রাজশাহী : বহিষ্কারের হুমকিতেও আটকাতে পারল না বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে । গত রবিবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের কোন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করলে তাদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।

রোববার সকালে নগরীর মালোপাড়া এলাকায় অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যলয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মিজানুর রহমান মিনু আরও বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচনের কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। এই নির্বাচন ভোট ডাকাতি এবং প্রহসনের নির্বাচন হবে। বর্তমান সরকারের পতন এবং এই নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সুনিশ্চিত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মিনু।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা প্রমুখ।

তবে এই হুমকি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ জনকে আটকাতে পারেনি। তারা সিটি নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে।

মঙ্গলবার রাসিক নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ছিল। এই সময়ের মধ্যে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য ৪৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই তালিকা ঘেটে ‘বিএনপির লোক’ হিসেবে পরিচিত ২০ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আগে বিএনপির রাজনীতি করলেও এখন নিষ্ক্রিয় এমন আরও কয়েকজন আছেন। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া ব্যক্তি আছেন অনেকেই।

নগরীর রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজপাড়া এলাকায় হাবিবুর সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ওই সময় পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়। হাবিবুর এবার দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন।

এখন রাসিকের সংরক্ষিত নারী আসন-৩ -এর কাউন্সিলর মুসলিমা বেগম বেলী মহানগর মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এবারও তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ভোটের জন্য তিনি দলই ছেড়ে দিয়েছেন। বেলী বলেন, ‘এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা আছে। মানুষ আমাকে আবার চাচ্ছেন। কিন্তু দল নিষেধ করছে। তাই সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেই পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগ করার এক-দেড় মাস হয়ে গেল। শুধু ভোট করার জন্যই দল থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।’

নগরীর প্রাণকেন্দ্র বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি ছিলেন আবু বাক্কার কিনু। তিনি সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। আবু বাক্কার কিনুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এখনও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আড্ডা জমে। কিন্তু আবু বাক্কার নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেননি। এবারও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তিনি।

নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে কবীর টুটুল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটে এসেছেন হামিদুল ইসলাম সুজন। রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান প্রার্থী হচ্ছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আছেন বিএনপির মাসুদ রানা। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক যুবদল নেতা মো. টুটুল। বিএনপির আবদুস সোবহান লিটন এখন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এবারও তিনি প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের টানা কয়েকবারের কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ যুবদলের থানা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি এবারও ভোটে অংশ নিচ্ছেন। বেলাল আহমেদ বলেন, ‘আমি অনেক দিন আগে পদে ছিলাম। এখন তো পদে নাই। ভোটে অংশ নিতেও সমস্যা নাই।’

নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পচা যুবদলের সাবেক নেতা। তিনি এবারও ভোটে আসছেন। মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো প্রার্থী হচ্ছেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ২৬ নম্বরের কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান কোয়েল বিএনপি পরিবারের সন্তান। মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আমিন আযব ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আর ২৮ নম্বরের কাউন্সিলর আশরাফুল আলম বাচ্চু ছাত্রদল থেকে এসে বিএনপি করতেন। তারা সবাই প্রার্থী হচ্ছেন।

এ ছাড়া ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে যুবদল সদস্য সাইদুর রহমান সাঈদ এবং ২৮ নম্বরে বিএনপির আবদুস সাত্তার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মহিলা দলের মাঠ কাঁপানো নেত্রী সামসুন নাহার সংরক্ষিত নারী আসন-৫ -এর কাউন্সিলর। এবারও তিনি ভোট করছেন। এ ছাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির মোসা. নূরবানু এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডে শাহনাজ বেগম শিখা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এই নির্বাচনে নগর বিএনপির সাবেক নেতা সাহিদ হাসান মেয়র পদে অংশগ্রহণের কথা ভাবছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তারা বিএনপির লোক না। সেটাই বুঝে নিতে হবে। ভোটে অংশ নেয়া কেউ পদে থাকলে অবশ্যই বহিষ্কার করা হবে। আর যদি কেউ পদে না থাকে, তাহলে বহিষ্কার করার কিছু নাই। তারা আগামীতে পদ পাবেন না।’

আরও খবর
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিশ্চয়ই এটাতে বিএনপির ‘মৌন সম্মতি’ আছে : কাদের
শেখ তাপসের বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে আনলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল
দুই মন্ত্রণালয়ের দুই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে
জাতীয় কবির জন্মদিন আজ
সিলেট : মেয়র পদে ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন
খুলনা : খালেক ও মধুর ভোট নিজের টাকায়, ধার-দানে আউয়াল ও সাব্বিরের
বরিশাল : ৩২ কাউন্সিলর প্রার্থী অর্ধশতাধিক মামলায় অভিযুক্ত
আ’লীগ ‘বিএনপি নিশ্চিহ্নে’ ঝাঁপিয়ে পড়েছে : রিজভী
উপকূল, হাওর, চরাঞ্চলসহ প্রতিকূল এলাকাগুলোতে এখনও জাতীয় গড়ের চেয়ে দারিদ্র্য বেশি
প্রথম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট সংযোগ

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩ , ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৫ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

নগর নির্বাচন

রাজশাহী : বহিষ্কারের হুমকিতেও আটকাতে পারল না বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে । গত রবিবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের কোন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করলে তাদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।

রোববার সকালে নগরীর মালোপাড়া এলাকায় অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যলয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মিজানুর রহমান মিনু আরও বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচনের কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। এই নির্বাচন ভোট ডাকাতি এবং প্রহসনের নির্বাচন হবে। বর্তমান সরকারের পতন এবং এই নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সুনিশ্চিত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মিনু।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা প্রমুখ।

তবে এই হুমকি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ জনকে আটকাতে পারেনি। তারা সিটি নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে।

মঙ্গলবার রাসিক নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ছিল। এই সময়ের মধ্যে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য ৪৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই তালিকা ঘেটে ‘বিএনপির লোক’ হিসেবে পরিচিত ২০ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আগে বিএনপির রাজনীতি করলেও এখন নিষ্ক্রিয় এমন আরও কয়েকজন আছেন। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া ব্যক্তি আছেন অনেকেই।

নগরীর রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজপাড়া এলাকায় হাবিবুর সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ওই সময় পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়। হাবিবুর এবার দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন।

এখন রাসিকের সংরক্ষিত নারী আসন-৩ -এর কাউন্সিলর মুসলিমা বেগম বেলী মহানগর মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এবারও তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ভোটের জন্য তিনি দলই ছেড়ে দিয়েছেন। বেলী বলেন, ‘এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা আছে। মানুষ আমাকে আবার চাচ্ছেন। কিন্তু দল নিষেধ করছে। তাই সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেই পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগ করার এক-দেড় মাস হয়ে গেল। শুধু ভোট করার জন্যই দল থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।’

নগরীর প্রাণকেন্দ্র বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি ছিলেন আবু বাক্কার কিনু। তিনি সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। আবু বাক্কার কিনুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এখনও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আড্ডা জমে। কিন্তু আবু বাক্কার নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেননি। এবারও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তিনি।

নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে কবীর টুটুল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটে এসেছেন হামিদুল ইসলাম সুজন। রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান প্রার্থী হচ্ছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আছেন বিএনপির মাসুদ রানা। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক যুবদল নেতা মো. টুটুল। বিএনপির আবদুস সোবহান লিটন এখন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এবারও তিনি প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের টানা কয়েকবারের কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ যুবদলের থানা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি এবারও ভোটে অংশ নিচ্ছেন। বেলাল আহমেদ বলেন, ‘আমি অনেক দিন আগে পদে ছিলাম। এখন তো পদে নাই। ভোটে অংশ নিতেও সমস্যা নাই।’

নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পচা যুবদলের সাবেক নেতা। তিনি এবারও ভোটে আসছেন। মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো প্রার্থী হচ্ছেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ২৬ নম্বরের কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান কোয়েল বিএনপি পরিবারের সন্তান। মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আমিন আযব ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আর ২৮ নম্বরের কাউন্সিলর আশরাফুল আলম বাচ্চু ছাত্রদল থেকে এসে বিএনপি করতেন। তারা সবাই প্রার্থী হচ্ছেন।

এ ছাড়া ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে যুবদল সদস্য সাইদুর রহমান সাঈদ এবং ২৮ নম্বরে বিএনপির আবদুস সাত্তার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মহিলা দলের মাঠ কাঁপানো নেত্রী সামসুন নাহার সংরক্ষিত নারী আসন-৫ -এর কাউন্সিলর। এবারও তিনি ভোট করছেন। এ ছাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির মোসা. নূরবানু এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডে শাহনাজ বেগম শিখা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এই নির্বাচনে নগর বিএনপির সাবেক নেতা সাহিদ হাসান মেয়র পদে অংশগ্রহণের কথা ভাবছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তারা বিএনপির লোক না। সেটাই বুঝে নিতে হবে। ভোটে অংশ নেয়া কেউ পদে থাকলে অবশ্যই বহিষ্কার করা হবে। আর যদি কেউ পদে না থাকে, তাহলে বহিষ্কার করার কিছু নাই। তারা আগামীতে পদ পাবেন না।’