কাশ্মীরে চলছে জি-২০ সম্মেলন

আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলুশন লঙ্ঘন করেই কাশ্মীরে শুরু হলো জি-২০ সম্মেলন। অন্তত তিনটি সদস্য রাষ্ট্র এবারের জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ শুধুমাত্র তাদের ভারতে অবস্থানরত কূটনীতিকদের ওই সম্মেলনে পাঠিয়েছে। ডন।

খবরে জানানো হয়, কাশ্মীর নিয়ে ভারত, পাকিস্তান ও চীন এই তিন দেশের মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। এমন অবস্থায় কাশ্মীরে জি-২০ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান ও চীন। সদস্য দেশ হওয়া সত্বেও চীন এই সম্মেলন বয়কট করেছে। এছাড়া তুরস্ক ও সৌদি আরবও কোনো সরকারি প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর আগে লাদাখ ও অরুণাচলে জি-২০ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তবে চীন সেগুলো বর্জন করে।

চীন অরুনাচলকে নিজের অংশ বলে দাবি করে। গত সপ্তাহে সংখ্যালঘু ইস্যুতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফার্নান্ড ডি ভারেনেস বলেন, নয়াদিল্লি জি-২০ সভাকে নিজের বিতর্কিত ভূখ- অনুমোদনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে, এর নিন্দা হওয়া উচিত। ভারত যদিও এমন মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। অপরদিকে জাতিসংঘের রেজ্যুলুশন ভঙ্গ করায় ভারতের নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। জাতিসংঘের নিয়ম অনুসারে, কাশ্মীরি জনগণকে স্ব-নিয়ন্ত্রণের অধিকার দেয়ার জন্য একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে।

মুজাফফরাবাদে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেন, অধিকৃত শ্রীনগরে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন কাশ্মীর সংক্রান্ত জাতিসংঘের প্রস্তাবের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। ভারত সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যাতে বিশ্বের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু ইতিহাস বলে যে, ভারতই জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধকে নিরাপত্তা পরিষদে নিয়ে গিয়েছিল। এখনও এই বিরোধের সমাধান হয়নি।

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

কাশ্মীরে চলছে জি-২০ সম্মেলন

আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলুশন লঙ্ঘন করেই কাশ্মীরে শুরু হলো জি-২০ সম্মেলন। অন্তত তিনটি সদস্য রাষ্ট্র এবারের জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ শুধুমাত্র তাদের ভারতে অবস্থানরত কূটনীতিকদের ওই সম্মেলনে পাঠিয়েছে। ডন।

খবরে জানানো হয়, কাশ্মীর নিয়ে ভারত, পাকিস্তান ও চীন এই তিন দেশের মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। এমন অবস্থায় কাশ্মীরে জি-২০ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান ও চীন। সদস্য দেশ হওয়া সত্বেও চীন এই সম্মেলন বয়কট করেছে। এছাড়া তুরস্ক ও সৌদি আরবও কোনো সরকারি প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর আগে লাদাখ ও অরুণাচলে জি-২০ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তবে চীন সেগুলো বর্জন করে।

চীন অরুনাচলকে নিজের অংশ বলে দাবি করে। গত সপ্তাহে সংখ্যালঘু ইস্যুতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফার্নান্ড ডি ভারেনেস বলেন, নয়াদিল্লি জি-২০ সভাকে নিজের বিতর্কিত ভূখ- অনুমোদনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে, এর নিন্দা হওয়া উচিত। ভারত যদিও এমন মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। অপরদিকে জাতিসংঘের রেজ্যুলুশন ভঙ্গ করায় ভারতের নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। জাতিসংঘের নিয়ম অনুসারে, কাশ্মীরি জনগণকে স্ব-নিয়ন্ত্রণের অধিকার দেয়ার জন্য একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে।

মুজাফফরাবাদে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেন, অধিকৃত শ্রীনগরে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন কাশ্মীর সংক্রান্ত জাতিসংঘের প্রস্তাবের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। ভারত সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যাতে বিশ্বের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু ইতিহাস বলে যে, ভারতই জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধকে নিরাপত্তা পরিষদে নিয়ে গিয়েছিল। এখনও এই বিরোধের সমাধান হয়নি।