ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের দেয়া এক বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
গতকাল সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগের ডায়াসে দাঁড়ান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। এ সময় তিনি গত রোববার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে করা একটি পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ে শোনান। আদালতে এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘মেয়র তাপস বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান) আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যেসব সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেই সব সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব।
ব্যারিস্টার আমীর-উল বলেন, ‘তার এই বক্তব্যে আনফরচুনেটলি...।’ এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বক্তব্য ভালো করে পড়ে দেখি। তারপর কী করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
আদালত থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘তাপস যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি আদালত অবমাননা। তার বক্তব্যে সারাদেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আশা করছি, আপিল বিভাগের আট বিচারপতি বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
এ সময় আদালত কক্ষে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শাহ আহমেদ বাদল, সৈয়দ মামুন মাহবুব, আবেদ রাজা, মোহাম্মদ আলী, মো. আক্তারুজ্জামানসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩ , ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৫ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের দেয়া এক বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
গতকাল সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগের ডায়াসে দাঁড়ান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। এ সময় তিনি গত রোববার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে করা একটি পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ে শোনান। আদালতে এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘মেয়র তাপস বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান) আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যেসব সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেই সব সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব।
ব্যারিস্টার আমীর-উল বলেন, ‘তার এই বক্তব্যে আনফরচুনেটলি...।’ এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বক্তব্য ভালো করে পড়ে দেখি। তারপর কী করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
আদালত থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘তাপস যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি আদালত অবমাননা। তার বক্তব্যে সারাদেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আশা করছি, আপিল বিভাগের আট বিচারপতি বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
এ সময় আদালত কক্ষে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শাহ আহমেদ বাদল, সৈয়দ মামুন মাহবুব, আবেদ রাজা, মোহাম্মদ আলী, মো. আক্তারুজ্জামানসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।