বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে দোকান কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দাবি

রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে দোকানগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ হাজার কর্মচারীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান ফেডারেশনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘গত ৪ এপ্রিল ভোরে দেশের অন্যতম বড় কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে আগুন লেগে পাঁচটি মার্কেটের পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসব দোকানে প্রায় ১৫ হাজার কর্মচারী কাজ করতেন। যারা এখন চাকরি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেতন-ভাতা ও বোনাস ছাড়া তারা গত ঈদুল ফিতর পালন করেছেন এবং আসন্ন ঈদুল আযহা পালন করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা পুনরায় ব্যবসা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, মেয়র, মন্ত্রী, মালিক সমিতি এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা সহায়তা পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নয় কোটি টাকা, এফবিসিসিআই থেকে এক কোটি টাকা, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স থেকে এক কোটি ২০ লাখ টাকা, পাবলিক ফান্ড থেকে ৭ কোটি টাকা, বিদ্যানন্দ থেকে এক কোটি টাকা সহায়তা পেয়েছেন দোকান মালিকরা। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীকে এক টাকাও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত দোকান কর্মচারীদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই, কর্মস্থলে নিরাপত্তা নেই, নেই কর্ম উপযোগী পরিবেশ। কাজ হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে এখন বেঁচে থাকাই তাদের জন্য কষ্টকর। তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সারা জীবন তারা দোকান কর্মচারী হিসেবে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে এলেও এখন তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই।’

এ সময় দাবি আদায়ে দুই দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করেন জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা। দাবিগুলো হলো- আগামী ১২ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত মেয়র, শ্রম প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় এমপি, ডিসি ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিকে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২০ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা।

এছাড়া জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি কামরুল হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা মেহজাবীন মিতালীসহ বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ১০ জুন ২০২৩ , ২৭ জৈষ্ঠ্য ১৪৩০, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৪

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে দোকান কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে দোকানগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ হাজার কর্মচারীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান ফেডারেশনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘গত ৪ এপ্রিল ভোরে দেশের অন্যতম বড় কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে আগুন লেগে পাঁচটি মার্কেটের পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসব দোকানে প্রায় ১৫ হাজার কর্মচারী কাজ করতেন। যারা এখন চাকরি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেতন-ভাতা ও বোনাস ছাড়া তারা গত ঈদুল ফিতর পালন করেছেন এবং আসন্ন ঈদুল আযহা পালন করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা পুনরায় ব্যবসা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, মেয়র, মন্ত্রী, মালিক সমিতি এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা সহায়তা পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নয় কোটি টাকা, এফবিসিসিআই থেকে এক কোটি টাকা, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স থেকে এক কোটি ২০ লাখ টাকা, পাবলিক ফান্ড থেকে ৭ কোটি টাকা, বিদ্যানন্দ থেকে এক কোটি টাকা সহায়তা পেয়েছেন দোকান মালিকরা। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীকে এক টাকাও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত দোকান কর্মচারীদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই, কর্মস্থলে নিরাপত্তা নেই, নেই কর্ম উপযোগী পরিবেশ। কাজ হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে এখন বেঁচে থাকাই তাদের জন্য কষ্টকর। তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সারা জীবন তারা দোকান কর্মচারী হিসেবে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে এলেও এখন তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই।’

এ সময় দাবি আদায়ে দুই দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করেন জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা। দাবিগুলো হলো- আগামী ১২ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত মেয়র, শ্রম প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় এমপি, ডিসি ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিকে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২০ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা।

এছাড়া জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি কামরুল হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা মেহজাবীন মিতালীসহ বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।