ওয়াশিংটনের সতর্কতার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ায় পৌঁছেছেন। গতকাল জাপানি সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। ক্রেমলিন বলেছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই দুই দেশের অস্ত্র চুক্তিতে একমত হওয়া উচিত নয়।
কিম জং উন গত রোববার তার ব্যক্তিগত ট্রেনে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে পিয়ংইয়ং ত্যাগ করেন বলে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার জানিয়েছে। কিমের এই সফরে অস্ত্র শিল্প ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীও রয়েছেন।
জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি মঙ্গলবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাশিয়ান সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কিমকে বহনকারী ট্রেনটি উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার সুদূর পূর্বের প্রধান রেল গেটওয়ে খাসান স্টেশনে পৌঁছেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, কিম জং উন মঙ্গলবার ভোরে রাশিয়ায় প্রবেশ করেছেন বলে তারা বিশ্বাস করেন।
কিম ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ করেন না। নিজের ১২ বছরের ক্ষমতায় কিম তার দেশ থেকে মাত্র সাতবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এবং দুইবার আন্তঃকোরিয়ান সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। এর মধ্যে চারটি সফর ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রধান রাজনৈতিক মিত্র চীনে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এটি পূর্ণাঙ্গ সফর হবে। দুটি প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা হবে এবং এরপরে প্রয়োজনে নেতারা একের পর এক ফরম্যাটে তাদের যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন।’
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য কিমের এই ধরনের সফরকে আসন্ন বলেছিল এবং মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র আলোচনা সক্রিয়ভাবে অগ্রসর হচ্ছে। এছাড়া কিম এবং পুতিন সম্ভবত ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়েও আলোচনা করবেন।
রাশিয়ার বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, পুতিন সোমবার ভ্লাদিভোস্তক শহরে পৌঁছেছেন। সেখানে চলমান ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। পেসকভ বলেছেন, কিমের সাথে পুতিনের বৈঠক ফোরামের পরে অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে বৈঠকের পর এই দুই নেতার সংবাদ সম্মেলনের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে একাধিক রুশ বার্তাসংস্থা জানিয়েছে। অবশ্য বৈঠকের স্থান বা কিম অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইউক্রেনে ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে রাশিয়া তার মজুত অস্ত্রের বিশাল অংশ ব্যয় করে ফেলেছে এবং অস্ত্রের পর্যাপ্ত সরবরাহ ঠিক রাখতে মস্কো উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র নিতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছ।
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩০, ২৭ সফর ১৪৪৫
ওয়াশিংটনের সতর্কতার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ায় পৌঁছেছেন। গতকাল জাপানি সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। ক্রেমলিন বলেছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই দুই দেশের অস্ত্র চুক্তিতে একমত হওয়া উচিত নয়।
কিম জং উন গত রোববার তার ব্যক্তিগত ট্রেনে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে পিয়ংইয়ং ত্যাগ করেন বলে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার জানিয়েছে। কিমের এই সফরে অস্ত্র শিল্প ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীও রয়েছেন।
জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি মঙ্গলবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাশিয়ান সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কিমকে বহনকারী ট্রেনটি উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার সুদূর পূর্বের প্রধান রেল গেটওয়ে খাসান স্টেশনে পৌঁছেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, কিম জং উন মঙ্গলবার ভোরে রাশিয়ায় প্রবেশ করেছেন বলে তারা বিশ্বাস করেন।
কিম ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ করেন না। নিজের ১২ বছরের ক্ষমতায় কিম তার দেশ থেকে মাত্র সাতবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এবং দুইবার আন্তঃকোরিয়ান সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। এর মধ্যে চারটি সফর ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রধান রাজনৈতিক মিত্র চীনে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এটি পূর্ণাঙ্গ সফর হবে। দুটি প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা হবে এবং এরপরে প্রয়োজনে নেতারা একের পর এক ফরম্যাটে তাদের যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন।’
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য কিমের এই ধরনের সফরকে আসন্ন বলেছিল এবং মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র আলোচনা সক্রিয়ভাবে অগ্রসর হচ্ছে। এছাড়া কিম এবং পুতিন সম্ভবত ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়েও আলোচনা করবেন।
রাশিয়ার বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, পুতিন সোমবার ভ্লাদিভোস্তক শহরে পৌঁছেছেন। সেখানে চলমান ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার। পেসকভ বলেছেন, কিমের সাথে পুতিনের বৈঠক ফোরামের পরে অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে বৈঠকের পর এই দুই নেতার সংবাদ সম্মেলনের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে একাধিক রুশ বার্তাসংস্থা জানিয়েছে। অবশ্য বৈঠকের স্থান বা কিম অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইউক্রেনে ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে রাশিয়া তার মজুত অস্ত্রের বিশাল অংশ ব্যয় করে ফেলেছে এবং অস্ত্রের পর্যাপ্ত সরবরাহ ঠিক রাখতে মস্কো উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র নিতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছ।