শালিখা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ার সোনাতলায় শালিখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকার অভিভাবকবৃন্দ ও সচেতনমহল।

গত বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের মাঠে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, অনিয়মিত উপস্থিতি, অর্থ আত্মসাতসহ নানা অসংগতির কারণে শতোর্ধ বছরের এই প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মান অবনতির চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক দুই সভাপতি মো. মাসহাব মারুফ হোসেন (ফয়সাল) ও আব্দুর রশিদ ভুট্টো বলেন, আমরা এই বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে থাকা কালীন সময়ে কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব হয়নি। কারণ প্রধান শিক্ষক নাসিমা খানম বিভিন্ন ধরনের প্রভাব দেখিয়ে ব্যাংকের চেকে স্বাক্ষর নিয়ে অর্থ উত্তোলন করলেও উন্নয়নমূলক কোন কাজ করেনি। বরং ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, হারমনিয়াম ক্রয় বাবদ ভাউচার দেখালেও কোন হারমনিয়াম কেনা হয়নি, এখানে যে হারমনিয়ামটি রয়েছে সেটি ১৯৯২ সালের। এছাড়া শহীদ মিনার তৈরি, টিউবওয়েল মেরামত, ছাদ বাগান, মা সমাবেশ, গ্রীল-গেট মেরামত, টাইলস ক্রয়সহ নানা ধরনের অসংগতির কথা উল্ল্যেখ করেন। তারা আরো বলেন এখানে গত কয়েকবছর ধরে তার নিজের অসৎ ইচ্ছা ও ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়নি।

প্রধান শিক্ষক নাসিমা খানম তার নামে বিভিন্ন অভিযোগের সব বিষয় অস্বীকার করেন। তবে বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ডের বরাদ্দকৃত খরচের বিষয়ে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি তিনি। এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা পারিভন বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যেমে শালিখা সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও অসংগতির কথা জানতে পারলাম। বিষয়টি নিয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শনিবার, ১০ জুন ২০২৩ , ২৭ জৈষ্ঠ্য ১৪৩০, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৪

শালিখা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি, বগুড়া

বগুড়ার সোনাতলায় শালিখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকার অভিভাবকবৃন্দ ও সচেতনমহল।

গত বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের মাঠে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, অনিয়মিত উপস্থিতি, অর্থ আত্মসাতসহ নানা অসংগতির কারণে শতোর্ধ বছরের এই প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মান অবনতির চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক দুই সভাপতি মো. মাসহাব মারুফ হোসেন (ফয়সাল) ও আব্দুর রশিদ ভুট্টো বলেন, আমরা এই বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে থাকা কালীন সময়ে কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্ভব হয়নি। কারণ প্রধান শিক্ষক নাসিমা খানম বিভিন্ন ধরনের প্রভাব দেখিয়ে ব্যাংকের চেকে স্বাক্ষর নিয়ে অর্থ উত্তোলন করলেও উন্নয়নমূলক কোন কাজ করেনি। বরং ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, হারমনিয়াম ক্রয় বাবদ ভাউচার দেখালেও কোন হারমনিয়াম কেনা হয়নি, এখানে যে হারমনিয়ামটি রয়েছে সেটি ১৯৯২ সালের। এছাড়া শহীদ মিনার তৈরি, টিউবওয়েল মেরামত, ছাদ বাগান, মা সমাবেশ, গ্রীল-গেট মেরামত, টাইলস ক্রয়সহ নানা ধরনের অসংগতির কথা উল্ল্যেখ করেন। তারা আরো বলেন এখানে গত কয়েকবছর ধরে তার নিজের অসৎ ইচ্ছা ও ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়নি।

প্রধান শিক্ষক নাসিমা খানম তার নামে বিভিন্ন অভিযোগের সব বিষয় অস্বীকার করেন। তবে বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ডের বরাদ্দকৃত খরচের বিষয়ে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি তিনি। এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা পারিভন বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যেমে শালিখা সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও অসংগতির কথা জানতে পারলাম। বিষয়টি নিয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।