যেনতেনভাবে কাজ করার অভিযোগ

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের কাজ বন্ধ করে দিলেন মেয়র

স্থায়ী সমাধানের দাবিতে কুমারখালী পৌরসভার মেয়র মো. সামছুজ্জামান অরুন বার বার দেবে যাওয়া কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে মেয়র সামছুজ্জামান অরুন বলেন, বারবার একই জায়গায় সড়ক দেবে যাচ্ছে, আর সড়ক বিভাগ সংস্কার করছে। এতে সরকারি টাকার অপচয় হচ্ছে। আবার বার বার জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এবারো যেনতেন ভাবে সংস্কার কাজ চলছিল। সেজন্য স্থায়ী সমাধানের জন্য তিনি এ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

তাঁর দাবি, প্রকৌশলী এসে জনগণকে স্থায়ী সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করলেই তিনি কাজ করতে দিবেন।

বৃস্পতিবার সকালে দেবে যাওয়া স্থানসমূহের সংস্কার কাজ শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয় সওজ বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে গোলচত্বর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের উত্তর-পশ্চিম পাশের দেবে যাওয়া অংশগুলো কেটে সমান করা হয়েছে।

প্রায় ১০-১৫ জন শ্রমিক সড়ক বিভাজনের ওপরে বসে আছেন। এসময় শ্রমিকদের সরদার মহিদুল ইসলাম বলেন, সওজ বিভাগের নির্দেশে তিনি ১৪ জন শ্রমিক নিয়ে সকাল থেকে সড়ক খুঁড়াখুঁড়ি করে উচুনিচু অংশ গুলো সমান করার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু মেয়র এসে কাজ বন্ধ করে দিয়ে গেছেন। সেজন্য তারা সওজের কর্মকর্তাদের অপেক্ষায় বসে আছেন।

প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্মাণ করেন মেহেরপুর জেলার ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন। ২০১৮ সালে সড়কটির পুননির্মাণ করা হয়েছিল। সড়কটি দেবে গেলে ২০২০ সালের জুন মাসে প্রথম সংস্কার কাজ শেষ করে ঠিকাদার। পরবর্তীতে ২০২১ সালে জুন মাসে দেবে যাওয়া অংশ সংস্কার করা হয়। ২০২২ সালে কয়েকবার একইস্থানে আবার সরু খাল ও গর্ত সৃষ্টি হলে তা সংস্কার করা হয়। গত ৪ মে সর্বশেষ সংস্কার কাজ করা হয়। বর্তমানেও একই স্থান গুলো দেবে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম আজাদ খাঁন বলেন, ঝুঁঁকি এড়াতে ও চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য তিনি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিক দিয়ে দেবে যাওয়া অংশের সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু মেয়র কেন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি মেয়রের সাথে সমন্বয়ের জন্য কর্মকর্তা পাঠিয়েছেন।

স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে প্রকৌশলী আরো বলেন, তিনি ইতিমধ্যে সড়কের স্থায়ী সমাধানের জন্য এস্টিমেট প্রস্তুত করেছেন। এখন শুধু দরপত্র আহবানের পালা।

প্রসঙ্গত সংস্কারের মাত্র এক মাসের মাথায় আবারো দেবে গেছে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্ত্বর এলাকাসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি স্থান।

দেবে গিয়ে সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে আধা হাত গভীর ও দুই থেকে তিন শ মিটার দৈর্ঘের সরু নালা সৃষ্টি হয়েছে। অথচও মাত্র মাস খানেক আগেই সড়কটিতে সংস্কার কাজ করা হয়।

এনিয়ে সড়কটি নির্মাণের পর অন্তত ৮ থেকে ১০ বার দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটলো। বার বার দেবে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উল্টে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে যানবাহনগুলো। হোঁচট খেয়ে ছিটকে পড়ছেন পথচারীরা।

বিকল্প কোন পথ না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন এবং জনসাধারণকে এই মহাসড়কে চলাচল করতে হচ্ছে।

image

কুষ্টিয়া : কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকার বেহাল অংশ -সংবাদ

আরও খবর
সার্ভার জটিলতায় আখাউড়া ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম ব্যাহত, ৬ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক
শালিখা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
হাতিয়ার মেঘনায় ঝড়ে মালামালসহ পণ্যবাহী ট্রলারডুবি
গাইবান্ধায় তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে
মির্জাগঞ্জে নারী ইউপি সদস্যের হামলায় নারী আহত
নরসিংদীতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন
১৩ হাজার কেজি আম নিয়ে ম্যাংগো ট্রেন ঢাকায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে ২ ব্যক্তিসহ ৪ গরুর মৃত্যু
কাজ শেষের দু’বছরেও চালু হয়নি সরবরাহ
ঝিনাইদহে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ

শনিবার, ১০ জুন ২০২৩ , ২৭ জৈষ্ঠ্য ১৪৩০, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৪

যেনতেনভাবে কাজ করার অভিযোগ

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের কাজ বন্ধ করে দিলেন মেয়র

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া

image

কুষ্টিয়া : কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকার বেহাল অংশ -সংবাদ

স্থায়ী সমাধানের দাবিতে কুমারখালী পৌরসভার মেয়র মো. সামছুজ্জামান অরুন বার বার দেবে যাওয়া কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে মেয়র সামছুজ্জামান অরুন বলেন, বারবার একই জায়গায় সড়ক দেবে যাচ্ছে, আর সড়ক বিভাগ সংস্কার করছে। এতে সরকারি টাকার অপচয় হচ্ছে। আবার বার বার জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এবারো যেনতেন ভাবে সংস্কার কাজ চলছিল। সেজন্য স্থায়ী সমাধানের জন্য তিনি এ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

তাঁর দাবি, প্রকৌশলী এসে জনগণকে স্থায়ী সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করলেই তিনি কাজ করতে দিবেন।

বৃস্পতিবার সকালে দেবে যাওয়া স্থানসমূহের সংস্কার কাজ শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয় সওজ বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে গোলচত্বর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের উত্তর-পশ্চিম পাশের দেবে যাওয়া অংশগুলো কেটে সমান করা হয়েছে।

প্রায় ১০-১৫ জন শ্রমিক সড়ক বিভাজনের ওপরে বসে আছেন। এসময় শ্রমিকদের সরদার মহিদুল ইসলাম বলেন, সওজ বিভাগের নির্দেশে তিনি ১৪ জন শ্রমিক নিয়ে সকাল থেকে সড়ক খুঁড়াখুঁড়ি করে উচুনিচু অংশ গুলো সমান করার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু মেয়র এসে কাজ বন্ধ করে দিয়ে গেছেন। সেজন্য তারা সওজের কর্মকর্তাদের অপেক্ষায় বসে আছেন।

প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্মাণ করেন মেহেরপুর জেলার ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন। ২০১৮ সালে সড়কটির পুননির্মাণ করা হয়েছিল। সড়কটি দেবে গেলে ২০২০ সালের জুন মাসে প্রথম সংস্কার কাজ শেষ করে ঠিকাদার। পরবর্তীতে ২০২১ সালে জুন মাসে দেবে যাওয়া অংশ সংস্কার করা হয়। ২০২২ সালে কয়েকবার একইস্থানে আবার সরু খাল ও গর্ত সৃষ্টি হলে তা সংস্কার করা হয়। গত ৪ মে সর্বশেষ সংস্কার কাজ করা হয়। বর্তমানেও একই স্থান গুলো দেবে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম আজাদ খাঁন বলেন, ঝুঁঁকি এড়াতে ও চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য তিনি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিক দিয়ে দেবে যাওয়া অংশের সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু মেয়র কেন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি মেয়রের সাথে সমন্বয়ের জন্য কর্মকর্তা পাঠিয়েছেন।

স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে প্রকৌশলী আরো বলেন, তিনি ইতিমধ্যে সড়কের স্থায়ী সমাধানের জন্য এস্টিমেট প্রস্তুত করেছেন। এখন শুধু দরপত্র আহবানের পালা।

প্রসঙ্গত সংস্কারের মাত্র এক মাসের মাথায় আবারো দেবে গেছে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্ত্বর এলাকাসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি স্থান।

দেবে গিয়ে সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে আধা হাত গভীর ও দুই থেকে তিন শ মিটার দৈর্ঘের সরু নালা সৃষ্টি হয়েছে। অথচও মাত্র মাস খানেক আগেই সড়কটিতে সংস্কার কাজ করা হয়।

এনিয়ে সড়কটি নির্মাণের পর অন্তত ৮ থেকে ১০ বার দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটলো। বার বার দেবে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উল্টে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে যানবাহনগুলো। হোঁচট খেয়ে ছিটকে পড়ছেন পথচারীরা।

বিকল্প কোন পথ না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন এবং জনসাধারণকে এই মহাসড়কে চলাচল করতে হচ্ছে।