বরিশাল : ৩২ কাউন্সিলর প্রার্থী অর্ধশতাধিক মামলায় অভিযুক্ত

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ১৩৪ জন। তাদের দেয়া হলফনামা অনুযায়ী তাদের মধ্যে ৩২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে অর্ধ শতাধিক ধর্ষণ, নির্যাতন, মাদক, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অপরাধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে মনোনয়নপত্র বাছাইকালে কোন মামলারই বিচার শেষ হয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তারা দণ্ডিত হয়েছেন এরকম কোন প্রমাণ না থাকায় তাদের সব মনোনয়নপত্রগুলোই বৈধ বলে গণ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। অবশ্য কারাগারে থেকেও মনোনয়নপত্র দাখিল করা সদ্য অবলুপ্ত মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইছ আহমেদ মান্নার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা থাকলেও অন্য কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

নগরীর ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আউয়াল মোল্লার বিরুদ্ধে ২টি জিহাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি, সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুনের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। ২ নং ওয়ার্ডে একাধিকবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও জাতীয় পার্টির নেতা একেএম মরতুজা আবেদীনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। অবশ্য মামলাগুলোর কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে। ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. কেফায়েত হোসেন রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। মামলাটি এখন বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিবেচনাধীন আছে। একই ওয়ার্ডের অন্য কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ আনোয়ার হোসেন ছালেকের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। ৬ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আকতারুজ্জামান হিরুর বিরুদ্ধে ১টি, কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান টিপুর বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। ৮ নং ওয়ার্ডে বহুবার নির্বাচিত কাউন্সিলর মো. সেলিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে একটি, ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন ভুলুর বিরুদ্ধে রয়েছে ১টি মামলা। ১৪ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. শাকিল হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে একটি, ১৫ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. আবদুল কাদের শামীমের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। ১৬ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহিন সিকদারের নামে ২টি, ১৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. আক্তারুজ্জামান হিরু, ১৮ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. জাবের আবদুল্লাহ সাদি, ২০ নং ওয়ার্ডেও বর্তমান কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে। ২১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্নার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত তিনটি মামলার মধ্যে একটিতে খালাস, একটি স্থগিত ও একটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এই ওয়ার্ডের অন্য প্রার্থী যুবলীগ নেতা মু. শাহরিয়ার সাচিব রাজিবের ৩টি মামলা রয়েছে। ২৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক বাহারের নামে দায়েরকৃত ১৬টি মামলার মধ্যে ১৫টি থেকেই তিনি খালাস পেয়েছেন এবং বাকি একটি চলমান রয়েছে। এই ওয়ার্ডের অন্য প্রার্থী মো. শামীম খান আজাদের বিরুদ্ধে একটি এবং মিজানুর রহমানের নামে ৩টি মামলার মধ্যে ২টি চলমান ও একটি হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে। ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাফিন মাহমুদ তারিকের বিরুদ্ধে একটি, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলার মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য আছে। ২৫ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এম সাইদুর রহমান বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মামলা পুলিশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ২৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মামলা এখন সমন পর্যায়ে আছে। প্রার্থী মো. ফরিদউদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে। ২৭ নং ওয়ার্ডে মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের বিরুদ্ধে একটি, ২৮ নং ওয়ার্ডে মো. হুমায়ুন কবিরের নামে একটি , সাইদুল ইসলামের নামে ৩টি মামলা চলমান আছে। ৩০ নং ওয়ার্ডের মো. খায়রুল মামুনের নামে একটি এবং বর্তমান কাউন্সিলর মো. আজাদ হোসেন কালাম মোল্লার বিরুদ্ধে ২টি মামলা চলমান আছে। অবশ্য বিএনপির সমর্থক কাউন্সিলর বা প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন বর্তমান সরকারের আমলে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো প্রায় সবই বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা হয়েছে।

আরও খবর
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিশ্চয়ই এটাতে বিএনপির ‘মৌন সম্মতি’ আছে : কাদের
শেখ তাপসের বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে আনলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল
দুই মন্ত্রণালয়ের দুই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে
জাতীয় কবির জন্মদিন আজ
সিলেট : মেয়র পদে ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন
রাজশাহী : বহিষ্কারের হুমকিতেও আটকাতে পারল না বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে
খুলনা : খালেক ও মধুর ভোট নিজের টাকায়, ধার-দানে আউয়াল ও সাব্বিরের
আ’লীগ ‘বিএনপি নিশ্চিহ্নে’ ঝাঁপিয়ে পড়েছে : রিজভী
উপকূল, হাওর, চরাঞ্চলসহ প্রতিকূল এলাকাগুলোতে এখনও জাতীয় গড়ের চেয়ে দারিদ্র্য বেশি
প্রথম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট সংযোগ

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩ , ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৫ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

নগর নির্বাচন

বরিশাল : ৩২ কাউন্সিলর প্রার্থী অর্ধশতাধিক মামলায় অভিযুক্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ১৩৪ জন। তাদের দেয়া হলফনামা অনুযায়ী তাদের মধ্যে ৩২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে অর্ধ শতাধিক ধর্ষণ, নির্যাতন, মাদক, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অপরাধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে মনোনয়নপত্র বাছাইকালে কোন মামলারই বিচার শেষ হয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তারা দণ্ডিত হয়েছেন এরকম কোন প্রমাণ না থাকায় তাদের সব মনোনয়নপত্রগুলোই বৈধ বলে গণ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। অবশ্য কারাগারে থেকেও মনোনয়নপত্র দাখিল করা সদ্য অবলুপ্ত মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইছ আহমেদ মান্নার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা থাকলেও অন্য কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

নগরীর ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আউয়াল মোল্লার বিরুদ্ধে ২টি জিহাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি, সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুনের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। ২ নং ওয়ার্ডে একাধিকবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও জাতীয় পার্টির নেতা একেএম মরতুজা আবেদীনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। অবশ্য মামলাগুলোর কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে। ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. কেফায়েত হোসেন রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। মামলাটি এখন বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিবেচনাধীন আছে। একই ওয়ার্ডের অন্য কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ আনোয়ার হোসেন ছালেকের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। ৬ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আকতারুজ্জামান হিরুর বিরুদ্ধে ১টি, কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান টিপুর বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। ৮ নং ওয়ার্ডে বহুবার নির্বাচিত কাউন্সিলর মো. সেলিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে একটি, ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন ভুলুর বিরুদ্ধে রয়েছে ১টি মামলা। ১৪ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. শাকিল হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে একটি, ১৫ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. আবদুল কাদের শামীমের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। ১৬ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহিন সিকদারের নামে ২টি, ১৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. আক্তারুজ্জামান হিরু, ১৮ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. জাবের আবদুল্লাহ সাদি, ২০ নং ওয়ার্ডেও বর্তমান কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে। ২১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্নার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত তিনটি মামলার মধ্যে একটিতে খালাস, একটি স্থগিত ও একটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এই ওয়ার্ডের অন্য প্রার্থী যুবলীগ নেতা মু. শাহরিয়ার সাচিব রাজিবের ৩টি মামলা রয়েছে। ২৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক বাহারের নামে দায়েরকৃত ১৬টি মামলার মধ্যে ১৫টি থেকেই তিনি খালাস পেয়েছেন এবং বাকি একটি চলমান রয়েছে। এই ওয়ার্ডের অন্য প্রার্থী মো. শামীম খান আজাদের বিরুদ্ধে একটি এবং মিজানুর রহমানের নামে ৩টি মামলার মধ্যে ২টি চলমান ও একটি হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে। ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাফিন মাহমুদ তারিকের বিরুদ্ধে একটি, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলার মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য আছে। ২৫ নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এম সাইদুর রহমান বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মামলা পুলিশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ২৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মামলা এখন সমন পর্যায়ে আছে। প্রার্থী মো. ফরিদউদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে। ২৭ নং ওয়ার্ডে মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের বিরুদ্ধে একটি, ২৮ নং ওয়ার্ডে মো. হুমায়ুন কবিরের নামে একটি , সাইদুল ইসলামের নামে ৩টি মামলা চলমান আছে। ৩০ নং ওয়ার্ডের মো. খায়রুল মামুনের নামে একটি এবং বর্তমান কাউন্সিলর মো. আজাদ হোসেন কালাম মোল্লার বিরুদ্ধে ২টি মামলা চলমান আছে। অবশ্য বিএনপির সমর্থক কাউন্সিলর বা প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন বর্তমান সরকারের আমলে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো প্রায় সবই বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা হয়েছে।