মির্জাগঞ্জে নারী ইউপি সদস্যের হামলায় নারী আহত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হাওয়া বেগম নামে নারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় সদস্যের আত্মীয়-স্বজনরাও মারধর করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী। আহত হওয়ায় ওই নারীকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম মোসা. লাকি আক্তার। তিনি উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৭-৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য। আহত হাওয়া বেগম ওই ইউনিয়নের উত্তর ঝাঁটিবুনিয়া গ্রামের মোঃ জসিম হাওলাদারের স্ত্রী।

হাওয়া বেগম সোমবার বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ইউপি সদস্য লাকি আক্তার, তার দেবর সোহেল মল্লিক, ফাহিম মল্লিক, শাশুড়ি মিনারা বেগম ও লাল মিয়া নামে একজনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সোহেল মল্লিক এর নামে ওয়ারেন্ট ও বাকি আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ইউপি সদস্য লাকি আক্তার গত ৯ মাস পূর্বে গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন খরচ বাবদ হাওয়া বেগমের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। তখন ওই নারীকে তিন মাসের মধ্যে টিউবওয়েল পাইয়ে দিবেন বলে কথা দেন লাকি আক্তার। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর লাকি আক্তারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে ওই নারীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) ওই নারী তার নিজ বাড়ির সামনে বসে টাকা ফেরত চাইলে লাকি আক্তার, তার দেবর সোহেল মল্লিক

ও শাশুড়ি মিনারা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাতাড়িভাবে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ওই নারী উক্ত ঘটনা স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়ালিদ খানকে জানাতে গেলে পথে বসে পুনরায় সোহেল মল্লিক ও ফাহিম মল্লিক জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে । এসময় সেই ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেন।

ইউপি সদস্য লাকি আক্তার বলেন, তাদের সাথে হাতাহাতি হয়েছে, তবে মারাত্মক মারামারি হয়নি। তারা শুধু শুধু আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

শনিবার, ১০ জুন ২০২৩ , ২৭ জৈষ্ঠ্য ১৪৩০, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৪

মির্জাগঞ্জে নারী ইউপি সদস্যের হামলায় নারী আহত

প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হাওয়া বেগম নামে নারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় সদস্যের আত্মীয়-স্বজনরাও মারধর করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী। আহত হওয়ায় ওই নারীকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম মোসা. লাকি আক্তার। তিনি উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৭-৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য। আহত হাওয়া বেগম ওই ইউনিয়নের উত্তর ঝাঁটিবুনিয়া গ্রামের মোঃ জসিম হাওলাদারের স্ত্রী।

হাওয়া বেগম সোমবার বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ইউপি সদস্য লাকি আক্তার, তার দেবর সোহেল মল্লিক, ফাহিম মল্লিক, শাশুড়ি মিনারা বেগম ও লাল মিয়া নামে একজনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সোহেল মল্লিক এর নামে ওয়ারেন্ট ও বাকি আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ইউপি সদস্য লাকি আক্তার গত ৯ মাস পূর্বে গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন খরচ বাবদ হাওয়া বেগমের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। তখন ওই নারীকে তিন মাসের মধ্যে টিউবওয়েল পাইয়ে দিবেন বলে কথা দেন লাকি আক্তার। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর লাকি আক্তারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে ওই নারীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) ওই নারী তার নিজ বাড়ির সামনে বসে টাকা ফেরত চাইলে লাকি আক্তার, তার দেবর সোহেল মল্লিক

ও শাশুড়ি মিনারা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাতাড়িভাবে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ওই নারী উক্ত ঘটনা স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়ালিদ খানকে জানাতে গেলে পথে বসে পুনরায় সোহেল মল্লিক ও ফাহিম মল্লিক জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে । এসময় সেই ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেন।

ইউপি সদস্য লাকি আক্তার বলেন, তাদের সাথে হাতাহাতি হয়েছে, তবে মারাত্মক মারামারি হয়নি। তারা শুধু শুধু আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।