ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৪৬ জন হাসপাতালে

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ৪১ জন ও ঢাকার বাইরে ৫ জন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে (সরকারি ও বেসরকারি) এখন ভর্তি আছে ১৬২ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫৩৩ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৩ জন। এইভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৯ জন, শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে একজন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪২ জন ভর্তি আছে। এইভাবে ঢাকার ২০টি সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে মোট ভর্তি আছে ৯১ জন।

ঢাকার বাইরে জেলার তথ্য মতে, চট্টগ্রামে ৩ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, খাগড়াছড়িতে ১ জন, লক্ষ্মীপুরে ২ জন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন ভর্তি আছে। এভাবে দেশের বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক থেকে ২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার ঘটছে। ওয়াসার পানির মিটারের গর্তে জমে থাকা পানিতে, ফুলের টবে জমে থাকা পানিতে, নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে, ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানিতে, ডাবের খোসায় জমে থাকা পানিতেসহ নানাভাবে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার ঘটছে।

উল্লেখ্য গেল বছর ২০২২ সালজুড়ে দেশে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার দাপট ছিল। প্রতিদিন এডিশ মশার কামড়ে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাও গেছেন। মোট আক্রান্ত হয়েছে ৬২ হাজার। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ২৮১ জনের।

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৪৬ জন হাসপাতালে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ৪১ জন ও ঢাকার বাইরে ৫ জন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে (সরকারি ও বেসরকারি) এখন ভর্তি আছে ১৬২ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫৩৩ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৩ জন। এইভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৯ জন, শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে একজন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪২ জন ভর্তি আছে। এইভাবে ঢাকার ২০টি সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে মোট ভর্তি আছে ৯১ জন।

ঢাকার বাইরে জেলার তথ্য মতে, চট্টগ্রামে ৩ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, খাগড়াছড়িতে ১ জন, লক্ষ্মীপুরে ২ জন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন ভর্তি আছে। এভাবে দেশের বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক থেকে ২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার ঘটছে। ওয়াসার পানির মিটারের গর্তে জমে থাকা পানিতে, ফুলের টবে জমে থাকা পানিতে, নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে, ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানিতে, ডাবের খোসায় জমে থাকা পানিতেসহ নানাভাবে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার ঘটছে।

উল্লেখ্য গেল বছর ২০২২ সালজুড়ে দেশে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার দাপট ছিল। প্রতিদিন এডিশ মশার কামড়ে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাও গেছেন। মোট আক্রান্ত হয়েছে ৬২ হাজার। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ২৮১ জনের।