ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কয়ার মাস্টারবাড়ী সড়কের সংস্কার কাজ চলছিল। হঠাৎ করেই সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বৃষ্টির পানি জমে সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সড়কের কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছয়-সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এ সড়ক পথেই চলাচল করে। পাশাপাশি মিলকারখানার হাজারও শ্রমিকের আসা-যাওয়ার একমাত্র ভরসা এ সড়ক। প্রায়ই সড়কটি জলমগ্ন থাকে। শিক্ষার্থী, জনসাধারণ ও শ্রমিকদের এ সড়কে যাতায়াত-যোগাযোগ করার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কে সৃষ্ট গর্তে রিকশা-ভ্যানগাড়ি উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটে মাঝে-মধ্যেই। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এমন করুণ অবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

শুধু যে ভালুকায় সড়কের সংস্কার কাজ মাঝপথে বন্ধ করা হয়েছে তা না। এমন ঘটনা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটতে দেখা যায়। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদাররা স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কথার তোয়াক্কা করেন না। তারা তাদের মর্জিমতো কাজ করেন। এতে জনগণের সুবিধা হলো নাকি অসুবিধা হলো- সেটা নিয়ে তারা মাথা ঘামান না। সড়ক নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজে জবাবদিহিতা থাকা জরুরি। তারা খেয়ালখুশি মতো কাজ করবে বা কাজ ফেলে রাখবে- সেটা হতে পারে না।

ঠিকাদারদের কাজ যাদের মনিটরিং করার কথা, তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেন কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে। ঠিকাদাররা ঠিকমতো কাজ করল কিনা- সেটা যদি ঠিকভাবে মনিটরিং করা হতো, তাহলে ভালুকা বা দেশের অন্যান্য এলাকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ রাখার সাহস ঠিকাদাররা পেতেন না। ঠিকাদারদের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যর্থ হয়। দেখা যায়, তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। আবার প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও নিজের আখের গোছাতে ঠিকাদারদের পক্ষাবলম্বন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ অবস্থার অবসান হওয়া উচিত। নইলে জনগণের যাতায়াত-যোগাযোগের দুর্ভোগ-ভোগান্তি দূর হবে না।

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ অসমাপ্ত রাখা হয়েছে কেন সেটা জানা জরুরি। সেখানে ঠিকাদারদের কোনো গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। জনসাধারণের নির্বিঘ্নে চলাফেরা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সড়কটি সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করা হয়েছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ০৬ জিলক্বদ শাওয়াল ১৪৪৪

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কয়ার মাস্টারবাড়ী সড়কের সংস্কার কাজ চলছিল। হঠাৎ করেই সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বৃষ্টির পানি জমে সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সড়কের কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছয়-সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এ সড়ক পথেই চলাচল করে। পাশাপাশি মিলকারখানার হাজারও শ্রমিকের আসা-যাওয়ার একমাত্র ভরসা এ সড়ক। প্রায়ই সড়কটি জলমগ্ন থাকে। শিক্ষার্থী, জনসাধারণ ও শ্রমিকদের এ সড়কে যাতায়াত-যোগাযোগ করার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কে সৃষ্ট গর্তে রিকশা-ভ্যানগাড়ি উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটে মাঝে-মধ্যেই। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এমন করুণ অবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

শুধু যে ভালুকায় সড়কের সংস্কার কাজ মাঝপথে বন্ধ করা হয়েছে তা না। এমন ঘটনা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটতে দেখা যায়। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদাররা স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কথার তোয়াক্কা করেন না। তারা তাদের মর্জিমতো কাজ করেন। এতে জনগণের সুবিধা হলো নাকি অসুবিধা হলো- সেটা নিয়ে তারা মাথা ঘামান না। সড়ক নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজে জবাবদিহিতা থাকা জরুরি। তারা খেয়ালখুশি মতো কাজ করবে বা কাজ ফেলে রাখবে- সেটা হতে পারে না।

ঠিকাদারদের কাজ যাদের মনিটরিং করার কথা, তারা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেন কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে। ঠিকাদাররা ঠিকমতো কাজ করল কিনা- সেটা যদি ঠিকভাবে মনিটরিং করা হতো, তাহলে ভালুকা বা দেশের অন্যান্য এলাকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ রাখার সাহস ঠিকাদাররা পেতেন না। ঠিকাদারদের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যর্থ হয়। দেখা যায়, তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। আবার প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও নিজের আখের গোছাতে ঠিকাদারদের পক্ষাবলম্বন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ অবস্থার অবসান হওয়া উচিত। নইলে জনগণের যাতায়াত-যোগাযোগের দুর্ভোগ-ভোগান্তি দূর হবে না।

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ অসমাপ্ত রাখা হয়েছে কেন সেটা জানা জরুরি। সেখানে ঠিকাদারদের কোনো গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। জনসাধারণের নির্বিঘ্নে চলাফেরা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সড়কটি সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করা হয়েছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।