ডেঙ্গুর শেষ কোথায়

ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়ংকর একটি সমস্যা। ডেঙ্গু আক্রমণের হার বছরে বছরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮,৪২৯ জন এর মধ্যে মারা যায় ১০৫ জনের মতো। তবে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ও মারা যাওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল ২০১৯ সালে।

তবে ডেঙ্গুর প্রকট ঢাকা শহরকেন্দ্রিক হলেও বর্তমান সময়ে এর প্রকট বাহিরের জেলাগুলোতেও দেখা যাচ্ছে ব্যপক হারে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামে কিছু জায়গায় ঘনবসতি তৈরি হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব বসতিতে যেখানে সেখানে পানি জমে থাকছে। তৈরি হচ্ছে মশার লার্ভা। আর এর বংশবিস্তার হচ্ছে ব্যাপক হারে বিভিন্ন আশ্রয়স্থল যেমন- রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থলসমূহ। যেখানে অল্প জায়গায় অনেক জনগণ বসবাস করছে। তাদের মধ্যে সচেতনতার হার ও অনেক কম রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ বছরে ডেঙ্গু আক্রমণের হার শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে বেশি। ঢাকা বিভাগে বা ঢাকা শহরে আক্রমণের বৃদ্ধির কারণ খুঁজলে দেখা যায় ঢাকার বিভিন্ন বসতিস্থল। বস্তিবাসীরা খুব অল্প অল্প জায়গায় আঁটোসাঁটো হয়ে বসবাস করে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নাই পর্যাপ্ত। তাছাড়া সবাই এক জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলে। ফলে মশার লার্ভা প্রতিনিয়ত জন্ম হচ্ছে ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের মধ্যে সচেতনতা অভাব রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কলকারখানা বর্জ্য-আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে। ফলে মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আর ডেঙ্গুর প্রকোপে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে অসচেতনতা ও চিকিৎসার বিষয়ে উদাসীনতা। চিকিৎসার বিষয়ে জনগণের মাঝে কোনো তৎপর না থাকায় রোগের প্রকোপ বেশি হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আর এ অবস্থার জন্য দায়ভার কি শুধু জনগণের অসচেতনতা, নাকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও রয়েছে?

ডেঙ্গুর শেষ কোথায়? এর থেকে পরিত্রাণের কি কোনো উপায় নেই? এ প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে বিভিন্ন গবেষক এসব নিয়ে গবেষণা করে কিছু পরিত্রাণের উপায়ও বের করেছেন। তবে বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের মধ্যে যেমম সচেতনতা তৈরি করতে হবে, তেমনি চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে হবে। মশার লার্ভা ধ্বংস করতে হবে।

মাহ্ফুজা খাতুন

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৪ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

ডেঙ্গুর শেষ কোথায়

image

ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়ংকর একটি সমস্যা। ডেঙ্গু আক্রমণের হার বছরে বছরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮,৪২৯ জন এর মধ্যে মারা যায় ১০৫ জনের মতো। তবে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ও মারা যাওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল ২০১৯ সালে।

তবে ডেঙ্গুর প্রকট ঢাকা শহরকেন্দ্রিক হলেও বর্তমান সময়ে এর প্রকট বাহিরের জেলাগুলোতেও দেখা যাচ্ছে ব্যপক হারে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামে কিছু জায়গায় ঘনবসতি তৈরি হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব বসতিতে যেখানে সেখানে পানি জমে থাকছে। তৈরি হচ্ছে মশার লার্ভা। আর এর বংশবিস্তার হচ্ছে ব্যাপক হারে বিভিন্ন আশ্রয়স্থল যেমন- রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থলসমূহ। যেখানে অল্প জায়গায় অনেক জনগণ বসবাস করছে। তাদের মধ্যে সচেতনতার হার ও অনেক কম রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ বছরে ডেঙ্গু আক্রমণের হার শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে বেশি। ঢাকা বিভাগে বা ঢাকা শহরে আক্রমণের বৃদ্ধির কারণ খুঁজলে দেখা যায় ঢাকার বিভিন্ন বসতিস্থল। বস্তিবাসীরা খুব অল্প অল্প জায়গায় আঁটোসাঁটো হয়ে বসবাস করে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নাই পর্যাপ্ত। তাছাড়া সবাই এক জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলে। ফলে মশার লার্ভা প্রতিনিয়ত জন্ম হচ্ছে ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের মধ্যে সচেতনতা অভাব রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কলকারখানা বর্জ্য-আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে। ফলে মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আর ডেঙ্গুর প্রকোপে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে অসচেতনতা ও চিকিৎসার বিষয়ে উদাসীনতা। চিকিৎসার বিষয়ে জনগণের মাঝে কোনো তৎপর না থাকায় রোগের প্রকোপ বেশি হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আর এ অবস্থার জন্য দায়ভার কি শুধু জনগণের অসচেতনতা, নাকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও রয়েছে?

ডেঙ্গুর শেষ কোথায়? এর থেকে পরিত্রাণের কি কোনো উপায় নেই? এ প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে বিভিন্ন গবেষক এসব নিয়ে গবেষণা করে কিছু পরিত্রাণের উপায়ও বের করেছেন। তবে বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের মধ্যে যেমম সচেতনতা তৈরি করতে হবে, তেমনি চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে হবে। মশার লার্ভা ধ্বংস করতে হবে।

মাহ্ফুজা খাতুন