শীঘ্রই দেশে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করবো : গভর্নর

শীঘ্রই আমরা দেশে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করব। আমরা শীঘ্রই একটি অনলাইন রিয়েল-টাইম ক্রেডিট রেটিং সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা করছি। আমরা জাতীয় ঋণ কার্ড ইস্যু করার খুব কাছাকাছি।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) আয়োজিত ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন কথা জানিয়েছেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।

গতকাল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকায় ‘ব্যাংকিং অন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

আবদুর রউফ তালুকদার আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তার মধ্যে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং বাংলা কিউ আর অন্যতম। এর সঙ্গে এবিবির উদ্যোগে নতুন করে যুক্ত হলো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন। আমরা আশা করি ২০২৭ সালের মধ্যে মোট লেনদেনের ৭৫ শতাংশ ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তবে ব্যাংকের খেলাপি ঋণকে বর্তমান অর্থনীতির সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ বলে মনে করেন গভর্নর। পাশাপাশি করপোরেট সুশাসন বাড়ানোর বিকল্প নেই ব?লেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো সুশাসন এবং খেলাপি ঋণ। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বর্তমান অর্থনীতির সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবস্থায় নৈতিকতা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। যাতে ব্যাংক খাতের যেকোন ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়।

কন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমরা সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২৭ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ ক্যাশলেস লেনদেন সম্পন্ন করা।

এ সময় এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, এবিবির ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন সামিট বাংলাদেশে ডিজিটাল আর্থিক সেবার প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার প্রধান গতিধারাগুলো সম্পর্কে মূল্যবান পর্যবেক্ষণ দেবে। এটি দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্যে পথচলার জন্য ব্যাংকগুলো যে কৌশল নিতে পারে তা বিশ্লেষণ করবে এবং আর্থিকসেবা খাতকে প্রভাবিত করে এমন বিদ্যমান নীতি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোগুলো নিয়ে গবেষণা করবে। এছাড়া এ খাতের স্টেকহোল্ডার, ইকোসিস্টেম এনাবেলার্স ও নীতি নির্ধারকদের এগিয়ে যাওয়ার পথ সুপারিশ করবে। একটি একীভূত লক্ষ্যের দিকে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক সেবা খাত একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে পারে, যা সব স্টেকহোল্ডারের উপকারে আসবে।

আরও খবর
পোশাক রপ্তানি বাড়াতে বিজিএমইএ-এর সঙ্গে সিবিসিসিআই-এর আলোচনা
বাজেটে শুল্ক কমানোসহ ৪ দফা দাবি বিড়ি শ্রমিকদের
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে পুনর্গঠিত বোর্ডের আলোচনা শুরু
চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে
১৩০০ কৃষি উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ইউসিবি ব্যাংক
তিন জেলায় ওয়ালটন প্লাজার নতুন শাখা উদ্বোধন
শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশ পরিচালনা পর্ষদ সভা
ওয়েভ ফাউন্ডেশন এবং গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর মধ্যে চুক্তি
প্রাইম ব্যাংকে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধবিষয়ক প্রশিক্ষণ
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পক্ষ থেকে হজযাত্রীদের জন্য উপহার

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩ , ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৫ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

শীঘ্রই দেশে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করবো : গভর্নর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শীঘ্রই আমরা দেশে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করব। আমরা শীঘ্রই একটি অনলাইন রিয়েল-টাইম ক্রেডিট রেটিং সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা করছি। আমরা জাতীয় ঋণ কার্ড ইস্যু করার খুব কাছাকাছি।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) আয়োজিত ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন কথা জানিয়েছেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।

গতকাল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকায় ‘ব্যাংকিং অন ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

আবদুর রউফ তালুকদার আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তার মধ্যে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং বাংলা কিউ আর অন্যতম। এর সঙ্গে এবিবির উদ্যোগে নতুন করে যুক্ত হলো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন। আমরা আশা করি ২০২৭ সালের মধ্যে মোট লেনদেনের ৭৫ শতাংশ ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তবে ব্যাংকের খেলাপি ঋণকে বর্তমান অর্থনীতির সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ বলে মনে করেন গভর্নর। পাশাপাশি করপোরেট সুশাসন বাড়ানোর বিকল্প নেই ব?লেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো সুশাসন এবং খেলাপি ঋণ। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বর্তমান অর্থনীতির সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবস্থায় নৈতিকতা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। যাতে ব্যাংক খাতের যেকোন ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়।

কন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমরা সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২৭ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ ক্যাশলেস লেনদেন সম্পন্ন করা।

এ সময় এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, এবিবির ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন সামিট বাংলাদেশে ডিজিটাল আর্থিক সেবার প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার প্রধান গতিধারাগুলো সম্পর্কে মূল্যবান পর্যবেক্ষণ দেবে। এটি দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্যে পথচলার জন্য ব্যাংকগুলো যে কৌশল নিতে পারে তা বিশ্লেষণ করবে এবং আর্থিকসেবা খাতকে প্রভাবিত করে এমন বিদ্যমান নীতি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোগুলো নিয়ে গবেষণা করবে। এছাড়া এ খাতের স্টেকহোল্ডার, ইকোসিস্টেম এনাবেলার্স ও নীতি নির্ধারকদের এগিয়ে যাওয়ার পথ সুপারিশ করবে। একটি একীভূত লক্ষ্যের দিকে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক সেবা খাত একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে পারে, যা সব স্টেকহোল্ডারের উপকারে আসবে।