চুরি হচ্ছে একের পর এক ট্রান্সফরমার, বিপাকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ

রংপুরের বদরগঞ্জে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে মাইকিং ও সমাবেশ করা হলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। প্রতিনিয়ত রাতের আঁধারে চুরি হচ্ছে একের পর এক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। মাত্র ৫ মাসে ৩৭টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ২১ মে পর্যন্ত বদরগঞ্জ পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৭টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এসব ট্রান্সফরমার থেকে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সেচখাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হত। প্রতিটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় বিদ্যুৎ অফিসের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার উদ্ধার কিংবা ট্রান্সফরমার চোরকে ধরতে পারেনি। একারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ চুরি প্রতিরোধে এলাকাজুড়ে মাইকিং করার পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে। কিন্তু এসবে কিছুই হচ্ছেনা। প্রতিনিয়ত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে। এমনই কথা জানিয়েছেন সাংবাদিক রেজাউল করিম পান্না। তিনি বলেন, তার নিজ এলাকা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খিয়ারপাড়ায় রাতে কয়েক মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ যাওয়ায় এক সাথে তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। একারণে ওই এলাকার কয়েকশ’ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। একই কথা বলেন কালুপাড়ার লোকজনও। এবিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ বদরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম ফকরুল আলম বলেন, কালুপাড়া বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির হটস্পট রূপে দেখা দিয়েছে। একারণে সেখানে একাধিক সমাবেশ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়েছে বলে মনে হয়না। তাই বাধ্য হয়ে কালুপাড়াসহ উপজেলা জুড়ে চুরি প্রতিরোধে মাইকিং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একটি ট্রান্সফর চুরি হলে গ্রাহক এবং বিদ্যুৎ অফিস উভয়কে ভুগতে হয়। কারণ প্রথমবার ট্রান্সফরমার চুরি হলে অর্ধেক মূল্য গ্রাহককে দিতে হয়। দ্বিতীয়বার চুরি হলে শতভাগ মূল্যই গ্রাহককে পরিশোধ করতে হয়। আবার অনেক সময় ট্রান্সফরমার সঙ্কটের কারণে গ্রাহককে সময়মতো সরবরাহ করা সম্ভব হয়না। ফলে অফিসের সাথে গ্রাহকের এক প্রকার দ্বন্দ্ব বেঁধে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত পুলিশী অভিযান চালানো হচ্ছে। একজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হলেও পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে সে ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি অস্বীকার করেছে। একারণে তাকে রিমা-ে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু চুরির ঘটনা পুুুুুুুুুুুুুরোপুরি রহস্যজনক। কারণ কালুপাড়ায় একসাথে চারটি ট্রান্সফরমার খুঁটি থেকে নামানো হয়। দু’টি ট্রান্সফরমার চোরেরা নিয়ে যায় আর দু’টি ফেলে যায়। অথচ দু’টি বাড়ির মাঝখানে ওই ট্রান্সফরমার চারটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ছিল। তিনি বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩ , ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৫ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

মাইকিং সমাবেশ কাজে আসছে না

চুরি হচ্ছে একের পর এক ট্রান্সফরমার, বিপাকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ

প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের বদরগঞ্জে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে মাইকিং ও সমাবেশ করা হলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। প্রতিনিয়ত রাতের আঁধারে চুরি হচ্ছে একের পর এক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। মাত্র ৫ মাসে ৩৭টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ২১ মে পর্যন্ত বদরগঞ্জ পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৭টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এসব ট্রান্সফরমার থেকে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সেচখাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হত। প্রতিটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় বিদ্যুৎ অফিসের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার উদ্ধার কিংবা ট্রান্সফরমার চোরকে ধরতে পারেনি। একারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ চুরি প্রতিরোধে এলাকাজুড়ে মাইকিং করার পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে। কিন্তু এসবে কিছুই হচ্ছেনা। প্রতিনিয়ত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে। এমনই কথা জানিয়েছেন সাংবাদিক রেজাউল করিম পান্না। তিনি বলেন, তার নিজ এলাকা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খিয়ারপাড়ায় রাতে কয়েক মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ যাওয়ায় এক সাথে তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। একারণে ওই এলাকার কয়েকশ’ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। একই কথা বলেন কালুপাড়ার লোকজনও। এবিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ বদরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম ফকরুল আলম বলেন, কালুপাড়া বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির হটস্পট রূপে দেখা দিয়েছে। একারণে সেখানে একাধিক সমাবেশ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়েছে বলে মনে হয়না। তাই বাধ্য হয়ে কালুপাড়াসহ উপজেলা জুড়ে চুরি প্রতিরোধে মাইকিং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, একটি ট্রান্সফর চুরি হলে গ্রাহক এবং বিদ্যুৎ অফিস উভয়কে ভুগতে হয়। কারণ প্রথমবার ট্রান্সফরমার চুরি হলে অর্ধেক মূল্য গ্রাহককে দিতে হয়। দ্বিতীয়বার চুরি হলে শতভাগ মূল্যই গ্রাহককে পরিশোধ করতে হয়। আবার অনেক সময় ট্রান্সফরমার সঙ্কটের কারণে গ্রাহককে সময়মতো সরবরাহ করা সম্ভব হয়না। ফলে অফিসের সাথে গ্রাহকের এক প্রকার দ্বন্দ্ব বেঁধে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত পুলিশী অভিযান চালানো হচ্ছে। একজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হলেও পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে সে ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়টি অস্বীকার করেছে। একারণে তাকে রিমা-ে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু চুরির ঘটনা পুুুুুুুুুুুুুরোপুরি রহস্যজনক। কারণ কালুপাড়ায় একসাথে চারটি ট্রান্সফরমার খুঁটি থেকে নামানো হয়। দু’টি ট্রান্সফরমার চোরেরা নিয়ে যায় আর দু’টি ফেলে যায়। অথচ দু’টি বাড়ির মাঝখানে ওই ট্রান্সফরমার চারটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ছিল। তিনি বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।