প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত আফ্রিকার দুই দেশ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত আফ্রিকার মরক্কো ও লিবিয়ার জনজীবন। লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাত, অন্যদিকে প্রতিবেশী মরক্কোয় ভূমিকম্পে বহু মানুষের প্রাণহানি। দুই দেশেই ধসে গেছে অসংখ্য পথ-ঘাট ও বাড়ি-ঘর।

শতাব্দীর প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে মরক্কোতে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৯০০ জনে উপনীত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। লিবিয়ায় এখন পর্যন্ত ২০০-এর মতো প্রাণহানির খবর পাওয়া গেলেও সংখ্যাটা ২ হাজার ছাড়াতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে কয়েকদিনের ব্যবধানে আফ্রিকার দেশ দুটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে।

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল রবিবার তা-ব চালায় লিবিয়ায়। ঝড় ও বন্যায় ডারনা এলাকায় বহু বাড়ি-ঘর, সড়ক তলিয়ে যায়। স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে বহু মানুষ। কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ। মূলত দুটি বাঁধ ভেঙে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত। সঙ্গে ভারী বর্ষণ পরিস্থিতিকে আরও দুর্বিষহ করে তুলে।

দেরনার বাসিন্দা সালেহ আল ওবাইতি বলেন, তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনো রকমে পালাতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, লোকজন ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম থেকে জেগেই তারা দেখেন তাদের চারপাশে পানি।

আহমেদ মোহাম্মদ নামের অপর এক বাসিন্দা বলেন, আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। যখন ঘুম থেকে উঠলাম আমরা দেখলাম যে, আমাদের বাড়ির আশেপাশে পানি। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। পূর্বাঞ্চলীয় লিবিয়ার ন্যাশনাল আর্মি’র (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি বলেছেন, ‘ডারনা শহর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সম্ভবত ২ হাজার মানুষ মারা গেছেন। নিখোঁজ ৬ হাজার। বন্যার পানির তোড়ে দুটি বাঁধ ভেঙে পড়েছে।’ নিহতের প্রকৃত সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি সাংবাদমাধ্যম সিএনএন। সরকারও সঠিক সংখ্যাটা নিরূপণ করতে পারেনি এখনও।

প্রথমে দেশটির বেনগাজির রেড ক্রিসেন্ট ধারণ করছিল, ডারনায় ১৫০ থেকে ২৫০ জন মারা গেছে। লিবিয়ার জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের প্রধান ওসামা আলি সিএনএনকে বলেছেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সব পানি ডারনার দিকে ঢুকে।

লিবিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তা মিশন এক্স-এ একটি পোস্টে, পূর্বাঞ্চলের জরুরি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে। লিবিয়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধুঁকছে উত্তর আফ্রিকার আরেক দেশ মরক্কো।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সবাই যখন ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক সেই সময় ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ করে দিয়ে গেছে এলাকার পর এলাকা। খোলা আকাশের নিচে তাঁবুতে রাত কাটাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে।

ভূমিকম্পটি মারাকেশ শহরের ৭২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আঘাত হানে। সবশেষ ২ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। গত এক শতাব্দীর মধ্যে এত বড় ভূমিকম্প দেশটিতে আঘাত হানেনি। ফলে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যানটাও দীর্ঘ।

দুটি গ্রাম ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল আল-হাউজ প্রদেশে অবস্থিত। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই দুই গ্রাম থেকে এক হাজার ৩৫১ জনের মরদেহ এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। প্রদেশের অন্তত ১৮ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে প্রাণের সন্ধানে সরকারের জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও উদ্ধার তৎপরতায় নেমেছে। সহায়তায় যোগ দিতে কাতার ও স্পেনের বিশেষজ্ঞ দল মরক্কোয় পৌঁছেছে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সোমবার বিবৃতিতে জানিয়েছে, মরক্কোয় শুক্রবারের ভূমিকম্পে অন্তত ১০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত। হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ধ্বংস। এতে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত। রাতের তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য চিকিৎসা ও শিক্ষা কেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাপকভাবে, যা শিশুদের আরও প্রভাবিত করছে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের অনেক দেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও কবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তা অনিশ্চিত। শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর কয়েক দফা আফটারশক অনুভূত হয়। আবারও হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

মরক্কোর এমন বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে স্পেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫৬ জন উদ্ধারকর্মীর সঙ্গে চারটি কুকুরসহ একটি বিমান উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে মরক্কোয় পাঠানো হয়েছে। স্পেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্গারিটা রবেলস বলেন, ‘আমরা যা যা প্রয়োজন সব পাঠাবো।

শুরুর সময়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে জীবিত থাকতে পারে।’ স্পেন ছাড়াও ব্রিটেন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সহায়তা পেয়েছে মরক্কো সরকার। আরও অনেক দেশ এবং সংস্থা সহায়তা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর সুবিধার্থে দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে আকাশসীমা খুলে দিয়েছে প্রতিবেশী আলজেরিয়া।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘সব ধরনের প্রযুক্তিগত এবং নিরাপত্তা দলকে পাঠাতে প্রস্তুত আছি আমরা। মরক্কোর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে আমরা সহায়তা পাঠাতে দেরি করবো না।’ বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় কমিশনও প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

image

মরক্কোর আমিজমিজের কাছের একটি গ্রামে জীবিতদের খুঁজে পেতে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা  -এএফপি

আরও খবর
মার্কিন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়ায় কিম জং উন

বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩০, ২৭ সফর ১৪৪৫

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত আফ্রিকার দুই দেশ

image

মরক্কোর আমিজমিজের কাছের একটি গ্রামে জীবিতদের খুঁজে পেতে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা  -এএফপি

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত আফ্রিকার মরক্কো ও লিবিয়ার জনজীবন। লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাত, অন্যদিকে প্রতিবেশী মরক্কোয় ভূমিকম্পে বহু মানুষের প্রাণহানি। দুই দেশেই ধসে গেছে অসংখ্য পথ-ঘাট ও বাড়ি-ঘর।

শতাব্দীর প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে মরক্কোতে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৯০০ জনে উপনীত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। লিবিয়ায় এখন পর্যন্ত ২০০-এর মতো প্রাণহানির খবর পাওয়া গেলেও সংখ্যাটা ২ হাজার ছাড়াতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে কয়েকদিনের ব্যবধানে আফ্রিকার দেশ দুটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে।

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল রবিবার তা-ব চালায় লিবিয়ায়। ঝড় ও বন্যায় ডারনা এলাকায় বহু বাড়ি-ঘর, সড়ক তলিয়ে যায়। স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে বহু মানুষ। কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ। মূলত দুটি বাঁধ ভেঙে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত। সঙ্গে ভারী বর্ষণ পরিস্থিতিকে আরও দুর্বিষহ করে তুলে।

দেরনার বাসিন্দা সালেহ আল ওবাইতি বলেন, তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনো রকমে পালাতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, লোকজন ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম থেকে জেগেই তারা দেখেন তাদের চারপাশে পানি।

আহমেদ মোহাম্মদ নামের অপর এক বাসিন্দা বলেন, আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। যখন ঘুম থেকে উঠলাম আমরা দেখলাম যে, আমাদের বাড়ির আশেপাশে পানি। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। পূর্বাঞ্চলীয় লিবিয়ার ন্যাশনাল আর্মি’র (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি বলেছেন, ‘ডারনা শহর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সম্ভবত ২ হাজার মানুষ মারা গেছেন। নিখোঁজ ৬ হাজার। বন্যার পানির তোড়ে দুটি বাঁধ ভেঙে পড়েছে।’ নিহতের প্রকৃত সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি সাংবাদমাধ্যম সিএনএন। সরকারও সঠিক সংখ্যাটা নিরূপণ করতে পারেনি এখনও।

প্রথমে দেশটির বেনগাজির রেড ক্রিসেন্ট ধারণ করছিল, ডারনায় ১৫০ থেকে ২৫০ জন মারা গেছে। লিবিয়ার জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের প্রধান ওসামা আলি সিএনএনকে বলেছেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সব পানি ডারনার দিকে ঢুকে।

লিবিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তা মিশন এক্স-এ একটি পোস্টে, পূর্বাঞ্চলের জরুরি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে। লিবিয়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধুঁকছে উত্তর আফ্রিকার আরেক দেশ মরক্কো।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সবাই যখন ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক সেই সময় ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ করে দিয়ে গেছে এলাকার পর এলাকা। খোলা আকাশের নিচে তাঁবুতে রাত কাটাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে।

ভূমিকম্পটি মারাকেশ শহরের ৭২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আঘাত হানে। সবশেষ ২ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। গত এক শতাব্দীর মধ্যে এত বড় ভূমিকম্প দেশটিতে আঘাত হানেনি। ফলে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যানটাও দীর্ঘ।

দুটি গ্রাম ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল আল-হাউজ প্রদেশে অবস্থিত। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই দুই গ্রাম থেকে এক হাজার ৩৫১ জনের মরদেহ এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। প্রদেশের অন্তত ১৮ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে প্রাণের সন্ধানে সরকারের জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও উদ্ধার তৎপরতায় নেমেছে। সহায়তায় যোগ দিতে কাতার ও স্পেনের বিশেষজ্ঞ দল মরক্কোয় পৌঁছেছে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সোমবার বিবৃতিতে জানিয়েছে, মরক্কোয় শুক্রবারের ভূমিকম্পে অন্তত ১০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত। হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ধ্বংস। এতে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত। রাতের তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য চিকিৎসা ও শিক্ষা কেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাপকভাবে, যা শিশুদের আরও প্রভাবিত করছে।

দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের অনেক দেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও কবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তা অনিশ্চিত। শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর কয়েক দফা আফটারশক অনুভূত হয়। আবারও হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

মরক্কোর এমন বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে স্পেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫৬ জন উদ্ধারকর্মীর সঙ্গে চারটি কুকুরসহ একটি বিমান উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে মরক্কোয় পাঠানো হয়েছে। স্পেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্গারিটা রবেলস বলেন, ‘আমরা যা যা প্রয়োজন সব পাঠাবো।

শুরুর সময়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে জীবিত থাকতে পারে।’ স্পেন ছাড়াও ব্রিটেন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সহায়তা পেয়েছে মরক্কো সরকার। আরও অনেক দেশ এবং সংস্থা সহায়তা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর সুবিধার্থে দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে আকাশসীমা খুলে দিয়েছে প্রতিবেশী আলজেরিয়া।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘সব ধরনের প্রযুক্তিগত এবং নিরাপত্তা দলকে পাঠাতে প্রস্তুত আছি আমরা। মরক্কোর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে আমরা সহায়তা পাঠাতে দেরি করবো না।’ বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় কমিশনও প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।