগ্রসর হবেন এই প্রত্যাশা সবার।’

গতকাল সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথ সভায় এসব কথা সংগঠনের নেতারা।

সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সেলু বাসিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. অসিত বরণ রায়, এসএমএ সবুর, সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাসেম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, সামসুল আলম জুলফিকার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অলক দাসগুপ্ত, সাজেদুল আলম রিমন, হান্নান চৌধুরী, বিপ্লব চাকমা, কেন্দ্রীয় নেতা হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, আবদুল ওয়াহেদ, নুরুল আমিন, আমান উল্ল্যাহ আমান, হুমায়ন কবির, তৌহিদ রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা আরও বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ায় মানুষ দিশেহারা ইতোমধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে দেশবাসী। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে চোখে পড়ে না। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম, শাক-সবজি, তেলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির নজিরবিহীন ঘটনা বলার অপেক্ষা রাখে না, সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ যেন সিন্ডিকেট চক্রের হাতে। বাজার ব্যবস্থা ও বাজার কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ এখন লুটেরা শ্রেণীর হাতে কোনভাবে এই অপশক্তিকে সরকার নিয়ন্ত্রণই করতে পারছে না বলেই মনে হচ্ছে।’

নেতারা বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দায় সারা কথাবার্তা মূলত বাজার নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেটকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে বলে আমরা মনে করি। মুনাফাখোর অসাধুব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগের দাবি আমাদের।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের উদাসীনতা জাতীয় তামাশার শামিল। অন্যদিকে সবধরনের জ্বালানি তেল, বিদুৎ, গ্যাস সংকট যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। এমতাবস্থায় সরকার জনদুর্ভোগ উপেক্ষা করে বসে থাকার ঘটনা নজিরবিহীন উদাসীনতা বলে আমরা মনে করি। মূলত দেশে এখন একদিকে নীরব হাহাকার ও অন্যদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক টানাপোড়ন দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় জনদুর্ভোগ নিরসনে অনতিবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে না ধরা গেলে সমাজে অস্থিরতা দানা বাঁধবে সেটি কারো কাম্য হতে পারে না। আমরা উপরোক্ত বিষয়ে সরকারের শুভবুদ্ধি কামরা করছি। একই সঙ্গে রাজশাহীর এক জনসমাবেশে প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’