সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজিতে পড়ে আছে ব্লাড কালচার মেশিন। যে মেশিন দিয়ে রক্তে কোন ধরনের জীবানু রয়েছে তা সনাক্ত এবং তার ওষুধ নির্দেশ করে দেয়। একই ভাবে যক্ষা রোগের ধরন নির্ণয়ে এবং তার চিকিৎসায় কি ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে তার নির্দেশনা প্রদানের জন্য যক্ষা কালচার মেশিন, পড়ে আছে এনজিও গ্রাম(কফ ল্যাব) ও বায়োপসি করার মেশিন। এই মেশিন গুলো চালনার জন্য নেই প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান এবং জনবল যার কারনে প্রায় আটমাস হয় মেশিন গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না, বন্ধ রয়েছে। এর কারনে স্বল্প খরচে এই সকল রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে সাধারন মানুষ যেমন বঞ্চিত হচ্ছে অপর দিকে ব্যবহার না করায় অযথা পড়ে থেকে নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে কোটি কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রপাতি।
জানা যায়, হাসপাতালটিতে আধুনিক মানের উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সব ধরনের এক্স-রে, সিটিস্ক্যান,ইউ.এস.জি,ইসিজি,ইকো, ইটিটি, চোখের ল্যাসিক সংযোজন সুবিধাসহ ডেন্টাল ইউনিট চালু করা হয়েছে। ল্যাপারোস্কপি অপারেশনের সুবিধা সহ রয়েছে সকল ধরনের অপারেশনের ব্যবস্থা। শিশু, গাইনী, অর্থপেডিক,ইএনটি মেডিসিন বিভাগ চালু করা হয়েছে। রয়েছে সিসিইউ সুবিধা।
কিন্ত ব্লাড কালচার মেশিন, যক্ষা কালচার মেশিন, এনজিও গ্রাম(কফ ল্যাব), ও বায়োপসি পরীক্ষা করার মত অতি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মেশিন হাসপাতালে প্রস্তত থাকলেও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না এই সকল আধুনিক সুবিধা সম্বলিত যন্ত্রপাতি। আর ব্যবহার না হওয়ায় প্রায় আটমাস ধরে পড়ে রয়েছে যন্ত্রপাতি গুলো। চালু না হওয়ায় স্বল্প ব্যয়ে পরীক্ষার চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার ৩২লাখ মানুষ। শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে তৎকালিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় ১০০বিঘা জমির উপর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা সদরের এক কিলোমিটার পশ্চিমে শিয়ালকোলে প্রতিষ্ঠা করা হয় সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সম্বলিত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা সুবিধা গ্রহন করছে। কিন্ত ব্লাড কালচার মেশিন, যক্ষা কালচার মেশিন, এনজিও গ্রাম(কফ ল্যাব), ও বায়োপসি পরীক্ষা করার মত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি হাসপাতালে স্থাপন করা হলেও শুধু জনবলের অভাবে মেশিন গুলো অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।
সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ডাঃ কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, ব্লাড কালচার মেশিন, যক্ষা কালচার মেশিন, এনজিও গ্রাম(কফ ল্যাব), ও বায়োপসি পরীক্ষা করার মত অতি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মেশিন প্রায় আটমাস আগে হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে। কিন্ত প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সাইফুল ফেরদৌস মুহাঃ খায়রুল আতাতুর্ক বলেন, এসকল যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হলেও প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ না থাকায় হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রোগের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও হাসপাতাল ব্যস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডাঃ হাবিবে মিল্লাত বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে চিকিৎসা খাতে। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অতি প্রয়োজনীয় মূল্যবান যন্ত্রপাতি জনবলের অভাবে পড়ে রয়েছে বিষয়টি আমাকে সে ভাবে জানানো হয়নি। এখন দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রয়াত মোহাম্মাদ নাসিমের ছেলে সিরাজগঞ্জ কাজিপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, সরকার আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা মানুষের দৌড় গড়ায় পৌছে দিতে চেষ্টা করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় তৎকালিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের সর্বাধুনিক সব ধরনের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়। কিন্ত প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে মূল্যবান যন্ত্রপাতি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে । সাধারন মানুষ অতিগুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবে এটা আসলে মেনে নেয়া যায়না। বিষয়টির অতিদ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩০, ২৭ সফর ১৪৪৫
জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজিতে পড়ে আছে ব্লাড কালচার মেশিন। যে মেশিন দিয়ে রক্তে কোন ধরনের জীবানু রয়েছে তা সনাক্ত এবং তার ওষুধ নির্দেশ করে দেয়। একই ভাবে যক্ষা রোগের ধরন নির্ণয়ে এবং তার চিকিৎসায় কি ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে তার নির্দেশনা প্রদানের জন্য যক্ষা কালচার মেশিন, পড়ে আছে এনজিও গ্রাম(কফ ল্যাব) ও বায়োপসি করার মেশিন। এই মেশিন গুলো চালনার জন্য নেই প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান এবং জনবল যার কারনে প্রায় আটমাস হয় মেশিন গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না, বন্ধ রয়েছে। এর কারনে স্বল্প খরচে এই সকল রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে সাধারন মানুষ যেমন বঞ্চিত হচ্ছে অপর দিকে ব্যবহার না করায় অযথা পড়ে থেকে নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে কোটি কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রপাতি।
জানা যায়, হাসপাতালটিতে আধুনিক মানের উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সব ধরনের এক্স-রে, সিটিস্ক্যান,ইউ.এস.জি,ইসিজি,ইকো, ইটিটি, চোখের ল্যাসিক সংযোজন সুবিধাসহ ডেন্টাল ইউনিট চালু করা হয়েছে। ল্যাপারোস্কপি অপারেশনের সুবিধা সহ রয়েছে সকল ধরনের অপারেশনের ব্যবস্থা। শিশু, গাইনী, অর্থপেডিক,ইএনটি মেডিসিন বিভাগ চালু করা হয়েছে। রয়েছে সিসিইউ সুবিধা।
কিন্ত ব্লাড কালচার মেশিন, যক্ষা কালচার মেশিন, এনজিও গ্রাম(কফ ল্যাব), ও বায়োপসি পরীক্ষা করার মত অতি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মেশিন হাসপাতালে প্রস্তত থাকলেও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না এই সকল আধুনিক সুবিধা সম্বলিত যন্ত্রপাতি। আর ব্যবহার না হওয়ায় প্রায় আটমাস ধরে পড়ে রয়েছে যন্ত্রপাতি গুলো। চালু না হওয়ায় স্বল্প ব্যয়ে পরীক্ষার চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার ৩২লাখ মানুষ। শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে তৎকালিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় ১০০বিঘা জমির উপর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা সদরের এক কিলোমিটার পশ্চিমে শিয়ালকোলে প্রতিষ্ঠা করা হয় সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সম্বলিত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা সুবিধা গ্রহন করছে। কিন্ত ব্লাড কালচার মেশিন, যক্ষা কালচার মেশিন, এনজিও গ্রাম(কফ ল্যাব), ও বায়োপসি পরীক্ষা করার মত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি হাসপাতালে স্থাপন করা হলেও শুধু জনবলের অভাবে মেশিন গুলো অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।
সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ডাঃ কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, ব্লাড কালচার মেশিন, যক্ষা কালচার মেশিন, এনজিও গ্রাম(কফ ল্যাব), ও বায়োপসি পরীক্ষা করার মত অতি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মেশিন প্রায় আটমাস আগে হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে। কিন্ত প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সাইফুল ফেরদৌস মুহাঃ খায়রুল আতাতুর্ক বলেন, এসকল যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হলেও প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ না থাকায় হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রোগের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও হাসপাতাল ব্যস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডাঃ হাবিবে মিল্লাত বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে চিকিৎসা খাতে। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অতি প্রয়োজনীয় মূল্যবান যন্ত্রপাতি জনবলের অভাবে পড়ে রয়েছে বিষয়টি আমাকে সে ভাবে জানানো হয়নি। এখন দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রয়াত মোহাম্মাদ নাসিমের ছেলে সিরাজগঞ্জ কাজিপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, সরকার আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা মানুষের দৌড় গড়ায় পৌছে দিতে চেষ্টা করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় তৎকালিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের সর্বাধুনিক সব ধরনের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়। কিন্ত প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে মূল্যবান যন্ত্রপাতি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে । সাধারন মানুষ অতিগুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবে এটা আসলে মেনে নেয়া যায়না। বিষয়টির অতিদ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।