বাজেটের লক্ষ্যে রাখা যায়নি মূল্যস্ফীতি

বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে লক্ষ্য ছিল ৫.৬ এর মধ্যে রাখা হবে মূল্যস্ফীতি। কিন্তু সর্বশেষ সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৩৩ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৪২ শতাংশ। বাজেট ঘোষণার পর ১০ মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ পয়েন্ট বা প্রায় ২৬ শতাংশ।

গত বছর জুনে বাজেট ঘোষণার সময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রধান চ্যালেঞ্জ। সরকার দেশে বর্তমানে বিরাজমান চাহিদার প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।’

মন্ত্রীর ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ’ এর সূত্র কাজে আসেনি। বরং মূল্যস্ফীতি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বল্প আয়ের মানুষ যেসব নিত্যপণ্যে নির্ভর করে জীবনযাপন করেন, সেগুলোর দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এমনও কিছু পণ্য আছে যেগুলোর দাম গত একবছরে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

গত বছর মে মাসের শেষের দিকে মোটা চালের দাম ছিল প্রায় ৪৮ টাকা কেজি। আর গত শুক্রবার এর দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। বর্তমান বাজারে মিনিকেট চাল বেশি বিক্রি হচ্ছে। এই মিনিকেট চালের দাম গত বছর বাজেটের আগে ছিল ৬৫ টাকা কেজি। আর গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা কেজি।

একই ভাবে গত বছরের তুলনায় আটার দাম ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, মসুর ডাল (দেশি) ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, চিনি ৮৫ থেকে ১৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ডিমের ডজন ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। ব্রয়লার এক সময় ছিল স্বল্প আয়ের মানুষের আমিষের বড় উৎস। সেই ব্রয়লার মুরগি এখন আর স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালে নেই। গত বছর বাজেটের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৬০ টাকা আর গত শুক্রবার এর দাম প্রায় ৭০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৩০ টাকা। গরুর মাংসের দাম গত বছর ছিল প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা। আর গত শুক্রবার সেটা বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকায়।

গত বছর বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার কারণে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়টি পণ্যের (জ্বালানি তেল, এলএনজি, গম, রাসায়নিক সার, পাম অয়েল, সয়াবিন তেল, কয়লা, ভুট্টা ও চাল) একই পরিমাণ আমদানি করতে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সম্ভাব্য অতিরিক্ত ব্যয় হিসেবে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজারে আমদানিতে মুদ্রাস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। সরকার দেশে বর্তমানে বিরাজমান চাহিদার প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান বাড়ানোসহ সামষ্টিক অর্থনীতির অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায়।’

অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করছেন। তবে গত বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে, তার চেয়েও বেশি হারে বাড়ছে স্থানীয় বাজারে। বিশেষ করে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও স্থানীয় বাজারে সেই প্রভাব নেই। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের দামও কারণ ছাড়া ঊর্ধ্বমুখী। এ ক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে।’

গত মার্চ মাসে গবেষণা সংস্থা সানেম একটি জরিপ করে। সানেমের সেই জরিপে স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্দশার চিত্র উঠে আসে। সেখানে দেখা যায়, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে একবেলা না খেয়ে থেকে দিন কাটাচ্ছেন ৩৭ শতাংশ নিম্নআয়ের পরিবার। আর প্রয়োজনের তুলনায় খাবার কম খাচ্ছেন বলে মনে করছেন ৭১ শতাংশ পরিবার। গত ছয় মাসে নিম্নআয়ের মানুষের জীবিকার খরচ ১৩ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী আয় বাড়েনি, বরং কমেছে।

সেই জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য শুধুমাত্র গ্লোবাল সমস্যাই দায়ী নয়। অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাও দায়ী। আমাদের দেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় ইমপারফেকশন (ত্রুটি) রয়েছে। আমরা গত কয়েক মাসে ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য দেখেছি। প্রভাবশালী এই ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর হতে হবে। ব্যবসায়ী সংগঠনদের সঙ্গে নিয়েই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

নিত্যপণ্যের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি আছে। তবে তারা কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেন না। কিন্তু শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে জনগণ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এরাই এক জোট হয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। মন্ত্রীদের মধ্যেই সিন্ডিকেট আছে। বিভিন্ন মন্ত্রীর বিভিন্ন ব্যবসা আছে।’

দেশের বাজার ব্যবস্থার বিষয়ে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে পণ্যের দামে লাগাম টানতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া দরকার, সেগুলো ঠিকমত নেয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশে অনেক অভিযোগ, অনেক ব্যবস্থা আছে কিন্তু বাস্তবায়ন খুবই কম। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রেও তাই।’

আগামী ১ জুন আগামী (জুলাই’২৩-জুন’২৪) অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের আগ্রহ সেখানে নিত্যপণ্যের দামের লাগাম টানার কী ব্যবস্থা থাকবে।

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩ , ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৫ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

বাজেটের লক্ষ্যে রাখা যায়নি মূল্যস্ফীতি

রেজাউল করিম

image

বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে লক্ষ্য ছিল ৫.৬ এর মধ্যে রাখা হবে মূল্যস্ফীতি। কিন্তু সর্বশেষ সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৩৩ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৪২ শতাংশ। বাজেট ঘোষণার পর ১০ মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ পয়েন্ট বা প্রায় ২৬ শতাংশ।

গত বছর জুনে বাজেট ঘোষণার সময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রধান চ্যালেঞ্জ। সরকার দেশে বর্তমানে বিরাজমান চাহিদার প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।’

মন্ত্রীর ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ’ এর সূত্র কাজে আসেনি। বরং মূল্যস্ফীতি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বল্প আয়ের মানুষ যেসব নিত্যপণ্যে নির্ভর করে জীবনযাপন করেন, সেগুলোর দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এমনও কিছু পণ্য আছে যেগুলোর দাম গত একবছরে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

গত বছর মে মাসের শেষের দিকে মোটা চালের দাম ছিল প্রায় ৪৮ টাকা কেজি। আর গত শুক্রবার এর দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। বর্তমান বাজারে মিনিকেট চাল বেশি বিক্রি হচ্ছে। এই মিনিকেট চালের দাম গত বছর বাজেটের আগে ছিল ৬৫ টাকা কেজি। আর গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা কেজি।

একই ভাবে গত বছরের তুলনায় আটার দাম ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, মসুর ডাল (দেশি) ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, চিনি ৮৫ থেকে ১৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ডিমের ডজন ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। ব্রয়লার এক সময় ছিল স্বল্প আয়ের মানুষের আমিষের বড় উৎস। সেই ব্রয়লার মুরগি এখন আর স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালে নেই। গত বছর বাজেটের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৬০ টাকা আর গত শুক্রবার এর দাম প্রায় ৭০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৩০ টাকা। গরুর মাংসের দাম গত বছর ছিল প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা। আর গত শুক্রবার সেটা বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকায়।

গত বছর বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার কারণে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়টি পণ্যের (জ্বালানি তেল, এলএনজি, গম, রাসায়নিক সার, পাম অয়েল, সয়াবিন তেল, কয়লা, ভুট্টা ও চাল) একই পরিমাণ আমদানি করতে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সম্ভাব্য অতিরিক্ত ব্যয় হিসেবে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজারে আমদানিতে মুদ্রাস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। সরকার দেশে বর্তমানে বিরাজমান চাহিদার প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান বাড়ানোসহ সামষ্টিক অর্থনীতির অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায়।’

অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করছেন। তবে গত বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে, তার চেয়েও বেশি হারে বাড়ছে স্থানীয় বাজারে। বিশেষ করে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও স্থানীয় বাজারে সেই প্রভাব নেই। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের দামও কারণ ছাড়া ঊর্ধ্বমুখী। এ ক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে।’

গত মার্চ মাসে গবেষণা সংস্থা সানেম একটি জরিপ করে। সানেমের সেই জরিপে স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্দশার চিত্র উঠে আসে। সেখানে দেখা যায়, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে একবেলা না খেয়ে থেকে দিন কাটাচ্ছেন ৩৭ শতাংশ নিম্নআয়ের পরিবার। আর প্রয়োজনের তুলনায় খাবার কম খাচ্ছেন বলে মনে করছেন ৭১ শতাংশ পরিবার। গত ছয় মাসে নিম্নআয়ের মানুষের জীবিকার খরচ ১৩ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী আয় বাড়েনি, বরং কমেছে।

সেই জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য শুধুমাত্র গ্লোবাল সমস্যাই দায়ী নয়। অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাও দায়ী। আমাদের দেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় ইমপারফেকশন (ত্রুটি) রয়েছে। আমরা গত কয়েক মাসে ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য দেখেছি। প্রভাবশালী এই ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর হতে হবে। ব্যবসায়ী সংগঠনদের সঙ্গে নিয়েই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

নিত্যপণ্যের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি আছে। তবে তারা কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেন না। কিন্তু শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে জনগণ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এরাই এক জোট হয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। মন্ত্রীদের মধ্যেই সিন্ডিকেট আছে। বিভিন্ন মন্ত্রীর বিভিন্ন ব্যবসা আছে।’

দেশের বাজার ব্যবস্থার বিষয়ে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে পণ্যের দামে লাগাম টানতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া দরকার, সেগুলো ঠিকমত নেয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশে অনেক অভিযোগ, অনেক ব্যবস্থা আছে কিন্তু বাস্তবায়ন খুবই কম। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রেও তাই।’

আগামী ১ জুন আগামী (জুলাই’২৩-জুন’২৪) অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের আগ্রহ সেখানে নিত্যপণ্যের দামের লাগাম টানার কী ব্যবস্থা থাকবে।