২৪টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে

দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ ২৪টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ১২ বছর আগের পুরনো নড়বড়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে সেবার কার্যক্রম চলছে। একজন যাত্রীর পাসপোর্টের নির্ভুলতা যাচাই-বাছাই করতে যেখানে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১৮ সেকেন্ড। সে ক্ষেত্রে পুরনো টেকনোলজির কারণে তা সঠিকভাবে পালন করা যাচ্ছে না। এতে প্রতিদিন বিদেশে যাওয়া ও বিদেশ থেকে আসা ২৫ থেকে ২৬ হাজার যাত্রীর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলোতে দীর্ঘক্ষণ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করতে হয়। তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞার ডাটা রেকর্ড করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ও দুর্বল গতির নেটওয়ার্র্কের কারণে যাত্রীরা এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিমানবন্দরেরর ই-গেট ও নতুন টার্মিনাল ও নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালুর জন্য আরও উন্নত প্রযুত্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা দরকার বলে ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন।

ইমিগ্রেশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ই-পাসপোর্ট ও সংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সক্ষমতা ও আধুনিকায়নে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ১১৯ কোটি ২৯ লাখ ১৪ হাজার টাকার বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করেছেন।

দেশের নিরাপত্তা ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলোতে দেশি-বিদেশি যাত্রীদের সেবার মান আরও উন্নত করতে সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পদক্ষেপ নিয়েছে। তার জন্য ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনা সিস্টেমকে বর্তমান সরকারের আমলের উন্নত করার উদ্যোগ নিলেও সেখানে এখনও প্রযুক্তিগত দুর্বলতা রয়েছে। কম দামের যন্ত্রপাতি, চেকপোস্টে ই-গেইট ও অন্যান্য ইমিগ্রেশন সরঞ্জামাদি, টেকনিক্যাল অপারেশন সাপোর্ট, কমগতির নেটওয়ার্কের কারণে প্রতিনিয়ন সমস্যা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার ডাটা সেন্টারের ব্যবহৃত টেকনিক্যাল ইকুইপমেন্ট, কম্পিউটার সার্ভার, নেটওয়ার্ক সার্ভার, নেটওয়ার্কসহ অন্যান্য প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি প্রায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নড়বড়ে। আর সফটওয়ারসমূহের লাইসেন্স নবায়ন করা দরকার।

নতুন করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণ করা তৃতীয় টার্মিনালে কম্পিউটারের মালামাল, সার্ভার, স্ট্রোরেজ সিস্ট্রেম নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট আধুনিকরণ করতে হবে।

ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২২ সালে ২ অক্টোবর ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেশের ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (ক্রিটিক্যাল) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর রয়েছে।

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বলেন, ২০১১ ও ২০১২ সালে স্থাপিত সার্ভারগুলো ঠিকমত কাজ করছে না। প্রতিদিন কাজের পরিধি বাড়ছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেনাপোল স্থল বন্দর, বাংলাবান্দা স্থল বন্দরসহ ২৪টি চেকপোস্ট এখন লক্কর-ঝক্কর প্রযুক্তি দিয়ে চলছে। আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে ডাটাসহ দ্রুততম সময়ে ডাটা এন্টি করা ও তথ্য জানা, তথ্য যাচাই করা, অপরাধীদের ডাটা তৈরি, বিদেশ যাওয়ার ওপর নজরদারি করাসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

কয়েকজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে দিনে গড়ে প্রায় ২৫ থেকে ২৬ হাজার লোক যাতায়াত করে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে বিদেশ যায় ১৫ হাজারেরও বেশি। আবার একই দিন ঢাকায় আসে ১১ হাজারেরও বেশি। এই সংখ্যা কখনো কিছু বাড়ে আবার কমে। অন্যান্য বিমানবন্দর ও ইমিগ্রেশন পয়েন্ট দিয়ে এখন যাতায়াত বাড়ছে। শুধু বাড়েনি সেবার মান। পাসপোর্টধারীর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ডাটা কালেশনে আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। বারো বছর আগের আবার কোনটি বেশি সময়ে আগের ডাটা ও কম্পিউটার দিয়ে কাজ চলছে। ধীর গতির নেটওয়ার্কের কারণে ১৮ সেকেন্ডের কাজ প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি সময় লাগে। অথচ ২০২২ সালের জুন ও জুলাই মাসে বিমানবন্দরে আগমনি, বর্হিগমন ও ই-গেইট চালু করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই সব চেকপোস্টে (আইসিপি) পাসপোর্ট রিডযার ওয়ার্কস্টেকই, সার্ভার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট যন্ত্রসহজ অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য এসবি ও কাস্টমস, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে তা মনিটরিং করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ই-গেইটের সিস্টেমের মাধ্যমে যে কোন যাত্রীর সব তথ্য অর্থাৎ যাত্রী কোন বিমানবন্দর বা স্থল বন্দর দিয়ে প্রবেশ করছেন তা তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা যায়। দরকার হলে যাত্রীর গমনাগমন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর অভিযুক্ত দেশি-বিদেশি যাত্রীদের দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশে বাধা দেয়া যায়। আবার কোন বিপদগামী যাত্রীর বিদেশ গমন বন্ধ করা যায়। আর দেশি-বিদেশি যাত্রীরা ই-গেইট ব্যবহার করে নিরাপদ ও বিরামহীন ইমগ্রেশন সুবিধা পেতে পারেন। তার জন্য বাংলাদেশের সামগ্রিক ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাকে আধুনিক, যগোপযুগী নিরাপদ করা দরকার বলে গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এসএস ইমিগেশন মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম ১১৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার চাহিদা জানিয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মাধ্যমে গেল বছর মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে। চলতি বছরের গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত এ নিয়ে শুধু চিঠি চালাচালি হয়েছে। বাস্তবে ঝুঁকি নিয়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলো চলছে। যেকোন সময়ে সার্ভার বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই সম্পর্কে ইমিগ্রেশন থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সার্ভার সিস্ট্রেম আরও আধুনিকরণ ও উন্নত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। তাহলে যাত্রী সেবার মানও আরও বাড়বে। বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যা হচ্ছে। সার্ভার ও ডাটা এন্টি নিয়ে প্রায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এতে চেকপোস্টে সমস্যা হয়। এরপরও সেবার মান ধরে রাখতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমিগেশন কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আধুনিক প্রযুক্তির সিস্টেম থাকলে যাত্রীরা উন্নত সেবা পাবে। বিশ্বমানের ইমিগ্রেশন সিস্টেম চালু করতে আরও উন্নত প্রযুক্তির দরকার বলে মন্তব্য করেন তারা।

বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩ , ২৬ শ্রাবন ১৪৩০, ২২ মহররম ১৪৪৫

নড়বড়ে যন্ত্রপাতি, সার্ভার সমস্যাসহ নানা জটিলতা

২৪টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে

বাকী বিল্লাহ

দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ ২৪টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ১২ বছর আগের পুরনো নড়বড়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে সেবার কার্যক্রম চলছে। একজন যাত্রীর পাসপোর্টের নির্ভুলতা যাচাই-বাছাই করতে যেখানে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১৮ সেকেন্ড। সে ক্ষেত্রে পুরনো টেকনোলজির কারণে তা সঠিকভাবে পালন করা যাচ্ছে না। এতে প্রতিদিন বিদেশে যাওয়া ও বিদেশ থেকে আসা ২৫ থেকে ২৬ হাজার যাত্রীর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলোতে দীর্ঘক্ষণ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করতে হয়। তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞার ডাটা রেকর্ড করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ও দুর্বল গতির নেটওয়ার্র্কের কারণে যাত্রীরা এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিমানবন্দরেরর ই-গেট ও নতুন টার্মিনাল ও নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালুর জন্য আরও উন্নত প্রযুত্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা দরকার বলে ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন।

ইমিগ্রেশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ই-পাসপোর্ট ও সংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সক্ষমতা ও আধুনিকায়নে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ১১৯ কোটি ২৯ লাখ ১৪ হাজার টাকার বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করেছেন।

দেশের নিরাপত্তা ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলোতে দেশি-বিদেশি যাত্রীদের সেবার মান আরও উন্নত করতে সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পদক্ষেপ নিয়েছে। তার জন্য ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনা সিস্টেমকে বর্তমান সরকারের আমলের উন্নত করার উদ্যোগ নিলেও সেখানে এখনও প্রযুক্তিগত দুর্বলতা রয়েছে। কম দামের যন্ত্রপাতি, চেকপোস্টে ই-গেইট ও অন্যান্য ইমিগ্রেশন সরঞ্জামাদি, টেকনিক্যাল অপারেশন সাপোর্ট, কমগতির নেটওয়ার্কের কারণে প্রতিনিয়ন সমস্যা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার ডাটা সেন্টারের ব্যবহৃত টেকনিক্যাল ইকুইপমেন্ট, কম্পিউটার সার্ভার, নেটওয়ার্ক সার্ভার, নেটওয়ার্কসহ অন্যান্য প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি প্রায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নড়বড়ে। আর সফটওয়ারসমূহের লাইসেন্স নবায়ন করা দরকার।

নতুন করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণ করা তৃতীয় টার্মিনালে কম্পিউটারের মালামাল, সার্ভার, স্ট্রোরেজ সিস্ট্রেম নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট আধুনিকরণ করতে হবে।

ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২২ সালে ২ অক্টোবর ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেশের ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (ক্রিটিক্যাল) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর রয়েছে।

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বলেন, ২০১১ ও ২০১২ সালে স্থাপিত সার্ভারগুলো ঠিকমত কাজ করছে না। প্রতিদিন কাজের পরিধি বাড়ছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হজরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেনাপোল স্থল বন্দর, বাংলাবান্দা স্থল বন্দরসহ ২৪টি চেকপোস্ট এখন লক্কর-ঝক্কর প্রযুক্তি দিয়ে চলছে। আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে ডাটাসহ দ্রুততম সময়ে ডাটা এন্টি করা ও তথ্য জানা, তথ্য যাচাই করা, অপরাধীদের ডাটা তৈরি, বিদেশ যাওয়ার ওপর নজরদারি করাসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

কয়েকজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে দিনে গড়ে প্রায় ২৫ থেকে ২৬ হাজার লোক যাতায়াত করে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে বিদেশ যায় ১৫ হাজারেরও বেশি। আবার একই দিন ঢাকায় আসে ১১ হাজারেরও বেশি। এই সংখ্যা কখনো কিছু বাড়ে আবার কমে। অন্যান্য বিমানবন্দর ও ইমিগ্রেশন পয়েন্ট দিয়ে এখন যাতায়াত বাড়ছে। শুধু বাড়েনি সেবার মান। পাসপোর্টধারীর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ডাটা কালেশনে আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। বারো বছর আগের আবার কোনটি বেশি সময়ে আগের ডাটা ও কম্পিউটার দিয়ে কাজ চলছে। ধীর গতির নেটওয়ার্কের কারণে ১৮ সেকেন্ডের কাজ প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি সময় লাগে। অথচ ২০২২ সালের জুন ও জুলাই মাসে বিমানবন্দরে আগমনি, বর্হিগমন ও ই-গেইট চালু করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই সব চেকপোস্টে (আইসিপি) পাসপোর্ট রিডযার ওয়ার্কস্টেকই, সার্ভার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট যন্ত্রসহজ অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য এসবি ও কাস্টমস, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে তা মনিটরিং করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ই-গেইটের সিস্টেমের মাধ্যমে যে কোন যাত্রীর সব তথ্য অর্থাৎ যাত্রী কোন বিমানবন্দর বা স্থল বন্দর দিয়ে প্রবেশ করছেন তা তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা যায়। দরকার হলে যাত্রীর গমনাগমন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর অভিযুক্ত দেশি-বিদেশি যাত্রীদের দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশে বাধা দেয়া যায়। আবার কোন বিপদগামী যাত্রীর বিদেশ গমন বন্ধ করা যায়। আর দেশি-বিদেশি যাত্রীরা ই-গেইট ব্যবহার করে নিরাপদ ও বিরামহীন ইমগ্রেশন সুবিধা পেতে পারেন। তার জন্য বাংলাদেশের সামগ্রিক ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাকে আধুনিক, যগোপযুগী নিরাপদ করা দরকার বলে গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এসএস ইমিগেশন মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম ১১৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার চাহিদা জানিয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মাধ্যমে গেল বছর মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে। চলতি বছরের গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত এ নিয়ে শুধু চিঠি চালাচালি হয়েছে। বাস্তবে ঝুঁকি নিয়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলো চলছে। যেকোন সময়ে সার্ভার বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই সম্পর্কে ইমিগ্রেশন থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সার্ভার সিস্ট্রেম আরও আধুনিকরণ ও উন্নত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। তাহলে যাত্রী সেবার মানও আরও বাড়বে। বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যা হচ্ছে। সার্ভার ও ডাটা এন্টি নিয়ে প্রায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এতে চেকপোস্টে সমস্যা হয়। এরপরও সেবার মান ধরে রাখতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমিগেশন কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আধুনিক প্রযুক্তির সিস্টেম থাকলে যাত্রীরা উন্নত সেবা পাবে। বিশ্বমানের ইমিগ্রেশন সিস্টেম চালু করতে আরও উন্নত প্রযুক্তির দরকার বলে মন্তব্য করেন তারা।