পেঁয়াজ সংরক্ষণে নতুন ব্যবস্থা

দেশে পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগার না থাকায় দেড় থেকে দুই মাস পর থেকে পেঁয়াজে পচন শুরু হয়। তখন কৃষকরা লোকসান এড়াতে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে দেন। কৃষকদের কথা মাথায় রেখে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের অধীনে পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণের জন্য ‘কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় দেশীয় মডেলে আধুনিক ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে চাষিরা সুবিধা মতো সময়ে পেঁয়াজ-রসুন বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন।

এসব ঘরে বাতাস চলাচলের জন্য ৬টি বায়ু নিষ্কাশন পাখা (ঊীযধঁংঃরড়হ ঋধহ) যুক্ত করা হয়েছে। মূলত এসব ভ্যান্টিলেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকার কারণেই সংরক্ষিত পেঁয়াজ-রসুন পচবে না। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য প্রতিটি ঘরে হাইগ্রোমিটার রয়েছে। ঘরের আয়তন প্রায় ৩৭৫ বর্গফুট। প্রতিটি ঘরে ২৫০-৩০০ মণ (১০-১২ মেট্রিকটন) পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। ৩ স্তরের এই সংরক্ষণ ঘরের স্থায়িত্ব কমপক্ষে ১৫-২০ বছর।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হেলাল উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে ২০টি ঘরের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে আরও ৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।’

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কৃষকদের পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণে সহায়তা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্প্রসারণ, বাজার সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষকদের আয় ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে দরিদ্রতা হ্রাস করা। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পাবনায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করা হবে।

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

পেঁয়াজ সংরক্ষণে নতুন ব্যবস্থা

শাফিউল ইমরান

image

দেশে পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগার না থাকায় দেড় থেকে দুই মাস পর থেকে পেঁয়াজে পচন শুরু হয়। তখন কৃষকরা লোকসান এড়াতে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে দেন। কৃষকদের কথা মাথায় রেখে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের অধীনে পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণের জন্য ‘কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় দেশীয় মডেলে আধুনিক ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে চাষিরা সুবিধা মতো সময়ে পেঁয়াজ-রসুন বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন।

এসব ঘরে বাতাস চলাচলের জন্য ৬টি বায়ু নিষ্কাশন পাখা (ঊীযধঁংঃরড়হ ঋধহ) যুক্ত করা হয়েছে। মূলত এসব ভ্যান্টিলেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকার কারণেই সংরক্ষিত পেঁয়াজ-রসুন পচবে না। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য প্রতিটি ঘরে হাইগ্রোমিটার রয়েছে। ঘরের আয়তন প্রায় ৩৭৫ বর্গফুট। প্রতিটি ঘরে ২৫০-৩০০ মণ (১০-১২ মেট্রিকটন) পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। ৩ স্তরের এই সংরক্ষণ ঘরের স্থায়িত্ব কমপক্ষে ১৫-২০ বছর।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হেলাল উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে ২০টি ঘরের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে আরও ৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।’

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কৃষকদের পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণে সহায়তা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্প্রসারণ, বাজার সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষকদের আয় ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে দরিদ্রতা হ্রাস করা। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পাবনায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করা হবে।