বরিশাল : আপিলে ৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে যেসব প্রার্থী আবেদন করেছিলেন যাচাই বাছাইকালে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

রিটানির্ং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল দায়ের করে আসাদুজ্জামান নামক একজন মেয়র প্রার্থী তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এছাড়া পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থীও আপিলে তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। অন্যদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা যাদের মনোনয়পত্র সঠিক বলে ঘোষণা করেছিলেন তাদের মধ্যে ৬ জনের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা আবেদনগুলো বাতিল করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তগুলো জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মিডিয়াবিষয়ক সমন্বয়ক মনিরুজ্জামান। আপিলে যেসব কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তারা হলেন ২ নং ওয়ার্ডে মুন্না হাওলাদার, ৩ নং ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান, ২৭ নং ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম, ৮ নং সংরক্ষিত আসনে সেলিনা বেগম, ৯ নং ওয়ার্ডে সাবিহা সুলতানা।

এছাড়া আপিল করেও যারা তাদের প্রার্থিতা ফেরত পাননি তারা হলেন মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুল কবির, নেছারউদ্দিন, চরমোনাইর পীরের ভাই সৈয়দ এছাহাক মো. আবুল খায়ের। কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে রাশেদ খান মেনন, ২ নং ওয়ার্ডে ইমরান হোসেন সজিব, নৌকার মেয়র প্রার্থী প্রচার কর্মীদের ওপর হামলাকারী অধুনা অবলুপ্ত মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর একান্ত আপনজন ও বর্তমানে কারাগারে থাকা রইছ আহমেদ মান্না, ৩ নং ওয়ার্ডে ফিরোজ মল্লিক, ১৩ নং ওয়ার্ডে মীর আলফাজউদ্দিন, ১৭ নং ওয়ার্ডে সাইদ মাহমুদ ও কাজী রোকনউদ্দিন।

মোট ১২৬ ভোট কেন্দ্র, ঝুঁকিপূর্ণ ১১৫টি

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি প্রশাসনও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন সবদিক বিবেচনা করে ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি ভোট কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আয়তন ও ভোটার সংখ্যার ওপর নির্ভর করে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩-৬টি ভোট কেন্দ্র স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কোন অস্থায়ী কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে না। প্রয়োজনে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বরিশাল মেট্রোপলিটান পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতামত গ্রহণ শেষে বিএমপির পক্ষ থেকে ভোট কেন্দ্রের গুরুত্ব যাচাই বাছাই করা হয়েছে। বিএমপি থেকে জানা গেছে ১২৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে স্থান ও পরিবেশ বিবেচনায় ৮৮টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৭টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর বাকি ১১টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অবশ্য নির্বাচন কমিশন এ সম্পর্কে কিছুই অবহিত নয়। সহকারী রিটার্নিং অফিসার মনিরুজ্জামান জানালেন কোন কেন্দ্রের কী অবস্থা সেটা প্রশাসন নির্ধারণ করবে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সব কেন্দ্রেই জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালন করবেন। দু’চার দিনের মধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে সভা করার পর নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৬ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

বরিশাল : আপিলে ৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ৪ জন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে যেসব প্রার্থী আবেদন করেছিলেন যাচাই বাছাইকালে ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

রিটানির্ং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল দায়ের করে আসাদুজ্জামান নামক একজন মেয়র প্রার্থী তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এছাড়া পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থীও আপিলে তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। অন্যদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা যাদের মনোনয়পত্র সঠিক বলে ঘোষণা করেছিলেন তাদের মধ্যে ৬ জনের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা আবেদনগুলো বাতিল করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তগুলো জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মিডিয়াবিষয়ক সমন্বয়ক মনিরুজ্জামান। আপিলে যেসব কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তারা হলেন ২ নং ওয়ার্ডে মুন্না হাওলাদার, ৩ নং ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান, ২৭ নং ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম, ৮ নং সংরক্ষিত আসনে সেলিনা বেগম, ৯ নং ওয়ার্ডে সাবিহা সুলতানা।

এছাড়া আপিল করেও যারা তাদের প্রার্থিতা ফেরত পাননি তারা হলেন মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুল কবির, নেছারউদ্দিন, চরমোনাইর পীরের ভাই সৈয়দ এছাহাক মো. আবুল খায়ের। কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে রাশেদ খান মেনন, ২ নং ওয়ার্ডে ইমরান হোসেন সজিব, নৌকার মেয়র প্রার্থী প্রচার কর্মীদের ওপর হামলাকারী অধুনা অবলুপ্ত মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর একান্ত আপনজন ও বর্তমানে কারাগারে থাকা রইছ আহমেদ মান্না, ৩ নং ওয়ার্ডে ফিরোজ মল্লিক, ১৩ নং ওয়ার্ডে মীর আলফাজউদ্দিন, ১৭ নং ওয়ার্ডে সাইদ মাহমুদ ও কাজী রোকনউদ্দিন।

মোট ১২৬ ভোট কেন্দ্র, ঝুঁকিপূর্ণ ১১৫টি

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি প্রশাসনও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন সবদিক বিবেচনা করে ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি ভোট কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আয়তন ও ভোটার সংখ্যার ওপর নির্ভর করে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩-৬টি ভোট কেন্দ্র স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কোন অস্থায়ী কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে না। প্রয়োজনে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বরিশাল মেট্রোপলিটান পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতামত গ্রহণ শেষে বিএমপির পক্ষ থেকে ভোট কেন্দ্রের গুরুত্ব যাচাই বাছাই করা হয়েছে। বিএমপি থেকে জানা গেছে ১২৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে স্থান ও পরিবেশ বিবেচনায় ৮৮টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৭টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর বাকি ১১টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অবশ্য নির্বাচন কমিশন এ সম্পর্কে কিছুই অবহিত নয়। সহকারী রিটার্নিং অফিসার মনিরুজ্জামান জানালেন কোন কেন্দ্রের কী অবস্থা সেটা প্রশাসন নির্ধারণ করবে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সব কেন্দ্রেই জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালন করবেন। দু’চার দিনের মধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে সভা করার পর নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।