তারাগঞ্জ থানার ওসিকে দিনাজপুরে স্ট্যান্ড রিলিজ

অবশেষে তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমানকে দিনাজপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া মো. ইফতেখায়ের আলম।

রংপুরের তারাগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলায় আদালত কর্তৃক দেয়া কারাদণ্ড প্রদান করা আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামকে বাসা থেকে থানায় ধরে নিয়ে এসে একটি অভিযোগ তৈরি করিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়ার ঘটনায় ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।

এ সংক্রান্ত খবর গত ৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদের প্রথম পাতায় প্রকাশিত হলে রংপুরসহ সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর অবশেষে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশে তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে দিনাজপুর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার আদেশ দেয়া হয়। এ ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ ওসি মোস্তাফিজার রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ওসির বদলির আদেশ হওয়ার পর আরও অনেক ঘটনা জানাজানি হচ্ছে। বিশেষ করে রুপম নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে ওসির সখ্য তার দ্বারা বিভিন্ন টাকা আদায়সহ কর্মকাণ্ডের বিষয়টিও ফাঁস হয়ে গেছে। তারাগঞ্জ থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানিয়েছে ওসি মোস্তাফিজার রহমানের আগে গাইবান্ধার একটি থানা সর্বশেষ রংপুর সদর থানায় ওসির দায়িত্ব পালন করার সময় পুলিশ কনস্টেবল রুপমকে তার সঙ্গেই রাখতেন। তিনি যেখানেই বদলি হয়ে যেতেন সেখানে কনস্টেবল রুপমকে বদলি করিয়ে তার সঙ্গেই রাখতেন। তারাগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করার পর পরই কনস্টেবল রুপমকেও সেখানে বদলি করে নিয়ে আসেন।

ওসির সঙ্গে কনস্টেবল রুপমের বেশি মাখামাখি বিভিন্ন মামলার তদবির থেকে শুরু করে সব কাজেই তার দ্বারাই সব দায়িত্ব পালন করানোর ঘটনা তারাগঞ্জ থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মাঝেও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে নেয়া হলে কনস্টেবল রুপমকে অন্যত্র বদলির আদেশ দেয়া হলেও ওসি তাকে রিলিজ না দিয়ে বরং বদলির আদেশ স্টে করার অপচেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে রংপুর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কনস্টেবল রুপমের বিষয়টি এবং ওসির সঙ্গে তার সখ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।

সর্বশেষ গত সোমবার তারাগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানার ঘনিরামপুর তেলিপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ মজিবর রহমান তার কাছে ওসি মোস্তাফিজার রহমান দশ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন বলে রংপুরের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন। অভিযোগে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিরোধের ঘটনা থানার ওসি ঘটনা মীমাংসা করার কথা বলে দিনের পর দিন তাকে ঘোরাতে থাকেন শেষ পর্যন্ত দশ হাজার টাকা না দিলে তার কাজ হবে না বলে জানিয়ে দেন। সে টাকা দিতে অস্বিকার করায় বৃদ্ধ মজিবর রহমানকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করেন বলে লিখিত অভিযোগে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন তিনি ২০১৪ সাল থেকে দেশের অন্যতম প্রচীনতম পত্রিকা দৈনিক সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান এর আগেও তারাগঞ্জ থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারেও তিনি ওসি হিসেবে রংপুর সদর থানা থেকে তারাগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত আছেন। ওসি অতি সম্প্রতি যৌতুকের একটি মামলায় আদালত কর্তৃক দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া পলাতক আসামি তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি বানিয়াপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে মমদেল হোসেনকে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও গ্রেপ্তার না করায় ওই যৌতুক মামলার বাদী রংপুরের পুলিশ সুপারের কাছে ওসির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। ওই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১১ আগস্ট দৈনিক সংবাদের ৭ম পাতায় একটি খবর প্রকাশিত হয়।

যার শিরনাম ছিল ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় ওসির বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ’। এ খবর প্রকাশিত হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দেবার জন্য ওসি ওই মামলার বাদিনীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। এ খবর প্রকাশ করায় সংবাদের তারাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলামের প্রতি রুষ্ট হন ওসি। অন্যদিকে গত ২৪ আগস্ট রংপুর নগরীতে মানবকল্যাণ সংস্থার ও সিএসও ফোরাম যৌথভাবে আয়োজিত নারী নির্যাতনবিরোধী কর্মশালায় সংবাদের প্রতিনিধি তারাগঞ্জ থানায় আশ্রায়ণ প্রকল্পসহ দুটি স্থানে দুই শিশুকে ধর্ষণ করার চেষ্টার ঘটনায় তারাগঞ্জ থানা পুলিশ মামলা নেয়নি মর্মে অভিযোগ করে উপজেলায় নারী নির্যাতন বেড়েছে মর্মে বক্তব্য রাখেন। পরপর দুটি ঘটনায় ওসি সংবাদ প্রতিনিধির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে শায়েস্তা করার পথ খুজছিলেন। এরই মধ্যে গত ৩০ আগস্ট বুধবার জমা নিয়ে পূর্ববিরোধের ঘটনায় তার চাচাসহ ছোট ভাইদের সঙ্গে হাতাহাতি আর সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেখানে সংবাদ প্রতিনিধি ছিল না সেই ভিডিও ভাইরাল করিয়ে প্রতিপক্ষ তারাগঞ্জ থানায় গেলে ওসি তাদের আবারও ডেকে এনে রাতে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে রেখে দেন। এরপর ঘটনার ৩ দিন পর ২ সেপ্টেম্বর সকালে সংবাদ প্রতিনিধিকে তার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে আটক করে থানায় আনা হয়। এ ঘটনার দু’ঘণ্টা পর মারামারির ঘটনার কথা উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করে তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়। এলাকাবাসী ও পুলিশের অন্য সদস্যরা জানিয়েছেন ওসি সংবাদ প্রতিনিধিকে ধরে এনে তার পরে মামলা পূর্বের সময় দেখিয়ে রেকর্ড করিয়েছেন। এ ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন সংবাদ প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম।

বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩০, ২৭ সফর ১৪৪৫

সাংবাদিককে ধরে এনে মামলা দিয়ে আদালতে চালান

তারাগঞ্জ থানার ওসিকে দিনাজপুরে স্ট্যান্ড রিলিজ

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

অবশেষে তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমানকে দিনাজপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া মো. ইফতেখায়ের আলম।

রংপুরের তারাগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলায় আদালত কর্তৃক দেয়া কারাদণ্ড প্রদান করা আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামকে বাসা থেকে থানায় ধরে নিয়ে এসে একটি অভিযোগ তৈরি করিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়ার ঘটনায় ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।

এ সংক্রান্ত খবর গত ৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদের প্রথম পাতায় প্রকাশিত হলে রংপুরসহ সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর অবশেষে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশে তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে দিনাজপুর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার আদেশ দেয়া হয়। এ ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ ওসি মোস্তাফিজার রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ওসির বদলির আদেশ হওয়ার পর আরও অনেক ঘটনা জানাজানি হচ্ছে। বিশেষ করে রুপম নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে ওসির সখ্য তার দ্বারা বিভিন্ন টাকা আদায়সহ কর্মকাণ্ডের বিষয়টিও ফাঁস হয়ে গেছে। তারাগঞ্জ থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানিয়েছে ওসি মোস্তাফিজার রহমানের আগে গাইবান্ধার একটি থানা সর্বশেষ রংপুর সদর থানায় ওসির দায়িত্ব পালন করার সময় পুলিশ কনস্টেবল রুপমকে তার সঙ্গেই রাখতেন। তিনি যেখানেই বদলি হয়ে যেতেন সেখানে কনস্টেবল রুপমকে বদলি করিয়ে তার সঙ্গেই রাখতেন। তারাগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করার পর পরই কনস্টেবল রুপমকেও সেখানে বদলি করে নিয়ে আসেন।

ওসির সঙ্গে কনস্টেবল রুপমের বেশি মাখামাখি বিভিন্ন মামলার তদবির থেকে শুরু করে সব কাজেই তার দ্বারাই সব দায়িত্ব পালন করানোর ঘটনা তারাগঞ্জ থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মাঝেও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে নেয়া হলে কনস্টেবল রুপমকে অন্যত্র বদলির আদেশ দেয়া হলেও ওসি তাকে রিলিজ না দিয়ে বরং বদলির আদেশ স্টে করার অপচেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে রংপুর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কনস্টেবল রুপমের বিষয়টি এবং ওসির সঙ্গে তার সখ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।

সর্বশেষ গত সোমবার তারাগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানার ঘনিরামপুর তেলিপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ মজিবর রহমান তার কাছে ওসি মোস্তাফিজার রহমান দশ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন বলে রংপুরের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন। অভিযোগে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিরোধের ঘটনা থানার ওসি ঘটনা মীমাংসা করার কথা বলে দিনের পর দিন তাকে ঘোরাতে থাকেন শেষ পর্যন্ত দশ হাজার টাকা না দিলে তার কাজ হবে না বলে জানিয়ে দেন। সে টাকা দিতে অস্বিকার করায় বৃদ্ধ মজিবর রহমানকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করেন বলে লিখিত অভিযোগে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন তিনি ২০১৪ সাল থেকে দেশের অন্যতম প্রচীনতম পত্রিকা দৈনিক সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান এর আগেও তারাগঞ্জ থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারেও তিনি ওসি হিসেবে রংপুর সদর থানা থেকে তারাগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত আছেন। ওসি অতি সম্প্রতি যৌতুকের একটি মামলায় আদালত কর্তৃক দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া পলাতক আসামি তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি বানিয়াপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে মমদেল হোসেনকে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও গ্রেপ্তার না করায় ওই যৌতুক মামলার বাদী রংপুরের পুলিশ সুপারের কাছে ওসির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। ওই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১১ আগস্ট দৈনিক সংবাদের ৭ম পাতায় একটি খবর প্রকাশিত হয়।

যার শিরনাম ছিল ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় ওসির বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ’। এ খবর প্রকাশিত হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দেবার জন্য ওসি ওই মামলার বাদিনীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। এ খবর প্রকাশ করায় সংবাদের তারাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলামের প্রতি রুষ্ট হন ওসি। অন্যদিকে গত ২৪ আগস্ট রংপুর নগরীতে মানবকল্যাণ সংস্থার ও সিএসও ফোরাম যৌথভাবে আয়োজিত নারী নির্যাতনবিরোধী কর্মশালায় সংবাদের প্রতিনিধি তারাগঞ্জ থানায় আশ্রায়ণ প্রকল্পসহ দুটি স্থানে দুই শিশুকে ধর্ষণ করার চেষ্টার ঘটনায় তারাগঞ্জ থানা পুলিশ মামলা নেয়নি মর্মে অভিযোগ করে উপজেলায় নারী নির্যাতন বেড়েছে মর্মে বক্তব্য রাখেন। পরপর দুটি ঘটনায় ওসি সংবাদ প্রতিনিধির ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে শায়েস্তা করার পথ খুজছিলেন। এরই মধ্যে গত ৩০ আগস্ট বুধবার জমা নিয়ে পূর্ববিরোধের ঘটনায় তার চাচাসহ ছোট ভাইদের সঙ্গে হাতাহাতি আর সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেখানে সংবাদ প্রতিনিধি ছিল না সেই ভিডিও ভাইরাল করিয়ে প্রতিপক্ষ তারাগঞ্জ থানায় গেলে ওসি তাদের আবারও ডেকে এনে রাতে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে রেখে দেন। এরপর ঘটনার ৩ দিন পর ২ সেপ্টেম্বর সকালে সংবাদ প্রতিনিধিকে তার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে আটক করে থানায় আনা হয়। এ ঘটনার দু’ঘণ্টা পর মারামারির ঘটনার কথা উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করে তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়। এলাকাবাসী ও পুলিশের অন্য সদস্যরা জানিয়েছেন ওসি সংবাদ প্রতিনিধিকে ধরে এনে তার পরে মামলা পূর্বের সময় দেখিয়ে রেকর্ড করিয়েছেন। এ ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন সংবাদ প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম।