শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মাণে পারিবারিক শিক্ষার গুরুত্ব

পরিবার হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়। প্রবাদ আছে- জন্ম হোক যথা কর্ম হোক ভালো। ঠিক তেমনি সন্তান যেমনই হোক তার ব্যক্তিত্ব, আচরণ, সামাজিকতা, পারস্পরিক মেলবন্ধন, ছোটদের স্নেহ, বড়দের সম্মান ইত্যাদি বিষয়গুলো পরিবার থেকে শিখে একজন শিশু।

শৈশবের সময়টাতে একজন শিশু যা শেখে, এই শিক্ষাকে পুঁজি করেই কাটিয়ে দেয় আমৃত্যু। পরবর্তীতে সমাজে যতই সামাজিকতা, আধুনিকতা দেখুক পরিবারের ওই শিক্ষাটাই বয়ে বেড়ায় চলার পথে।

আধুনিক এই ব্যস্ততার যুগে সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের দেখা পাওয়া কঠিন। বিশেষ করে শহুরে পরিবেশে। বাবা যখন অফিস থেকে ফিরে, সন্তান তখন ঘুমিয়ে যায়। কোনো কোনো বাবা ঘরে ফিরে সন্তানের সঙ্গে আর দেখা করেন না। অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজনেই সমান তালে ব্যস্ত থাকে। সন্তানের দেখভালের জন্য থাকে থাকে দাদা-দাদি, নানা-নানি অথবা টাকার বিনিময়ে কোন দায়িত্বশীল কেউ।

সন্তান একাকিত্বে ভোগে। ভালো-মন্দ বিষয় গুলো শেয়ার করবে এমন কাউকে পায়না। সবসময়ই পরিবারের সঙ্গে একটা দূরত্ব বিরাজমান থাকে সন্তানের। আধুনিকতার নামে অনেক বাবা-মা সন্তানকে স্কুল-কলেজে কারো সঙ্গে মিশতে দেয় না। ফলে সৃজনশীলতা চর্চা, নেই পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি বা স্কুল কলেজের সহশিক্ষা মূলক কোন কার্যক্রমের সঙ্গে তাদের পরিচয় ঘটে না। এতে পড়াশোনার বাহিরে সন্তানের কোন অর্জন থাকে না।

মনে রাখতে হবে, একটা সন্তানের ভবিষ্যত অনেকাংশেই পরিবারের নিত্যদিনের কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল। বাবা-মায়ের নিত্যদিনের কার্যক্রম থেকেই ধীরে ধীরে শিখে আগামীর প্রজন্ম। তাই পরিবারের সদস্যদের যেমন সঠিক পথে জীবনব্যবস্থা চালাতে হবে, ঠিক তেমনি সুন্দর একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে সন্তানকে বড় করে তুলতে হবে। আর এর জন্য পিতা-মাতার চাই সঠিক সুন্দর এবং সময়োপযোগী শিক্ষাদান এবং শিক্ষা গ্রহণ। একথা আমাদের ভুললে চলবে না যে, সন্তানের মানুষ হওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার থেকে পারিবারিক শিক্ষাটাই মূখ্য।

সায়েদ আফ্রিদী

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মাণে পারিবারিক শিক্ষার গুরুত্ব

পরিবার হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়। প্রবাদ আছে- জন্ম হোক যথা কর্ম হোক ভালো। ঠিক তেমনি সন্তান যেমনই হোক তার ব্যক্তিত্ব, আচরণ, সামাজিকতা, পারস্পরিক মেলবন্ধন, ছোটদের স্নেহ, বড়দের সম্মান ইত্যাদি বিষয়গুলো পরিবার থেকে শিখে একজন শিশু।

শৈশবের সময়টাতে একজন শিশু যা শেখে, এই শিক্ষাকে পুঁজি করেই কাটিয়ে দেয় আমৃত্যু। পরবর্তীতে সমাজে যতই সামাজিকতা, আধুনিকতা দেখুক পরিবারের ওই শিক্ষাটাই বয়ে বেড়ায় চলার পথে।

আধুনিক এই ব্যস্ততার যুগে সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের দেখা পাওয়া কঠিন। বিশেষ করে শহুরে পরিবেশে। বাবা যখন অফিস থেকে ফিরে, সন্তান তখন ঘুমিয়ে যায়। কোনো কোনো বাবা ঘরে ফিরে সন্তানের সঙ্গে আর দেখা করেন না। অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজনেই সমান তালে ব্যস্ত থাকে। সন্তানের দেখভালের জন্য থাকে থাকে দাদা-দাদি, নানা-নানি অথবা টাকার বিনিময়ে কোন দায়িত্বশীল কেউ।

সন্তান একাকিত্বে ভোগে। ভালো-মন্দ বিষয় গুলো শেয়ার করবে এমন কাউকে পায়না। সবসময়ই পরিবারের সঙ্গে একটা দূরত্ব বিরাজমান থাকে সন্তানের। আধুনিকতার নামে অনেক বাবা-মা সন্তানকে স্কুল-কলেজে কারো সঙ্গে মিশতে দেয় না। ফলে সৃজনশীলতা চর্চা, নেই পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি বা স্কুল কলেজের সহশিক্ষা মূলক কোন কার্যক্রমের সঙ্গে তাদের পরিচয় ঘটে না। এতে পড়াশোনার বাহিরে সন্তানের কোন অর্জন থাকে না।

মনে রাখতে হবে, একটা সন্তানের ভবিষ্যত অনেকাংশেই পরিবারের নিত্যদিনের কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল। বাবা-মায়ের নিত্যদিনের কার্যক্রম থেকেই ধীরে ধীরে শিখে আগামীর প্রজন্ম। তাই পরিবারের সদস্যদের যেমন সঠিক পথে জীবনব্যবস্থা চালাতে হবে, ঠিক তেমনি সুন্দর একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে সন্তানকে বড় করে তুলতে হবে। আর এর জন্য পিতা-মাতার চাই সঠিক সুন্দর এবং সময়োপযোগী শিক্ষাদান এবং শিক্ষা গ্রহণ। একথা আমাদের ভুললে চলবে না যে, সন্তানের মানুষ হওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার থেকে পারিবারিক শিক্ষাটাই মূখ্য।

সায়েদ আফ্রিদী