অবৈধ প্রবাসীদের ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চুক্তি করবে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের পঞ্চম কৌশলগত সংলাপ শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সংলাপে আমরা দুই/একটা মেকানিজমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এসওপি শীঘ্রই সই করব। যাতে যুক্তরাজ্যে যারা ভিসার বাইরে থাকছেন, যারা অবৈধ হয়ে আছেন তাদের কীভাবে নিয়ে আসতে পারি, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করতে তারা (যুক্তরাজ্য) সম্মত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কিছু শিক্ষার্থী এবং কর্মী সেখানে যাচ্ছে সেটাকে আরও যেন বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন জানান, তারেক রহমান সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। আমাদের সঙ্গে ওদের লিগ্যাল মেকানিজম আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়েও আলোচনা চলছে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সংলাপে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন বলেন, আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি এগিয়ে নিয়েছি, যা শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা একটি আধুনিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে যাচ্ছি বলে সামনের দিকে তাকিয়েছি। চমৎকার ও গঠনমূলক কৌশলগত সংলাপ হয়েছে।
সংলাপে অংশ নেয়া যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের এ ধরনের এসওপি আছে, এর সদস্য ব্রিটেনও আছে। কিন্তু ব্রেক্সিট হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আর আমাদের এসওপি হয়নি। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা তাদের সঙ্গে এসওপি করছি।
এসওপি চুক্তি হলে প্রতি মাসে তিন থেকে চারজন অবৈধ বাংলাদেশি দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান হাইকমিশনার মুনা।
সংলাপে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ বার্টন।
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩০, ২৭ সফর ১৪৪৫
কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক
অবৈধ প্রবাসীদের ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চুক্তি করবে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের পঞ্চম কৌশলগত সংলাপ শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সংলাপে আমরা দুই/একটা মেকানিজমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এসওপি শীঘ্রই সই করব। যাতে যুক্তরাজ্যে যারা ভিসার বাইরে থাকছেন, যারা অবৈধ হয়ে আছেন তাদের কীভাবে নিয়ে আসতে পারি, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করতে তারা (যুক্তরাজ্য) সম্মত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কিছু শিক্ষার্থী এবং কর্মী সেখানে যাচ্ছে সেটাকে আরও যেন বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন জানান, তারেক রহমান সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। আমাদের সঙ্গে ওদের লিগ্যাল মেকানিজম আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়েও আলোচনা চলছে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সংলাপে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন বলেন, আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি এগিয়ে নিয়েছি, যা শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা একটি আধুনিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে যাচ্ছি বলে সামনের দিকে তাকিয়েছি। চমৎকার ও গঠনমূলক কৌশলগত সংলাপ হয়েছে।
সংলাপে অংশ নেয়া যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের এ ধরনের এসওপি আছে, এর সদস্য ব্রিটেনও আছে। কিন্তু ব্রেক্সিট হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আর আমাদের এসওপি হয়নি। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা তাদের সঙ্গে এসওপি করছি।
এসওপি চুক্তি হলে প্রতি মাসে তিন থেকে চারজন অবৈধ বাংলাদেশি দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান হাইকমিশনার মুনা।
সংলাপে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ বার্টন।