গোপাল-লক্ষ্মণ-রানিপছন্দে জমজমাট আমের হাট

গোপালভোগ, লক্ষ্মণভোগ আর রানিপছন্দে জমে উঠেছে রাজশাহীর বানেশ্বরের আমের হাট। জেলার সবচেয়ে বড় এই হাটে প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়।

শুধু গোপাল, লক্ষ্মণ ও রানিপছন্দই নয়, বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ ধরনের গুটি জাতের আম। হাটে পর্যাপ্ত আমের সরবরাহ থাকায় প্রতিদিন শত শত মণ আম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে হাটের ভেতরে ঢুকছে ভ্যান, নসিমন ও করিমন ভর্তি আম। বানেশ্বরে আমের ব্যাপক আমদানি থাকায় হাট বসেছে বানেশ্বর কলেজ মাঠে। তবে সড়কের পাশে কাচারি মাঠে খুচরা কেনাবেচা করছেন অনেকেই। যারা বেশি আম কিনবেন তারা যাচ্ছেন কলেজ মাঠে। আম বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, হাটে আজ প্রচুর আম উঠেছে। এমন চিত্র এখন প্রতিদিনের। কারণ এই অঞ্চলের সিংহভাগ আম এই হাটে কেনাবেচা হয়। হাটে গোপালভোগ, লক্ষ্মণভোগ, রানিপছন্দের চেয়ে বেশি উঠেছে গুটি আম। তবে এই আমগুলোর চেয়ে গুটি আমের স্বাদ কম। কোনো কোনো গুটি গোপাল ও রাণির চেয়েও খেতে সুস্বাদু। হাটে গোপালভোগ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে। লক্ষ্মণভোগ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ। গুটি জাতের আম ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমচাষি হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের নিজেদের তিনটা আমের বাগান আছে। এছাড়া আরও চারটা কিনেছি। বাগানে ভালো আম আছে। মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বানেশ্বর হাটে আম বিক্রি করি। এতে করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আম বিক্রি করি। বাগানের সব গুটি আম বিক্রি করেছি। গোপালভোগ ও লক্ষ্মণভোগ বিক্রি শুরু করেছি। প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ মণ করে আম হাটে বিক্রি করি।

আম বিক্রেতা নাজিমউদ্দিন বলেন, আমের দাম তুলনামূলক ভালো। এ বছর ঝড়-বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আম আকারে ছোট। আর ঝড় না হওয়ার কারণে প্রতিা গাছে ব্যাপক আম আছে। আর রাজশাহীর আমের চাহিদা দেশব্যাপী। তাই এই হাট থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রির উদ্দেশে আম নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। বানেশ্বর আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমের হাট জমতে শুরু করেছে। এখন প্রতিদিনই হাট বসবে বানেশ্বরে। হাটে গোপালভোগ, লখনা, রানিপছন্দ আম বিক্রি হচ্ছে। হাটে বিভিন্ন দামে আম কেনাবেচা হচ্ছে। প্রতি মণ গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে। লক্ষ্মণ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ। এছাড়া গুটি জাতের আম ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাক মণ দরে বিক্রি হচ্ছে ।

image

রাজশাহী : বানেশ্বরের আমের হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় -সংবাদ

আরও খবর
চালু হলো জেলার তৃতীয় সীমান্তহাট
৪ হাজার ইয়াবাসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ আটক-২
মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, এক যুগ ধরে পরিত্যক্ত নৌ-অ্যাম্বুলেন্স
নবীনগরের ভাটি অঞ্চলে সারি সারি হিজল গাছ
প্রধান আসামি জেলা পরিষদ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘরছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা
হঠাৎ আর্বিভূত প্রধান শিক্ষককে নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড়
পাহাড়ের সম্ভাবনাময়ী স্বর্ণজয়ী অনিতার পাশে পার্বত্য প্রেসক্লাব
ঈশ্বরগঞ্জে মোবাইল অ্যাপসের জুয়ায় নিঃস্ব যুবসমাজ
দশমিনায় দৃষ্টিনন্দন গার্ডার ব্রিজ উদ্বোধন
গৃহবধূকে ধর্ষণের ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল, আটক ৩

শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৬ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

গোপাল-লক্ষ্মণ-রানিপছন্দে জমজমাট আমের হাট

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

image

রাজশাহী : বানেশ্বরের আমের হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় -সংবাদ

গোপালভোগ, লক্ষ্মণভোগ আর রানিপছন্দে জমে উঠেছে রাজশাহীর বানেশ্বরের আমের হাট। জেলার সবচেয়ে বড় এই হাটে প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়।

শুধু গোপাল, লক্ষ্মণ ও রানিপছন্দই নয়, বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ ধরনের গুটি জাতের আম। হাটে পর্যাপ্ত আমের সরবরাহ থাকায় প্রতিদিন শত শত মণ আম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে হাটের ভেতরে ঢুকছে ভ্যান, নসিমন ও করিমন ভর্তি আম। বানেশ্বরে আমের ব্যাপক আমদানি থাকায় হাট বসেছে বানেশ্বর কলেজ মাঠে। তবে সড়কের পাশে কাচারি মাঠে খুচরা কেনাবেচা করছেন অনেকেই। যারা বেশি আম কিনবেন তারা যাচ্ছেন কলেজ মাঠে। আম বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, হাটে আজ প্রচুর আম উঠেছে। এমন চিত্র এখন প্রতিদিনের। কারণ এই অঞ্চলের সিংহভাগ আম এই হাটে কেনাবেচা হয়। হাটে গোপালভোগ, লক্ষ্মণভোগ, রানিপছন্দের চেয়ে বেশি উঠেছে গুটি আম। তবে এই আমগুলোর চেয়ে গুটি আমের স্বাদ কম। কোনো কোনো গুটি গোপাল ও রাণির চেয়েও খেতে সুস্বাদু। হাটে গোপালভোগ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে। লক্ষ্মণভোগ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ। গুটি জাতের আম ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমচাষি হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের নিজেদের তিনটা আমের বাগান আছে। এছাড়া আরও চারটা কিনেছি। বাগানে ভালো আম আছে। মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বানেশ্বর হাটে আম বিক্রি করি। এতে করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আম বিক্রি করি। বাগানের সব গুটি আম বিক্রি করেছি। গোপালভোগ ও লক্ষ্মণভোগ বিক্রি শুরু করেছি। প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ মণ করে আম হাটে বিক্রি করি।

আম বিক্রেতা নাজিমউদ্দিন বলেন, আমের দাম তুলনামূলক ভালো। এ বছর ঝড়-বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আম আকারে ছোট। আর ঝড় না হওয়ার কারণে প্রতিা গাছে ব্যাপক আম আছে। আর রাজশাহীর আমের চাহিদা দেশব্যাপী। তাই এই হাট থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রির উদ্দেশে আম নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। বানেশ্বর আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমের হাট জমতে শুরু করেছে। এখন প্রতিদিনই হাট বসবে বানেশ্বরে। হাটে গোপালভোগ, লখনা, রানিপছন্দ আম বিক্রি হচ্ছে। হাটে বিভিন্ন দামে আম কেনাবেচা হচ্ছে। প্রতি মণ গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে। লক্ষ্মণ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ। এছাড়া গুটি জাতের আম ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাক মণ দরে বিক্রি হচ্ছে ।