বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পোলেরহাট আলহাজ্ব আজহারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি সভাপতি সুপার দ্বন্দে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যহত হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে ৩টি পদে নিয়োগ বাণিজ্য হলেও প্রতিষ্ঠানের হয়নি অবকাঠামো উন্নয়ন। জরাজীর্ণ ২টি টিনশেট ঘরে ৯টি শ্রেনীকক্ষে পলিথিন টাঙ্গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষক ও স্থানীয় অভিভাবকদের দাবি একটি নতুন ভবনের। সরেজমিনে জানাগেছে, উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নে আলহাজ্ব আজহারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩শ’। শিক্ষক মন্ডলী ২০টি পদের স্থানে সুপারসহ কর্মরত ১৬ জন। ২০১৩ সালে এ মাদ্রাসাটিতে সরকারিভাবে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ফ্যাসিলেটর ভবন নির্মাণ হলেও পরবর্তীতে মাদ্রাসাটিতে অবকাঠামো উন্নয়নে হয়নি কোন ভবন। ২০১৭/২০২২/২০২৩ সালে নিয়মিত কমিটির কার্যক্রম চলমান থেকে চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারি (এমএলএসএস), নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া ৩ পদে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ হলেও হয়নি প্রতিষ্ঠানের কোন উন্নয়ন। শুধুমাত্র মাদ্রাসার পুকুর ভরাট করে মাঠ ও অন্য একটি পুকুর খনন ব্যায় হয়েছে ৪ লাখ টাকা। মাদ্রাসায় এবতেদায়ী শাখা ও মাধ্যমিক শাখায় জরাজীর্ণ দুটি টিনশেটের ঘরে ৯টি শ্রেণীকক্ষে সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থীদের চলে ক্লাশ। সামান্ন বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে শ্রেনীকক্ষে, ভিজে যায় পাঠ্যবইসহ শিক্ষার্থীরা। প্রচন্ড গরমে অভাবনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। শিক্ষার্থীদের নেই কোন ওয়াসরুম। বিকল্প শিক্ষকদের বাথরুম ব্যবহার করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, বর্তমান সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান একাধিকবার নিয়মিত কমিটিতে থেকেও ৩টি পদে নিয়োগ দিয়েছে। মাদ্রাসার উন্নয়ন ফান্ডে কোন টাকা জমা হয়নি। শুধুমাত্র পুকুর ভরাট ও অন্য একটি পুকুর খনন করা হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বসে সভাপতির সামনেই আমাকে মারপিট করেছে এক সহকারি শিক্ষক। আত্মরক্ষায় দৌড়ে গিয়ে বাথরুমে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
মাদ্রাসার সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য হিসেবে স্থানীয়দের অনুরোধে একাধিকবার সভাপতি পদের দায়িত্ব পালন করে আসছি। অর্থ নিয়ে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যায় করে মাদ্রাসার পুকুর ভরাট, একটি পুকুর খনন ও মাদ্রাসার নামেও জমি ক্রয় করা হয়। সুপার মো. আনোয়ার হোসাইন মাদ্রাসার আয়-ব্যায় হিসাব না দেখিয়ে তালবাহনা করছে। শিক্ষকদের টিউশন ফ্রি’র টাকা না পাওয়ায় সহকারি শিক্ষকের সাথে বাক-বিতান্ডা হয়েছে। আমি প্রতিবাদও করেছি। সুপারের সাথে আমার কোন দ্বন্দ্ব নেই।
এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, আজহারিয়া দাখিল মাদ্রাসার দ্বন্দের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে। বর্তমান কমিটি বাতিলের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষকে একটি লিখিত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩০, ২৭ সফর ১৪৪৫
প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পোলেরহাট আলহাজ্ব আজহারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি সভাপতি সুপার দ্বন্দে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যহত হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে ৩টি পদে নিয়োগ বাণিজ্য হলেও প্রতিষ্ঠানের হয়নি অবকাঠামো উন্নয়ন। জরাজীর্ণ ২টি টিনশেট ঘরে ৯টি শ্রেনীকক্ষে পলিথিন টাঙ্গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষক ও স্থানীয় অভিভাবকদের দাবি একটি নতুন ভবনের। সরেজমিনে জানাগেছে, উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নে আলহাজ্ব আজহারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩শ’। শিক্ষক মন্ডলী ২০টি পদের স্থানে সুপারসহ কর্মরত ১৬ জন। ২০১৩ সালে এ মাদ্রাসাটিতে সরকারিভাবে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ফ্যাসিলেটর ভবন নির্মাণ হলেও পরবর্তীতে মাদ্রাসাটিতে অবকাঠামো উন্নয়নে হয়নি কোন ভবন। ২০১৭/২০২২/২০২৩ সালে নিয়মিত কমিটির কার্যক্রম চলমান থেকে চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারি (এমএলএসএস), নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া ৩ পদে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ হলেও হয়নি প্রতিষ্ঠানের কোন উন্নয়ন। শুধুমাত্র মাদ্রাসার পুকুর ভরাট করে মাঠ ও অন্য একটি পুকুর খনন ব্যায় হয়েছে ৪ লাখ টাকা। মাদ্রাসায় এবতেদায়ী শাখা ও মাধ্যমিক শাখায় জরাজীর্ণ দুটি টিনশেটের ঘরে ৯টি শ্রেণীকক্ষে সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থীদের চলে ক্লাশ। সামান্ন বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে শ্রেনীকক্ষে, ভিজে যায় পাঠ্যবইসহ শিক্ষার্থীরা। প্রচন্ড গরমে অভাবনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। শিক্ষার্থীদের নেই কোন ওয়াসরুম। বিকল্প শিক্ষকদের বাথরুম ব্যবহার করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, বর্তমান সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান একাধিকবার নিয়মিত কমিটিতে থেকেও ৩টি পদে নিয়োগ দিয়েছে। মাদ্রাসার উন্নয়ন ফান্ডে কোন টাকা জমা হয়নি। শুধুমাত্র পুকুর ভরাট ও অন্য একটি পুকুর খনন করা হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বসে সভাপতির সামনেই আমাকে মারপিট করেছে এক সহকারি শিক্ষক। আত্মরক্ষায় দৌড়ে গিয়ে বাথরুমে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
মাদ্রাসার সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য হিসেবে স্থানীয়দের অনুরোধে একাধিকবার সভাপতি পদের দায়িত্ব পালন করে আসছি। অর্থ নিয়ে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যায় করে মাদ্রাসার পুকুর ভরাট, একটি পুকুর খনন ও মাদ্রাসার নামেও জমি ক্রয় করা হয়। সুপার মো. আনোয়ার হোসাইন মাদ্রাসার আয়-ব্যায় হিসাব না দেখিয়ে তালবাহনা করছে। শিক্ষকদের টিউশন ফ্রি’র টাকা না পাওয়ায় সহকারি শিক্ষকের সাথে বাক-বিতান্ডা হয়েছে। আমি প্রতিবাদও করেছি। সুপারের সাথে আমার কোন দ্বন্দ্ব নেই।
এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, আজহারিয়া দাখিল মাদ্রাসার দ্বন্দের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে। বর্তমান কমিটি বাতিলের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষকে একটি লিখিত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।