চলতি আম মৌসুমে ১৩ হাজার ৬৬৫ কেজি আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন নাচোল ও আমনুরা জংশনে আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে প্রবেশ করে এবং ৬টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি স্টেশনে বুকিং হওয়া ১৩ হাজার ৬৬৫ কেজি আমের বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৮ হাজার ১৪৬ টাকা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোঃ ওবাইদুল্লাহ ও রহনপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম। রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩২০ ক্যারেটে ৭ হাজার ৮৮৭ কেজি আম বুকিং হয়েছে এবং এ থেকে আয় হয়েছে ১০৫১৩ টাকা, রহনপুরে ২১৫ ক্যারেটে ৪ হাজার ৭৫৮ কেজি আম বুকিংয়ের বিপরীতে আয় হয়েছে ৬২৯৫ টাকা, নাচোলে ৬ক্যারেটে ১২০ কেজি আমে বুকিংয়ের বিপরীতে ১৬২ টাকা , আমনুরা জংশনে ৪৫ ক্যারেটে ৯০০ কেজি আম বুকিংয়ে আয় হয়েছে ১১৮০ টাকা। পরে বিকেল ৬টা ২৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে রাজশাহীর উদ্যোশ্যে যাত্রা করে। পথিমধ্যে আমনুরা বাইপাস ও কাঁকনহাটে আম নেয়। এসব স্টেশন থেকে আম বহনে ব্যবসায়ী ও চাষিদের খরচ প্রতি কেজিতে ১ টাকা ৩২ পয়সা। আর ৪০ কেজিতে সর্বোচ্চ কুলিসহ খরচ পড়ছে ৭২ টাকা। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৭টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
পথিমধ্যে সরদহ, আড়ানি, ও আব্দুলপুরে ষ্টেশনে থামবে। এসব স্টেশন থেকে আম বহনে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৭ পয়সা। আম নামানো শুরু হয় বঙ্গবন্ধু পশ্চিম ষ্টেশন, জয়দেবপুর, টঙ্গি, তেজগাঁও, বিমানবন্দর ও সব শেষে কমলাপুর ষ্টেশনে। ট্রেনটি রাত ১টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। বালিয়াডাঙ্গার আনারুল হাজি নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ট্রেনের সন্তোষজনক সেবার কারণে গত ৪ বছর ধরে আম পাঠাচ্ছেন ঢাকা ও গাজিপুরের জয়দেবপুরে। গতবার আড়াই হাজার ক্যারেটে আম পাঠানো হয়েছিল। এবার প্রথম দিনে ৩১ ক্যারেট আম পাঠানো হয়েছে। হারিয়ে যাওয়ার মতো তেমন ঝুঁকিও নেই। কুরিয়ার সার্ভিসে আম পাঠানোর ভোগান্তিটা বেশী। এদিকে পথিমধ্যে কাকনহাট, রাজশাহী, সরদহ, আড়ানী, আবদুলপুর স্টেশনে থামবে। বিশেষ এই ট্রেনটি প্রতিদিন যথাসময়ে রহনপুর হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনের মাস্টার মোঃ ওবাইদুল্লাহ জানান, আম বুকিংকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে আম বুকিং করা হচ্ছে।
এ স্পেশাল ট্রেনে শুধু আম নয়, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফলমূলও পরিবহন করা যাবে। এছাড়া আমগুলো যতœ সহকারে ওয়াগনে ওঠানো হয়। নিরাপদে ব্যবসায়ীসহ ভোক্তারা যাতে এ ট্রেনে আম সহজে পাঠাতে পারে সেজন্য রেলকর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার পূর্বে আমবাহী বিশেষ ট্রেন -সংবাদ
আরও খবরশনিবার, ১০ জুন ২০২৩ , ২৭ জৈষ্ঠ্য ১৪৩০, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার পূর্বে আমবাহী বিশেষ ট্রেন -সংবাদ
চলতি আম মৌসুমে ১৩ হাজার ৬৬৫ কেজি আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন নাচোল ও আমনুরা জংশনে আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে প্রবেশ করে এবং ৬টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি স্টেশনে বুকিং হওয়া ১৩ হাজার ৬৬৫ কেজি আমের বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৮ হাজার ১৪৬ টাকা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোঃ ওবাইদুল্লাহ ও রহনপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম। রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩২০ ক্যারেটে ৭ হাজার ৮৮৭ কেজি আম বুকিং হয়েছে এবং এ থেকে আয় হয়েছে ১০৫১৩ টাকা, রহনপুরে ২১৫ ক্যারেটে ৪ হাজার ৭৫৮ কেজি আম বুকিংয়ের বিপরীতে আয় হয়েছে ৬২৯৫ টাকা, নাচোলে ৬ক্যারেটে ১২০ কেজি আমে বুকিংয়ের বিপরীতে ১৬২ টাকা , আমনুরা জংশনে ৪৫ ক্যারেটে ৯০০ কেজি আম বুকিংয়ে আয় হয়েছে ১১৮০ টাকা। পরে বিকেল ৬টা ২৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে রাজশাহীর উদ্যোশ্যে যাত্রা করে। পথিমধ্যে আমনুরা বাইপাস ও কাঁকনহাটে আম নেয়। এসব স্টেশন থেকে আম বহনে ব্যবসায়ী ও চাষিদের খরচ প্রতি কেজিতে ১ টাকা ৩২ পয়সা। আর ৪০ কেজিতে সর্বোচ্চ কুলিসহ খরচ পড়ছে ৭২ টাকা। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৭টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
পথিমধ্যে সরদহ, আড়ানি, ও আব্দুলপুরে ষ্টেশনে থামবে। এসব স্টেশন থেকে আম বহনে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৭ পয়সা। আম নামানো শুরু হয় বঙ্গবন্ধু পশ্চিম ষ্টেশন, জয়দেবপুর, টঙ্গি, তেজগাঁও, বিমানবন্দর ও সব শেষে কমলাপুর ষ্টেশনে। ট্রেনটি রাত ১টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। বালিয়াডাঙ্গার আনারুল হাজি নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ট্রেনের সন্তোষজনক সেবার কারণে গত ৪ বছর ধরে আম পাঠাচ্ছেন ঢাকা ও গাজিপুরের জয়দেবপুরে। গতবার আড়াই হাজার ক্যারেটে আম পাঠানো হয়েছিল। এবার প্রথম দিনে ৩১ ক্যারেট আম পাঠানো হয়েছে। হারিয়ে যাওয়ার মতো তেমন ঝুঁকিও নেই। কুরিয়ার সার্ভিসে আম পাঠানোর ভোগান্তিটা বেশী। এদিকে পথিমধ্যে কাকনহাট, রাজশাহী, সরদহ, আড়ানী, আবদুলপুর স্টেশনে থামবে। বিশেষ এই ট্রেনটি প্রতিদিন যথাসময়ে রহনপুর হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনের মাস্টার মোঃ ওবাইদুল্লাহ জানান, আম বুকিংকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে আম বুকিং করা হচ্ছে।
এ স্পেশাল ট্রেনে শুধু আম নয়, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফলমূলও পরিবহন করা যাবে। এছাড়া আমগুলো যতœ সহকারে ওয়াগনে ওঠানো হয়। নিরাপদে ব্যবসায়ীসহ ভোক্তারা যাতে এ ট্রেনে আম সহজে পাঠাতে পারে সেজন্য রেলকর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।