২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৫২ জন

এখনই পদক্ষেপ না নিলে নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর হবে-কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ

ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ৪১ জন ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ১১ জন ভর্তি হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল ২৫ মে পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ভর্তি ১৬২০ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৩ জন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৭৮ জন।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ১৬ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৬ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৪ জন ভর্তি হয়েছে। আর ঢাকার ২০টি সরকারি হাসপাতালে এখন ভর্তি আছে ১০৩ জন।

প্রাইভেট হাসপাতালের মধ্যে ধানমন্ডি সেন্টাল হাসপাতালে ৫ জন, ইসলামী ব্যাংক সেন্টাল হাসপাতাল কাকরাইল ও মুগদায় ৯ জন ভর্তি আছে। পুরনো ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭ জন। এই ভাবে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি আছে ৪৫ জন। জেলা পর্যায়ে এইবারও কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি আছে ৪ জন। এই ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এক থেকে ২ জন করে ভর্তি আছে।

মাসিক তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৬৬ জন। ফেব্রুয়ারি মাসে ভর্তি হয়েছে ১৬৬ জন। মার্চ মাসে ভর্তি হয়েছে ১১১ জন। এপ্রিল মাসে ১৪৩ জন। আর চলতি মে মাসের গত ২৫ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬৩৪ জন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ খলিলুর রহমান জানান, এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। বর্তমান আবহাওয়া ও পরিবেশ এডিস মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তারের জন্য অনুকূলে আছে। এডিস, মশার সংখ্যা এখনই না কমাতে পারলে ভাইরাসবাহী মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

এখন যে ওষুধ ছিটানো হয়, তাতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ ভাগ মশাও মরে না। একবার ভাইরাস বহনকারী মশা বেড়ে গেলে আর কন্ট্রোল করা কষ্টকর হবে। এলাকাভিত্তিক পাড়া-প্রতিবেশীসহ সবাইকে নিয়ে এখন মশা দমন করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে এই বিশেষজ্ঞ জানান। এছাড়া নির্মাণাধীন ভবনের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে আলোচনা করে মশা দমন করা দরকার। তা না হলে মৃত্যুর সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৬ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৫২ জন

এখনই পদক্ষেপ না নিলে নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর হবে-কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ৪১ জন ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ১১ জন ভর্তি হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল ২৫ মে পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ভর্তি ১৬২০ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৩ জন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৭৮ জন।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ১৬ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৬ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৪ জন ভর্তি হয়েছে। আর ঢাকার ২০টি সরকারি হাসপাতালে এখন ভর্তি আছে ১০৩ জন।

প্রাইভেট হাসপাতালের মধ্যে ধানমন্ডি সেন্টাল হাসপাতালে ৫ জন, ইসলামী ব্যাংক সেন্টাল হাসপাতাল কাকরাইল ও মুগদায় ৯ জন ভর্তি আছে। পুরনো ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭ জন। এই ভাবে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি আছে ৪৫ জন। জেলা পর্যায়ে এইবারও কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি আছে ৪ জন। এই ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এক থেকে ২ জন করে ভর্তি আছে।

মাসিক তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৬৬ জন। ফেব্রুয়ারি মাসে ভর্তি হয়েছে ১৬৬ জন। মার্চ মাসে ভর্তি হয়েছে ১১১ জন। এপ্রিল মাসে ১৪৩ জন। আর চলতি মে মাসের গত ২৫ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬৩৪ জন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ খলিলুর রহমান জানান, এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। বর্তমান আবহাওয়া ও পরিবেশ এডিস মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তারের জন্য অনুকূলে আছে। এডিস, মশার সংখ্যা এখনই না কমাতে পারলে ভাইরাসবাহী মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

এখন যে ওষুধ ছিটানো হয়, তাতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ ভাগ মশাও মরে না। একবার ভাইরাস বহনকারী মশা বেড়ে গেলে আর কন্ট্রোল করা কষ্টকর হবে। এলাকাভিত্তিক পাড়া-প্রতিবেশীসহ সবাইকে নিয়ে এখন মশা দমন করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে এই বিশেষজ্ঞ জানান। এছাড়া নির্মাণাধীন ভবনের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে আলোচনা করে মশা দমন করা দরকার। তা না হলে মৃত্যুর সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।